পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᏔᎲ8 প্রাণ যখন প্রেমানন্দে ভ"স্থে গেছে চল, পলাণ্ডুগতিকে, চল আমরা একত্রে জীবনপথের পথিক হই । তার পর যুবতী তার প্রেমাম্পদের জন্ত ফুলের মালা লইয়া সারা দিন মাঠে মাঠে খুজিয়া বেড়াইতেছে, মালার ফুল শুকাইয়া যাইতেছে, তবু প্রেমাম্পদের সাক্ষাৎ মিলিতেছে না; তখন এইরূপে বিলাপ করিতেছে— মোদে পিড়ি লেলেমৃত্বে গাতি কামু লেলো লেলোয় গাতিং, বায়ে পিড়ি লেলেনৃয়ে গতিং বামু চিনাও চিনাও। গুদিৰাইং গুতুলে গতিং কামু লেলো লেলোয় গতিং, স্বাগড়ি ৰা-ইং গালাঙ্গলেদ সাঙ্গাইং কামৃ চিনাও চিনাও । হুদি স্ব-ইং ওতুলেদা গাতিং চারিগে গোসোয়ান, ৰাগড়ি ব-ইং গালাং লেদা সাঙ্গাইং কুতাম্ রেগে ময়লাখানা। অনুবাদ ছে সখা, তোমায় সন্ধানে প্রথম এক ক্ষেতে গেলাম, কিন্তু পেলাম না তোমার লেখা পেলাম মা, দ্বিতীয় ক্ষেতে গেলাম, সখা, তবু তোমার সন্ধান মিললো না সখী, - মিললো না । আমি (তোমারই জন্ত ) মুণি ফুলের মালা গেঁথেছিলাম, তোমার দেখ! পেলাম ন!, সখী, পেলাম না । বাগড়ি ফুলের মালা গেঁথেছিলাম, সখা, কিন্তু তোমার সাক্ষাৎ মিললে না, সখী,মিললো না । (খড়িকার উপর । লুঙ্গি ফুলের মালা গেঁথেছিলাম, সখা, (হায় ) সে মাল খড়িকার উপরেই শুকিয়ে গেল । ৰাগড়ি ফুলের মালা গেঁথেছিলাম, সখা, (হায়) সে মালা হত্যের উপরেই স্নান হ’য়ে গেল । তার পর যৌবনের নশ্বরতা সম্বন্ধে অনেক গীত আছে। একটি গীত এইরূপ — [ গেন । সিরিজটি নোড়ীয়ে মা গাভিমু, পাটাগোড় রোসোম রে । ৰা’লেকা গুড়গুলেন। গতিম ; ডালি’লেকামু পায়ারলেন । বালেকামু মুড়ঙ্গলেন, গতিমূ. ৰালেকামূ গোসোয়ান ডালিলেকা পারায়লেন, সাঙ্গাইং ডালিলেকামূ মইগায়ান। ওতে লোলোঙেচি, গীতিম, সিরিম জেটেতে ? ৰালেকামূগোসোমান গতিমূ, ডালিলেকামূ ময়লায়ালু। ওতে লোলোতেও কা'গে ; সিরিমা-জেটেতেও কা’গে ; সোমায় সেনোভানা, গতিমূ, মোসাড় বিদিতাল। অনুবাদ ছিটে বেড়ার স্বল্প থেকে, সখি, ছিটে বেড়ার স্বয় থেকে ; তুমি ফুলের মত দীপ্তিতে ৰেখিয়ে আসতে, সখি, বেরুতে ময়ূর-কুটির মত শোভাতে। তখন । প্রস্ফুটিত ] ফুলের মত শোভায় ৰেয়তে, সখি, এখন ( বয়া ) ফুলের মত গেছ শুকিয়ে । তখন তুমি ময়ুর-ফুটির মত দীপ্তিতে শোভা পেতে, সখি, अथन ७कुमां