পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

য়ুরোপে স্ত্রীধৰ্ম্মনীতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতন শ্রদ্ধাস্পদেষু আপনার প্রেরিত বইখানি পেলুম। পৃথিবীতে যুগান্তর এলো । তার লক্ষণ যুরোপে দেখা দিচ্ছে । কারণ যুরোপে মানুষ ভালোয় মনায় বেঁচে আছে সম্পূর্ণরূপে । অতীত ইতিহাস যদি সন্ধান করি তবে দেখতে পাব, কী আর্থিক কী সামাজিক পদ্ধতি মানবসংসারে একটানা চলে আসে নি । এক মহাভারত আলোচনা করলে তার যত পরিচয় পাই তেমন কোনো একখানা বইয়ে পাওয়া যায় না । যে সব রীতি সব শেষে পরিণত হয়েচে তাই যে সব চেয়ে ভালো আমাদের চার দিকে চেয়ে দেখলে সে কথা মানা ধায় না । মানুষ অনেক প্রথা তৈরি করে তুলেছে যা মোটের উপর ,'ড়-গুল:ন, অথচ যা নানা ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে দুঃখকর, এমন কি, মনুষ্যত্বের অপমানজনক । জীবনযাত্রা যখন সংকীর্ণ পরিধিতে স্তব্ধ হয়ে জটাবহুল ছিল না তখনকার প্রত্যেক রীতিনীতি ধৰ্ম্মের নামে সনাতন চেহারা ধারণ করবার শাস্ত অবকাশ পেয়েছিল । যেখানে অবস্থা আজও প্রায় সেই রকমই অচঞ্চল, নব যুগের আবৰ্ত্ত যেখানে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেনি সেখানকার খাবরতায় পুরাতন নীতির ভিত্তি কাপে নি— যেখানে অবাস্তরের তাওৰত্যে পুরাতন অনুশাসনপাশ ছিন্ন হয় নি। সেই অবস্থার ভাষায় অন্ত অবস্থাকে বিচার করা চলে না। ته ." যুরোপে জ্বাধিক নীতি অনেক দিন থেকেই বিশেষ পায় চলছিল। সেখানে নষ্ট ও ধ্বভোগে ব্যক্তিগত প্রতিযোগিতাই ছিল প্রবল। তার প্রথম জাঘাত লেগেছে গার্হস্থ্যে। গৃহবাজার স্বভাবতই স্ত্রীপুরুষের অধিকারভাগ আছে । পুরুষের কর্তব্য জল জাহরণ, মেয়ের কর্তব্য সংসারের প্রয়োজনে তার বায়ের ব্যবস্থা । মেয়েকে অধিক দিকে পুরুষের অধীন থাকতেই হয়। সেই অধীনতায় পুরুধের ইচ্ছা ও অাদর্শের সঙ্গে নিজেকে নম্রভাবে না মেলাতে পারলে সে বঁাচেই না । কিছুকাল থেকে যুরোপে জীবনযাত্রার আদর্শ বহুব্যয়সাধ্য হওয়াতে পুরুষেরা অনেকেই স্ত্রীর দায়িত্ব স্বীকার করতে কুষ্ঠিত। সেখানে ঘর ভেঙে বাসার বিস্তার বেড়ে চলেছে। মেয়েরা তাদের চিরকালের আশ্রয়চু্যত হয়ে স্বয়ং জীবিকা-উপার্জনে বাধ্য হয়েছে। আর্থিক স্বাতন্ত্রা যে লাভ করে সে স্বভাবতই ভীরুভাবে পরের মন জোগায় মা ! পাশ্চাত্য মহাদেশে এই অর্থোপার্জনরীতির বিপৰ্য্যর ধটাতেই ক্রমশই স্ত্রীধৰ্ম্মনীতির পরিবর্তন স্বতই ঘটে আসছে । এর প্রভাব পুরুষের উপর পড়তেও বাধ্য। তারা অনেকেই গাহ স্থ্যের দায়িত্ববন্ধন থেকে মুক্ত, অপর পক্ষে বহুসংখ্যক মেয়েও তাই। এরা উভয়েই স্বাতন্ত্র রক্ষা করতে চায় ; অতএব এদের বিবাহ ঠিক কোন নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত হ’তে পারে এই নিয়ে সে দেশে আন্দোলনের সীমা নেই। এর সঙ্গে যোগ দিয়েছে বিজ্ঞান-বিশেষত মনোবিজ্ঞান । স্ত্রীপুরুষের প্রকৃতি পর্যালোচনায় সমস্ত আক্র সে খসিয়ে দিয়েছে। উপন্যাস নাটক রঙ্গভূমি সব জায়গাতেই মানবপ্রকৃতি আজ অনাবৃত। মানব-ইতিহাসের আদিযুগে দেহ ছিল নগ্ন। আজি মানুষের মনের রইল না বস্ত্র। এমন সময় যুরোপে এল সৰ্ব্বনেশে এক যুদ্ধ। অতিকায় মৃত্যু এসে মানুষের মনকে দিয়েছে নিলাজ নিৰ্ম্মম করে। সেই কয় বৎসর বহুসংখ্যক মানুষ এমন এক জনিত্যতার মধ্যে দিনযাপন করেছে যেখানে সে আজ আছে কাল নেই। মৃত্যু ব্যাপারটা যদিও চিরসত্য তবু মানুষ যখন সংসারাত্র করে তখন মৃত্যু নে নেই এইভাবেই সংসারাত্রা নিৰ্বাহ क्छ। भृङ्गाप्रु कांग्रश्6था गप्रिs शृङ्ग्रक शनि ड्रण न থাকতে পারে তৰে কোনো বিশ্বাস কোনো ব্যবস্থার উপরেই সে বাস বাধতে পারে না। কিন্তু স্কুরোপে এত বৎসর ধরে