পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মলন্তন छिब्रखनौ ՆնՏ গৌরাঙ্গিনীর দিদি হেসে বললেন, “এখনও যে এক ঘণ্টাও হয় নি গো, তোমাকে সন্দেশ ফল জল সব খাইয়ে এসেছি—এর মধ্যেই আবার যে তোমার পা থেকে মাথা অবধি তেষ্টায় শুকিয়ে উঠেছে তা কেমন করে জানব বল ? বাপ রে, সকাল থেকে মোটে চারবার সপোশ খেয়ে নির্জলা উপোস করা—তোমার বড়ই কষ্ট হ’ল বল ।” অমরেন্দ্র বললেন, “অমন একটা তৃষ্ণায় ছাতি-ফাটার করুণ কাহিনী শোনালাম তাতেও দয়া নেই ? 'পাষাণী রমণী’ কবিরা কি আর সাধ করে ব’লে গেছেন ? সবায়েরই এমনি এক একটি হৃদয়হীনা প্রাণী ছিল আর কি ! যাক, আমারই অন্তায় হয়েছিল তোমাদের কাছে তৃষ্ণার জল চাইতে আসা। যাই দেখি পিসীমাদের ভাড়ারে, যদি কিছু পাই ।” গৌরাঙ্গিনীর দিদি বললেন, “চল, চল, আমিই দিচ্ছি, পিসীমাদের কাছে আর যেতে হবে না । আয় রে গৌরী।” গৌরাঙ্গিনী বললেন, “মেয়েটাকেও ডাক না দিদি– খাওয়াই কিছু। ক'দিন দিনে খাওয়া নেই, রাত্রে ঘুম নেই, সারা হ’ল মেয়েট " “এগো তোরা, আমি নমিতাকে ডেকে আনিছি” ব’লে দিদি বেরিয়ে গেলেন, সঙ্গে সঙ্গে অমরেন্দ্র ও গৌরাঙ্গিনীও র্তার অনুসরণ করলেন । 娜 懶 淞 娜 আশ্বিন মাস। পুজ এল যলে, আর দশ দিম মাত্র বাকী আছে । নমিতাকে শ্রাবণ মাসে বিয়ের পরেই র্তারা নিয়ে গেছেন, তার পর ভাদ্র মাস পড়ে যাওয়াতে আর পাঠান হয়ে ওঠে নি। গৌরাঙ্গিনী থাকতে নাপেরে ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি স্বামীকে জোর-জবরদস্তি ক’রে ধীরে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় গিয়ে চার দিনের জন্ত মেয়েকে দেখে এসেছেন ; তার পর ফিরে এসে দিন গুণছেন মেয়ে কবে তার কাছে আসবে। পূজার সময়ই পাঠাবার কথা। জামাইকে বেয়াইকে বার-বার বলে এসেছেন পূজার সময়ে জামাই মেয়ে যেন আসে তার কাছে, কিছুতে যেন অন্তথা না-হয়। নূতন কুটৰ অত্যন্ত ভদ্র। ছেলের পিতা বেছানকে আশ্বাস দিয়েছেন যে, তার মেয়ে-জামাই র্তার কাছে যাবে এ আর বড় কথা কি, তিনি নিশ্চয়ই পাঠিয়ে দেবেন। গৌরাঙ্গিনীর এলাহাবাদের বাড়িতে ঘর অনেকগুলি । স্বামি-স্ত্রী দু-জনের মাত্র সংসার—সব ঘরই খ-থা করে। দুপুরে শূন্তগুহে গৌরাঙ্গিনী একবার এঘর, একবার ওঘর করে বেড়ান ; কৰ্ম্মবিহীন দীর্ঘ অবসর কাটানো ফুক্ষর হয়ে ওঠে, কস্তাহীন অনভ্যস্ত গৃহে কোনও মতে মন বসে না । নমিতার কাপড়ের আলমারীতে তার পুরান কাপড়জামা ঠাসা—বিয়ের ক’নের সঙ্গে পুরান কাপড় দিতে মায়ের মন সরে নি, তাই সবই রয়ে গেছে। সে এইবার এসে লব আবার পরবে, তার পর যাবার সময়ে নিয়ে যাবে। সেই আলমারী খুলে, বার-বার ঝেড়ে কাপড়গুলি নুতন ক’রে গুছিয়ে রাখেন । মেয়ের কাপড়গুলি নাড়াচাড়া ক’রে भांtब्रव्र भन्न छुद्धिं श्रृंiग्न। সেদিন অমরেন্দ্র আপিস থেকে ফিরে দেঙ্গলেন যে, তার শয়নগৃহ-সংস্কারকার্য্যে বাড়ির চাকরগুলা, মায় মালীটা পৰ্য্যস্ত সকলেই মহা ব্যস্ত । ঘরের জিনিষপত্র বরিান্দায় বার করা হয়েছে এবং চাকরেরা ধরাধরি ক’রে ওঘরের বড় আলমারী এ-ঘরে নিয়ে আসছে, বসবার ঘরের বড় গালিচাটা এ-ঘরে টেনে এনেছে, পাতা হবে মেজেতে, জিঞ্জামু নেত্রে স্ত্রীর প্রতি তাকিয়ে তিনি বললেন, “ক’দিনই বা আছে আর ? নমিতা আসছে, প্রথমবার জামাই আসছে, ভাল শোবীর ঘরটা না-ছেড়ে দিলে কখনও হয় ? আমরা ঐ পশ্চিমের দিকের ঘরটায় শোব ক'দিন ।” অমরেন্দ্র বললেন,"সে ত এখনও দশ দিন দেরি গে। আর আসে কিনা তাই দেখো আগে । কই, এখন অবধি ত ওরা নিশ্চয় আসছে ব’লে কোনও খবরই পাই নি । তুমি এতও পার সত্যি ! কোথায় কি তার ঠিক নেই, তার জন্তে এই জিনিষপত্র নাড়ানাড়ি করছ আজি সারাদিন ধরে ? ক্রমে ক্রমে করলেই ত হ’ত, এত তাড়াতাড়ি কি ?” গৌরাঙ্গিনী স্বামীর কথায় অপ্রসন্ন হয়ে বললেন, “তাড়া আবার কোথায় করলাম ? তোমাদের সেই শেষ মিনিটােতে সব না করলেই অমনি তার নাম হয়ে যায় তাড়াতাড়ি করা । ঘরদোর গোছবি, ঝাড়াব, জিনিষপত্র ঠিক করাব—শেষের দু-দিন ত আমার ওদিকের খাবার-দাবার করতেই যাবে,