পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

支Fi5F ' বাহ্মণ অর্থাৎ আচার্য্যের দর্শনাভাবে বুধলত্ব বা পাতিত্য প্রাপ্ত হইয়াছে । আমরা দেখিতে পাই ইহারাও প্রকৃতির সহিত সাধ্যমত সংগ্রাম করিয়া যতটা সম্ভব নিজেদের খাপ খাওয়াইয়া আবাসস্থান ও খাদ্যসমস্ত প্রভূতির মোটামুটি একটা সমাধান করিয়া লইয়াছে। পারিবারিক ও সামাজিক বিধিবিধান, আইনকানুন, নীতিধৰ্ম্ম প্রভৃতির উদ্ভাবন করিয়াছে, প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র, যন্ত্রপাতি, দাজশয্যা, অলঙ্কাৱাদি ও অন্তান্ত গৃহসামগ্রী ও বাদ্যযন্ত্র প্রভৃতির উদ্ভাবন করিয়াছে । বস্তুতঃ সভ্য জাতিদের অস্ত্রশস্ত্র, বাদ্যঘন্ত্রীদি, অলঙ্কার ও সাজসজ্জা, আসবাবপত্র প্রভৃতির মধ্যে অনেকগুলিই আদিম নিবাসীদের উদ্ভাবিত জিনিষের উন্নত ও সংস্কৃত সংস্করণ মাত্র । যে ‘অসভ্য জাতির কৃষিকাৰ্য্য অবলম্বন করিয়া অপেক্ষাকৃত সচ্ছল অবস্থা প্রাপ্ত হইয়াছে, তাহারা জীবিকা-অৰ্জ্জনের ও শরীর-রক্ষার চেষ্টা ছাড়াও মনের অল্পবিস্তর উৎকর্ষ সাধন করিবার অবকাশ পাইয়াছে। সুতরাং অবসর-বিনোদনের ও জীবনের সোঁকুমাৰ্য্য সম্পাদনের জন্ত নৃত্যগীত ও শিল্পকলার স্বষ্টি করিয়াছে। জীবনের সমস্ত ও মৃত্যুর পরপারের প্ৰহেলিকা তাহদের মনকেও আলোড়িত করিয়াছে, ভূতপূজার অসারত্ব উপলব্ধি করিয়া ধৰ্ম্মের ও ভগবানের প্রকৃত তত্ত্ব অনুসন্ধান করিয়াছে। এই চেষ্টাতেই মুণ্ডাদের মধ্যে ‘বীরসা’ ধৰ্ম্মের, ওঁরাওদের মধ্যে টানা ভকত ধৰ্ম্মের, সাওতালদের মধ্যে 'সাফাহোড়’ ধৰ্ম্মের এবং সম্প্রতি ছোটনাগপুর ও উড়িষ্যায় হরিবাবা’ ও ‘হরিরাজ ধৰ্ম্মের আবির্ভাব হয়, কিন্তু শিক্ষার ও পরিচালনার অভাবে অবাস্তর পথে চলিয়া গিয়া অকৃতকাৰ্য্য হইয়াছে। এই সমস্ত বিষয়ে সভ্য জাতিদের সঙ্গে অসভ্য আদিম অধিবাসীদের প্রভেদ কেবল উৎকর্ষের পরিমাণে, প্রকারে নয়’ । প্রমাণস্বরূপ ছোটনাগপুরের অসভ্য মুণ্ডাদের গীতিসাহিত্যের সীমান্ত পরিচয় দিব । মুওাজাতি নিরক্ষর । তাহারা গদ্য পদ্য কিছুই লেখে না। তাহাঁদের মধ্যে কতিপয় ভাবুক ব্যক্তি কখনও কখনও মনের আবেগে মুখে-মুখে গান বাধে ও গায় এবং তাহদের ভাষার দৈন্ত, সুর-তালের অসম্পূর্ণতা ও