भजूझ-भूक्लिन्न अठ cभप्इ भनिन इ'प्ता । তোমার ছিটে বেড়ার স্বয় কি এত উত্তপ্ত হয়েছে, সখি, ধ্ৰু প্রবাসী ; 0 No<>8> যে তোমার সে সৌন্দৰ্য্য আজ শুক্নো ফুলের মত শুকিয়ে ফেলেছে ? শুকনো ময়ূর-কুটির মত মলিন ক’রে ফেলেছে ? ( উত্তর ) মাটির উত্তাপেও এমন ছয় নি, সখী, পূর্য্যেয় উত্তাপেও এমন হয় নি, সময় চ'লে গেছে, সখী, তাই এমন হয়েছে, যৌবন ফুরিয়ে গেছে,—তাই এমন হয়েছে। মিলন বিরহ এবং জীবন ও যৌবনের নশ্বরতা ছাড়া, মুণ্ডীদের সঙ্গীতের প্রধান বিষয়,—রাধাকৃষ্ণপ্রেম, বিবাহ, মৃগয়া, যুদ্ধ, বর্ষায় চাষীর আনন্দ, বাদ্যের মধুর স্বরে মুগুী-হৃদয়ের আনন্দ, ধান্তলক্ষ্মীর সম্বৰ্দ্ধন, প্রখর রৌদ্রে কিংবা অনাবৃষ্টিতে কৃষকের আশঙ্কা, অত্যাচারীর উপর ঘৃণা বা রোষ । একটি গানে মুণ্ডাকবি ধানকে “লক্ষ্মীরাজা’ বলিয়া আহবান করিয়াছে ও নদী-তীরের ঠাণ্ডা হাওয়ায় শীতে “লক্ষ্মীরাজা” কাপিতেছেন মনে করিয়া সমবেদনা প্রকাশ করিতেছে। অনেক গানেই ফুলের সৌন্দর্য্যে কবিহৃদয়ের আনন্দ নানা রূপে বর্ণনা করিয়াছে। কোন ফুলকে উীয়মান প্রভাতসূর্য্যের সঙ্গে, কেন ফুলকে উদীয়মান চন্দ্রের সঙ্গে, এইরূপ নানা ভাবে ফুলের শোভা ও সুগন্ধের বর্ণনা আছে । ফুলের ভিতর মুণ্ডাকবি ফুলের প্রাণ অনুভব করে ও তাহার সঙ্গে সহানুভূতি প্রকাশ করে। শিকারীদের বল্লমের আঘাতে হুণ্ডি ফুল ও শিয়াড়ী ফুল ভাঙিয়া গিয়াছে আর বাঙ্গুর ও বকাই ফুলের পাতা ছিড়িয়া গিয়াছে কিংবা অন্ত কোন ফুল বা পাতার তুর্দশা ঘটিয়াছে, এই জন্ত সেই ছিন্ন ফুল ও পাতার সঙ্গে সমবেদনাজ্ঞাপক অনেকগুলি গান আছে । সেগুলি শুনিলে স্কটলগুের কৃষক-কবি বার্ণ-এর কবিতা মনে পড়ে। মুণ্ডাগীতির আর একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়—ছোট ছোট পার্থীদের মুখ-দুঃখে কবির সহানুভূতি। মুওাগীতি-রচয়িত যেমন আপন ছোট ছেলে-মেয়ের সুখদু:খে সহানুভূতি ও সমবেদন গানে প্রকাশ করেন, ঠিক সেইরূপে পার্থীদের মুখে সুখ, দুঃখে দুঃখ, আশঙ্কার আশঙ্কা, গানে প্রকাশ করেন। অসভ্য আদিম অধিবাসীদের হৃদয়েও যে সৰ্ব্বভূতের সঙ্গে নিজের প্রাণের যোগ এবং ভগবানের যোগের উপলব্ধি হইতে পারে, ইহার প্রমাণ-স্বরূপ ওঁরাও ভকতদের ‘प्रकः श्रीप्ठद्र नमूना निtडहि । क्रीडाँफेब्र eाब्रख् এইরূপ ৪—