পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه8 iaIEEEجية: ملك ছিন্নমস্তার মন্দির, রাজরোল্প সাং খাস বুধ, ১৮৯৮ সম্বৎ (=১৮৪১ খ্ৰী: ), অর্থাৎ ৯৩ বৎসর আগেকার । বাংলা অক্ষরে লেখা সংস্কৃত পুথিগুলির নাম—- (১) বিল্বমঙ্গলকৃত 'গোবিন্দদামোদর স্তোত্র’ ; (২) খ্ৰীবিষ্ণুপুরী সংগৃহীত ‘শ্ৰীভগবদ্ভূক্তিরত্নাবলী’ ( লিখিতং কুতুবপুর মধ্যে শ্রীরামচন্দ্র সমীপে ; সংবৎ ১৯৬৩ ) (৩) সনৎকুমার-সংহিতায় স্তবরাজস্তোত্র” (৪) খ্রীরামকর্ণামৃত, (৫) রামমন্ত্রবিধিপদ্ধতিপটল, (৬) গেীর অষ্টক, (৭) গীতা, দশম অধ্যায়, (৮) শ্রীরামানুজস্কৃতং “শ্রীরামপদ্ধতি” ( বেদোক্ত ) (৯) খ্রীব্রন্ধ্যামলে স্বষ্টিপ্রশংসয়াং উমীমহেশ্বর সংবাদে য়কারাদি শ্রীরামসহস্ৰ স্তোত্র । ১৯৬৩ সাল। (১০) কামরত্ব (বশীকরণ-বিদ্যার বই )--(নাগরী অক্ষয় ) (১১) রক্রাদি রামসহস্ৰ নমস্তোত্র ( ব্রহ্মযামলে কৃষ্ট "শংসায়" উমামহেশ্বরসংবাদে) (১২) পঞ্চরীত্রেীক্ত আরাধনাক্রম ( ভগৰ{সদাসরুত ) (১৩) পদ্মপুরাণে ভৃগুসংবাদে ম:ং’য়পস্থতি । 零 নারদোক্ত “শ্রীরামচন্দ্র [ যুত বিভূতিভূষণ মিত্রের সৌজন্তে ఏర8ు (১৪) পঞ্চামৃত, (১৫) হনুমানপূজাপদ্ধতি। রাচি জেলার দক্ষিণ ভাগে তালপত্রে উড়িয়া অক্ষরে লেখা কয়েকখানি পুথি ও একটি লৌহের লেখনী পাই। প্রথমখানি উড়িয়া ভাষায় "করম কথা’ ( অর্থাৎ কর্ম একাদশীতে আবৃত্তি করিবার জন্ত করম ধরমের কাহিনী ), দ্বিতীয়খনি উড়িয়া অক্ষরে লেখা শিবদাস-বিরচিত ‘বেতালপঞ্চবিংশতি । তৃতীয়পানি উড়িয়া অক্ষরে লেখ সংস্কৃত ‘দশকৰ্ম্মাণি’ ( গর্ভাধান প্রভৃতি ) : চতুর্থখানি উড়িঃ অক্ষরে সংস্কৃত ভাযায় নবগত স্তব ও মঙ্গ ও গ্রহশাস্তির পদ্ধতি ও মঞ্চ’ প্রভৃতি। পঞ্চমখানি উড়িয়া অক্ষরে ও উড়িয়া ভাষ{ লেখা পঞ্চতন্ধের ও মহাভারতের কয়েকটি উপাথ্যান ও দেহতত্ত্ব সম্বন্ধে কবিতা । ঐতিহাসিক কালের প্রত্নতত্ত্ব, মুৰ্ত্তিতত্ত্ব, খোদিত লিপিতত্ত্ব ও প্রাচীনমুন" এ সম্বন্ধ গবেষণার প্রচুর উপাদান না থাকিলেও, ভাষাতত্ত্ব—-বিশেষতঃ নৃতত্ত্ব—সম্বন্ধে গবেষণার জন্ত ছোটনাগপুর একটি সুবিস্তৃত ও উৰ্ব্বর ক্ষেত্র। ছোটনাগপুরের উত্তরে মগধ বা বিহার, দক্ষিণ-পূর্বে উড়িষ্যা ও দক্ষিণ-পশ্চিমে মধ্যপ্রদেশ, উত্তরে এবং পশ্চিমে যুক্তপ্রদেশ এবং পূৰ্ব্বে বাংলা দেশ। এইরূপ সীমান্ত প্রদেশের ভাষা যেরূপ সঙ্কর বা দের্তিসিলা হইয়া থাকে এ প্রদেশের প্রচলিত সংস্কৃতজ তিনটি ভাযাই—বাংলা হিন্দী ও উড়িয়া-দেই লাঙ্কৰ্য্য দোষে দুষ্ট । এই দোষে সীমান্ত দেশের ভযা কতদূর দুষ্ট হইতে পারে তাহার একটি চরম দৃষ্টাস্ত করমালি' বুলি, আর একটি "হেটগোল’ বা থোটাই বাংলা । - রাচি জেলার পাঁচপরগণার এবং মানভূম জেলার কুর্দি জাতি যে বিকৃত বাংলা ভাষা ব্যবহার করে তাহ ১৯০১ খ্ৰীষ্টাব্দের আদমশুমারির রিপোর্টে ও তৎপুৰ্ব্বে বাংলা ভাষার একটি বুলি ( কুরমালি বাংলা) বলিয়া পরিগণিত