পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সকান্তন विानि করে । পরে অবশ্য এক ‘ঘাটোয়ার জমিদার তাহাকে গ্রেপ্তার করির গভর্ণমেণ্টের হস্তে অর্পণ করেন ও সেই সময় হইতে দয়ার অত্যাচারও দূর হয়। বর্তমান কাছারিবাটীর অনতিদূরে এই দম্বার গৃহ ছিল। যাহা হউক, কয়লাখনি ও রেলপথ বিস্তৃতির সহিত ক্রমশ: এই স্থানে একটি জনপদ গড়িয়া উঠে । বাঙালীদের মধ্যে সৰ্ব্বপ্রথম এইস্থানে আগমন করেন ৮রাখালচন্দ্র কুণ্ডু মহাশয় । তখন তিনি রেলওয়ে কণ্ট,কিটার ছিলেন। র্তাহার আদিনিবাস খন্নেন ষ্টেশনের নিকটবর্তী ইটেচোন৷ গ্রামে। পরে তিনি গিরিডিতে বাড়িঘর করিয়া স্থায়ী বসবাস করেন । স্থানীয় উচ্চ-ইংরেজী বালক-বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তাহার উদ্যোগ ছিল। তাহার পুত্র ৮গোষ্ঠবিহারী কুধু মহাশয় বহু বৎসর দাবৎ গিরিডির অবৈতনিক ম্যাজিষ্ট্রেট ছিলেন । বারগণ্ডার নিকট উত্ৰ নদীর অপর তীর হইতে খানচুলি পাহাড়ের পাদদেশ পর্য্যন্ত বিস্তৃত সির্সিয়া নামক নুবিস্তীর্ণ জমিদারী গোষ্ঠবাবু ক্রয় করেন। সাধারণের যুবিধার জন্য উীর উপর তারের একটি দোলায়মান সেতু তিনি নিৰ্ম্মাণ করাইয় দেন ও স্থানীয় হাসপাতাল-বাটী নিৰ্ম্মণিকল্পে অর্থসাহায্য করেন। এখন তাহার পুত্র শ্ৰীযুত ক্ষিতীন্দ্রনাথ কুণ্ডু মহাশয় জমিদারী পর্যবেক্ষণ করিয়া থাকেন। গিরিডিতে বাঙালী গৃহস্থবাটীর মধ্যে একমাত্র ইহাদের বাটীতেই দুর্গোৎসব হইয়া থাকে। বৰ্ত্তমান গিরিডির ক্রমোন্নতির ইতিহাস লিখিতে হইলে যাহাঁদের কথা স্বতঃই মনোমধ্যে উদিত হয়, সেই লোকহিতব্ৰতী উদ্যমশীল ব্যক্তিদিগের বিষয়ে কিছু লিখিতেছি। vতিনকড়ি বসু মহাশয় ১৮৭২ খ্ৰীষ্টাব্দে গিরিডিতে আসিয়া পচম্বায় বাস করিতে থাকেন। র্তাহার আদিনিবাস হুগলী দশখর গ্রামে । সাধারণ-ব্রাহ্মসমাজ-মন্দির প্রতিষ্ঠায় তাহার যথেষ্ট উদ্যোগ ছিল । ধৰ্ম্মবিষয়ে তাহার উদারতা ছিল অনন্তসাধারণ। ব্রাহ্মসমাজ-প্রতিষ্ঠা প্রথমে তাঁহারই পটম্বস্থিত গৃহে হয়, যদিও তিনি নিজে হিন্দুসমাজভূক্ত ছিলেন। প্রতিষ্ঠার সময় হইতে প্রায় পয়ত্রিশ বৎসর যাবৎ সাধারণ ব্রাহ্মসমাঞ্জের সম্পাদকরূপে তিনি কাৰ্য্য করিয়াছিলেন। র্তাহার অক্লান্ত চেষ্টায় সাধারণ-ব্রাহ্মসমাজমন্দিরের পীক ৰাষ্ঠী স্থাপিত হয়। র্যাটুরে দাতব্য গিরিডির ঔপনিবেশিক বাঙালী এবং ব্যবসা-বাণিজ্য WNES fêformúa (Rattray Charitable Hospital) প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যেও তিনি অন্ততম ব্যক্তি ছিলেন । স্থানীয় উচ্চ-ইংরেজী বালক-বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায়ও তাহার সাহায্য নিতান্ত সামান্ত ছিল না। তিনি এই জেলার অন্তর্গত শ্রীরামপুর রাজ-এষ্টেটের ম্যানেজার ছিলেন । ধানওয়াররাজ-এষ্টেটের ম্যানেজার রূপেও তিনি কিছুদিন কার্য উগ্ৰ নদীর উপর দোলায়মান তায়ের পুল করিয়াছিলেন । তাছার মৃত্যুর পর ব্রাহ্মসমাজভূক্ত ব্যক্তিবর্গের চেষ্টায় সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ মুশরের পার্থে তাহার স্মৃতিরক্ষার্থ উক্ত সমাজের প্রচারকগণের বাসের জন্ত “vতিনকড়ি বসু প্রচারক আশ্রম” নামে একটি একতলা পীকা বাট প্রায় পাঁচ ছয়-বৎসর হইল নির্মিত হইয়াছে। তিনি এই স্থানে জমি ক্রয় ও নিজস্ব বাড়ি-ঘর করিয়া গিয়াছেন। তাহার পুত্র প্রযুক্ত আশুতোব বস্তু মহাশয়ও পিতার স্তায় ধানওয়ার রাজ-এষ্টেটের ম্যানেজার ছিলেন ; এখন অবসর লইয়া গিরিডিতে বাস করিতেছেন । vধরণীধর বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় বৰ্দ্ধমান জেলার অন্তর্গত শ্রীরামপুর গ্রাম হইতে এই স্থানে উচ্চ-ইংরেজী বালকবিদ্যালয়ের প্রথম প্রধান শিক্ষক রূপে আগমন করেন ও পরে ঐ কাৰ্য্য ত্যাগ করিয়া এই স্থানেই ওকালতি করিতে থাকেন। র্যাটুরে দাতব্য চিকিৎসালয় ও সাধারণ-ব্রাহ্মসমাজ-মন্দির নিৰ্ম্মাণকল্পে তিনি অর্থসাহায্য করেন। স্বয়ং হিন্দুসমাজভূক্ত হইলেও সকল ধৰ্ম্মেই র্তাহার সমান শ্রদ্ধা ছিল । সকলেই তাছাকে বিশেষ সন্মান করিত। পচন্ধা