পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- সুকান্তন অবগু আয়ুৰ্ব্বেদশাস্ত্র অধ্যয়ন করিয়া জীবিক অর্জন অনেকে করিতেছেন। ঐ রূপ হোমিওপ্যাথি প্রভৃতি বিদেশীয় চিকিৎসা-বিদ্যা ভারতীয় ভাষার সাহায্যে শিক্ষা করিয়াও ঐ সকল বৃত্তি অবলম্বন করা যাইতে পারে। বর্তমান সময়ে ব্রাহ্মণের বৈদ্যবৃত্তিগ্রহণ সমাজের কাছে আর হেয় নহে। সংস্কৃত শিক্ষা করিলেই অল্পের জন্ত ধনীর স্বারে স্তাবক সাজিয়া দাড়াইতে হইবে ইহার কোনও মানে নাই। সংস্কৃত শিক্ষণ করিয়াও বিভিন্ন অর্থকর অন্তান্ত বৃত্তি অবলম্বন করা বাইতে পারে । পুর্ত, স্থাপত্য, শিল্পবিষ্ঠা, বাণিজ্য প্রভৃতি যে কেবল ইংরেজীনবীশদিগের জন্তই থোলা আছে তাহা নয়। সংস্কৃতজ্ঞ ছাত্রগণকেও পূর্ববিদ্যা, স্থপতিবিদ্যা শিক্ষা করিতে হইবে । এ-দেশে অনেক নিরক্ষর লোকও গৃহাদি নিৰ্ম্মাণ কার্য্যের কনট্রাক্টারি করিয়া অর্থ উপার্জন করিতেছেন। পণ্ডিতগণ কি সে কার্যোরও অনুপযুক্ত ? ছবি আঁকিতে শেখাও তাহীদের উচিত। চিত্রবিদ্যাতেও অর্থ আছে । छिन्नख्छन्यौ Ꮤ8☾ আমরা হিন্দু। নিষ্টা আমাদের রক্তের সহিত মিশিয়া আছে । শাস্ত্র আমাদের শিখিতেই হইবে । কিন্তু মনে হয় ঐ সঙ্গে আর একটি অর্থকরী বিদ্যাও আমাদের শিক্ষা করা উচিত। তাহা হইলে শাস্ত্র ও সংসার উভয়েরই একসঙ্গে সেবা করিয়া জীবন-আহবে জয়ন্ত্র মণ্ডিত হওয়া যাইতে পারে। আমি ভূক্তভোগী। সেই জন্ত সমস্তাস্বরূপ এই প্রবন্ধটি সমাজের দ্বারে পেশ করিলাম । হয়ত, বর্তমান শিক্ষণ— সামাজিক আবৃহাওয়া—আমাদের চালচলন ইহার বিপরীত পথেই উদাম বেগে ছুটয় চলিয়াছে, তবু মনে হয়— আন্তরিক আগ্রহ, মধুর সহানুভূতি—পরস্পরের প্রতির আদান-প্রদান হয়ত এ-পথকে জয়যুক্ত করিয়া তুলিতে পারে। এ-সম্বন্ধে পূজনীয় বিদ্বন্মগুলী, সামাজিকবর্গের অভিমত জানিতে ইচ্ছা করি। কিন্তু কি জানি কাহার ধেন উদাত্ত সুরে ধ্বনিত হইতেছে—‘নান্তঃ পন্থাঃ বিস্তুতেহয়নায়’ ! চিরন্তনী ঐপারুল দেবী এলাহাবাদেই বিয়ে । । বরপক্ষীয়ের প্রথমে আপত্তি তুলেছিলেন যে চাকা থেকে এলাহাবাদে আসবার সুবিধা হয়ে উইবে না, বড়জোর কলিকাতা অবধি যাওয়া যেতে পারে। বরযাত্রীরা কেউ কেউ রাগ করে বললেন, যদি যেতেই হয় এলাহাবাদে, ত বর একাই যাক-একরাত্রি নিমন্ত্রণ খাবার জন্ত এতটা কষ্ট স্বীকার ক’রে র্তারা কেউ যাবেন না । কিন্তু শেধ-অবধি আপত্তি টিকল মা । পয়ষটি জন বরযাত্রীর রেলভাড়া ইত্যাদির খরচের টাকা এবং বিনয়বচনপূর্ণ সাদর নিমন্ত্রণ-পত্র পাঠিয়ে দিয়ে কষ্ঠাপক্ষীয়ের সে আপত্তি থওন করলেন । দুই পুরুষ থেকে এলাহাবাদেই বাস-বাংলা দেশ এদের কাছে প্রায় বিদেশ হয়ে এসেছে । বাড়ির প্রথম ون سسسه جبيb মেয়েটির বিয়ে—কোথায় অজানা অচেনা কলিকাতায় যাবেন, কারই বা সাহায্য সেখানে নেবেন—কনের বাপ-মা ভেবেই দিশহারা । যা হোক, পথখরচ ইত্যাদি বাবদে মোটা টাকা হাতে পেয়ে বরপক্ষীয়ের যখন এলাহাবাদেই আসতে রাজী হলেন, কস্তাপক্ষীয়েরা সকলে হাফ ছেড়ে বঁচিলেন। বসত-বাড়িতে এত লোক কুলোবে না ব'লে পাশেই আর একটা বাড়ি কিছুদিনের জন্ত তাড়া নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তাতেও এখন অঁটিছে না । পরমাস্ট্রীয়, অস্ট্রিীয় এবং অনাত্মীয়ের ভিড়ে বাড়ি গিসগিস করছে। কোলাহলের বিরাম নেই। “ওছোট বেী, ছেলে যে কেঁদে সারণ হ’ল, তোল না ভাই," "ওরে, হেমাকে ডাক ন পুরুত-মশাইকে জলখাবারটা খাওয়াক কাছে বলে," “ছোটদ, এতক্ষণ ছিলে কোথায়?