পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ్రీSR গুলি—যথা, ভূ ইয়া, চেরো, খারোয়ার, পহিড়া, নাগেলিয়া, বেদেয়া প্রভৃতি—আপন আপন পুৰ্ব্বপুরুষদের মুণ্ডাশ্রেণীর ভাষা বিস্তুত হইয়া স্থানীয় গাওয়ারী হিন্দী বা বিকৃত বাংলা বুলি ব্যবহার করে। মানভূমের অসভ্য খাড়িয়াদের মুখে বাংলা ভাষা বিকৃত হইয়া কিরূপ রূপ ধারণ করিয়াছে তাহার इह-७कः छूटेखि गांनङ्कभ cछलांद्र शांख्रिांप्नद्र तूनि श्ड দিতেছি । “फूभि ८कांश श्ऊ श्रांनिष्ठझ ?” इंशग्न थाफ़िग्रां यांश्ला'ੇ दूथौ ?” “কি এনেছ?” ইহার খাড়িয়া বাংল—“কিস আইনে ?” “वकन श्रृंछ ब्रविवारब्र श्tष नांकि ?" हेशग्न थाक्लिग्न वाल“বন্ধন রব বারে ছিখ না কই ?” “আমি দোকানে বসিয়া নাড়, কিনিতেছিলাম ; আমি কিছু জানি না ; আমার দোষ নাই।” ইহার খাড়িয়া বাংলা এই –“মুই বলি নাড়, কিনিৎগে না । মুই কিসক্ জামু নাই। মহর দয নাই ।” সম্ভবতঃ এক সময়ে মুণ্ডাগোষ্ঠীর ভাষা ভারতবর্ষের প্রায় সৰ্ব্বত্রই, অন্ততঃ উত্তর পূর্ব ও পশ্চিম ভারতের অধিকাংশ ভাগে প্রচলিত ছিল, এবং অন্তান্ত ভাষার উপর প্রভাব বিস্তার করিয়াছিল । বাংলা, বিহার ও উত্তর-পশ্চিম প্রদেশের অশিক্ষিত লোকে যে কুড়ি হিসাবে গণনা করে সম্ভবতঃ সেটা মুণ্ডাদের ভাষা হইতে লওয়া । এইরূপ আরও কত রকমে আর্য ও দ্রাবিড়ী ভাষাগুলি মুগু ভাষার নিকট ঋণী, সে-সম্বন্ধে এখনও গবেষণার প্রয়োজন আছে । এইবার নৃতত্বের কথা । নৃতত্ত্বের আলোচ্য বিষয় এক কথায় বলিতে গেলে—মানুষ প্রথমে কি ছিল, এখন কি হইয়াছে, কেন ও কি রীতিতে এমন পরিবর্তন হইয়াছে এবং এই পরিবর্তনের গতি মোটের উপর কোন দিকে চলিয়াছে ? আমরা দেখিতে পাই, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যে ভিন্ন ভিন্ন শাদা, কালো, তামাটে ও পীত রঙের লম্বা, বেঁটে ও মাঝারী ধরণের বিভিন্ন জাতির মানুষ আছে, তাহাদের শারীরিক গঠনের যেরূপ পার্থক্য তেমনই জীবিকা ও পরিচ্ছদ, গৃহনিৰ্ম্মণ-পথ’ী, আচার-ব্যবহার, সামাজিক রীতি-নীতি, ধৰ্ম্মমত ও পুজা-পদ্ধতি প্রভৃতির সেইরূপ পার্থক্য বর্তমান । বিভিন্ন জাতির শারীরিক গঠনের পার্থক্য সম্বন্ধে বিশেষজ্ঞরা যে-কারণ নির্দেশ করেন, আমাদের সহজ বুদ্ধিতে লেটা প্ত প্রবাসী S38్స অনুমান করিয়া লইতে পারি। সহজ বুদ্ধিতে আমরাও বুঝি খে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন আবহাওয়া ও খাদ্যাদির প্রভাবে এরূপ পার্থক্য উৎপন্ন হইতে পারে। কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন জাতিকে যে আমরা সভ্যতার বিভিন্ন স্তরে অবস্থিত দেখি, ইহার কারণ নির্ণয় করিতে হইলে সব চেয়ে নিম্ন স্তরের জাতিদের লইয়া গবেষণা আরম্ভ করিয়া, ক্রমশঃ উচ্চ হইতে উচ্চতর জাতির সভ্যতার সহিত তুলনা করা প্রয়োজন এবং তাহাঁদের মধ্যে প্রভেদের প্রকার ও পরিমাণ এবং তাঁহাদের ' প্রত্যেকের ইতিহাস ও পারিপার্থিক অবস্থা পৰ্য্যালোচনা করিয়া প্রভেদের কারণ অন্বেষণ করিতে হয়। ছোটনাগপুরের পাৰ্ব্বত্য মালভূমিতে বিভিন্ন স্তরের, বিশেষতঃ নিম্নতর স্তরগুলির, যেরূপ বহুসংখ্যক জাতি আছে, তাহা ভারতে খুব অল্প প্রদেশেই বর্তমান । এই জন্ত নৃতত্বের গবেষণার ইহা একটি প্রধান ক্ষেত্র । সভ্যতার বিভিন্ন স্তরের জাতিদের এইরূপে তুলনা করিলে ও তাহাদের সভ্যতার ইতিহাস পর্য্যালোচনা করিলে দেখা বায় যে, প্রথমতঃ পারিপার্থিক অবস্থার পরিবর্তনে সভ্যতার উন্নতি ও অবনতি হইতে পারে। দ্বিতীয়ত, সভ্যতর জাতির সংস্পর্শ সভ্যতার উন্নতির একটি প্রধান উপায়। তৃতীয়তঃ, অষ্ঠ জাতির সঙ্গে সংস্পর্শে সকল জাতি সমান ফললাভ করিতে পারে না । বদ্ধমুল পূৰ্ব্ব সংস্কারের প্রভাবে ও শিক্ষার অভাবে কোন কোন জাতি সম্যক ভাবে নুতন ভাব, আচার-ব্যবহার প্রভৃতি গ্রহণ করিতে অসমর্থ; আবার কোন কোন সৌভাগ্যবান জাতি অধিকতর উন্নত জাতির সংস্পর্শে ও সাহায্যে একেবারে দুই চারি ধাপ উপরে উঠিয়া যায়। এই সমস্ত বিবেচনা করিয়া মোটের উপর এই সিদ্ধাস্ত করা যায় যে লভ্য জাতিদের সঙ্গে অসভ্য জাতিদের প্রভেদ প্রকৃতিগত নয়—কেবল শিক্ষাগত মাত্র । বে-সব জাতিকে আমরা অসভ্য বলিয়া অবহেলা করি তাহারা সাধারণতঃ সভ্যতাভিমানী জাতিদের অপেক্ষ স্বাভাবিক বুদ্ধি বা অপরাপর মনোবৃত্তিতে নিকৃষ্ট নয় ; কেবল প্রতিকুল পারিপার্থিক অবস্থার প্রভাবে বা উপযুক্ত শিক্ষা ও সুযোগের অভাবে সেগুলির যথাযথ স্ফুরণ বা পরিমার্জন হইতে পারে নাই । এই জন্ত প্রাচীন হিন্দু শাস্ত্রকারের বলিয়াছেন যে, বস্তুতঃ শবর কোল তীল প্রভৃতি অসভ্য জাতির প্রকৃতিগত ক্ষত্রিয় জাতি ; কেবল