অলঙ্কারের অভাব তাহারা পূরণ করে গভীর ভাবের আবেগে তালে তালে মৃত্য cছাটনাগপুরে সাহিত্যসেবার উপাদান అ్బులి করিয়া । জনসাধারণ সেই গীতগুলিতে আপন আপিন মনোভাবের প্রকাশ দেখিয়া পুলকিত হয় ও সাগ্রহে গীতগুলি আরম্ভ করে । স্বভাবের সৌন্দর্য, যুবক-যুবতীর প্রেম, মিলনের মুখ ও বিরহের দুঃখ ; পার্থিব সুখের, সৌন্দর্য্যেয় ও মানবজীবনের নশ্বরতা প্রভূতি যাহা চিরকাল সৰ্ব্বদেশে কবি-হৃদয়কে ভাবের প্রবল উচ্ছ্বাসে উচ্ছসিত করিয়াছে তাহ অসভ্য মুণ্ডাকবিদের হৃদয়কেও উদ্বেলিত করে । সভ্য জাতির কবির উচ্চাঙ্গের কবিতায় যে উচ্ছ্বাস মুখরিত হয়, সেই সব সুখ-দুঃখ, প্রেম ও মৃত্যু, আশা ও ভয় নিরক্ষর মুণ্ডার হৃদয়কেও আলোড়িত করে এবং সেই তাবের উচ্ছ্বাস তাহারাও গানের স্বারা ধ্বনিত করে । কিন্তু তাহাদের ভাষা ভাবের গভীরতায় তলম্পর্শ করিতে না-পারিয়া হস্তপদের বিভিন্ন ভঙ্গী বা নৃত্যের সাহায্য লইয়া থাকে। মুণ্ডাকবি ভাবের গভীরতা প্রকাশ করিবার ব্যাকুলতায় একই ভাব নানা ছনে পুনরাবৃত্তি করে, একই শব্দ বার-বার আবৃত্তি করে, আর প্রতিশব্দের উপর প্রতিশব্দ চাপায় । আর শ্রুতিমধুর করিবার জন্ত গানে শব্দের প্রথম অক্ষর স্বরবর্ণ বা ‘হ থাকিলে তাহার আগে “ন’ জুড়িয়া দেয়, যেমন ‘হাতুর স্থানে নাতু’, ‘স্থত্তি’র স্থলে "মুণ্ডি’, ‘ওড়া"র পরিবর্তে নোড়া’ ও আরও কয়েকটি উপায় অবলম্বন করে । প্রথমে একটি প্রেমগীতি বলিতেছি । একটি মুগু যুবক তাহার ঈপ্সিত যুবতীকে বলিতেছে— কুচ মুচ কুন্দুরুমু কুচ কোটাং তাঙ্গিী কুলুরু, কুচ কোটাং তাঙ্গিা নাইরি। নাড়ি নীড়িল পলাতুম নাড়িম্। কোটাং তাদিঙ্গ পলাণ্ডুংনাড়িন, কোটাং তালিঙ্গী লাইরি। ঞ্জিউরে সুকুয়ানরে দো দোলাং সোনায় কুলুরু দো দোলাং সেনোয়া নাইরি। কুড়ামবারে রেড়াধানরে, মারে দোলাং বিরিদ, পলাও, মারে দোলাং বিরিা নাইয়ি ॥ অনুবাদ কৃষ্ণুরু লতা যেমন বৃক্ষকে জড়িয়ে রাখে, তুমিও তেমনি তোমায় [ প্রেম ] ডোরে আমাকে বেঁধে ফেলেছ পলাণ্ডুলত যেমন বৃক্ষকে আলিঙ্গন ক’রে আঁকড়ে রাখে। তুমিও তেমনি আমার হারকে জড়িয়ে রেখেছ ৷ বখন হৃদয় { এমন ] আনন্মে উথলে উঠছে, হে অামার কুলুরুলতিকে, छल श्रीभग्नां भकज़ छौदमनtथ गोछि प्तिहे ।