পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(Նt:Հ তখন কি আর এসব দিক দেখবার সময় পাব ? আমাকে ত আবার সব দিক একাই দেখতে হয় কি না—তোমাকে দিয়ে তএতটুকু সাহায্যকোনও দিকে পাবার জো নেই। নমি আবারবার-বার বলে দিয়েছে—ম, যদি যাই ত তুমি নিশ্চয় ষ্টেশনে নিতে এস। মাকে দেখবার জন্তে তার প্রাণ য করছে তা আমিই জানি। এসেই যদি ষ্টেশনে আমাকে মা-দেখতে পায় ত কি অনর্থ করবে দেখো তথন ... এই দেবী সিং, ও আয়নাটা কোথায় রাখছিস ? বলে দিলুম না যে ওটা এই পূবমুখে রাখবি ? সরু সরু, আমিই টেন আনছি। তোরা ত সব সময়ে উণ্টেট করে আমার কাজ বাড়াতেই আছিস কিনা।” অমরেন্দ্র এদিক-ওদিক তাকিয়ে বললেন, “এ-শ্বর ত তোমার মেয়ের ঘর হয়ে গেল দেখছি—আমার বোধ হয় প্রবেশ নিষেধ ? আচ্ছা, পশ্চিমের ঘরটাই ওদের দিলে দোষ হ’ত কি ? সেট ত আমার মনে হয় এর চেয়ে ভালই ঘরআর এত সাড়াচাড়ি ক'রে হাঙ্গামও করতে হ’ত না । তা যাক, যা করছ তা কর, কিন্তু আমি এখন স্নান-টান করি কোথা ? স্বানের ঘরটাও আজ থেকে আমার ব্যবহার বন্ধ নাকি?" গৌরাজিনী বললেন, “এ স্বানের ঘরট ওদেরই দিলুম। তোমার জন্তে ঐ পশ্চিমের গোসলখানাটা ঠিক করিয়ে দেব—এই যাচ্ছি এখনই। এই আনলায় নমির সেমিঞ্জটেমিজগুলো বার করে রেখেই চল যাচ্ছি ওদিকে তোমার সব ব্যবস্থা করিয়ে দেব।" ইংরেজী গানের একটা শিষ দিতে দিতে অমরেন্দ্র নিজের নূতনশোবার ঘরের উদেশে চলে গেলেন। কিন্তু একটু পরেই সে ঘর থেকে চেঁচামেচি শুনতে পাওয়া গেল, “কই

  • {{ প্রবাসী% JS98ఎ

গে, আমার কাপড় কই, তোয়ালে কই, জল কই, সাবান কই? কিছু যে নেই এখানে। তোমার মেয়ে স্নান করবে আজ দশ দিন পরে এসে, তার কাপড় বার ক'রে সাঙ্গান হয়েগেল, আর আমি এদিকে কি দাড়িয়ে থাকব নাকি ? ওগো-" কিন্তু গৌরাঙ্গিনীর কাছে থেকে সাড়া পাওয়া গেল না। অমরেন্দ্র এসে আবার সেই ঘরে প্রবেশ করলেন। একখানা ডাকের চিঠি হাতে নিয়ে গৌরাঙ্গিনী থাটের উপর বসে আছেন। অমরেন্দ্র ভয় পেয়ে কাছে এসে স্ত্রীর হাত থেকে . চিঠিখানা নিয়ে নিলেন ; উদ্বিগ্নকণ্ঠে প্রশ্ন করলেন, “কি হয়েছে গৌরী ?" বলতে বলতেই চিঠিখানার দিকে চেয়ে দেখলেন যে নমিতার লেখা। পড়লেন নমিতা লিখেছে, “ঐচরণেষু ম, এবার পূজার ছুটিতে আমাদের তোমার কাছে যাবার কথা ছিল, আমার শ্বশুরেরও ইচ্ছা যে আমরা যাই, কিন্তু উনি বলছেন যে এলাহাবাদ বড় পুরান জায়গা, ওখানে যা দেখবার ছিল অনেক বারই দেখা হয়ে গেছে। পূজার ছুটিটা এবার কোনও নুতন জায়গায় কাটাতে চান। ওঁর খুব ইচ্ছা যে আমি ওঁর সঙ্গে পুরী বেড়াতে যাই। সমুদ্র ত কখনও দেখি নি, তাই তোমরা যদি অমত না কর ত আমিও ভাবছি এবার না-হয় পুরীর সমুদ্রট দেখে আলি। শুনেছি নাকি আমন ঢেউ আর কোথাও হয় না। বড়দিনের চুটিতে তোমাদের কাছে যাব। তোমার জন্তে বড় মন কেমন করে; বাবার কথাও সব সময়ে মনে হয়। আমার প্রশাম জেনে | ইতি তোমার নমিতা।” অমরেন্দ্র স্ত্রীর মুখের দিকে তাকালেন। গৌরাদিনী চোখের জল সামলাইতেছিলেন।