পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছকুণ্ঠিন لاه وياوW বিচারালয়ের আদেশই চূড়ান্ত, যদি-না এখানকার প্রেসিডেন্ট অষ্টমত হন । যদি প্রেসিডেন্ট ভিন্ন মত পোষণ করেন ত হ’লে সে বিষয়টি ‘প্লেনাম’ বা আদালতের সাধারণ সভায় উপস্থিত ক’রে মীমাংসা করা হয়। তবে সাধারণতঃ বাণী বা প্রতিবাদী পক্ষ এই আদালতে আপীল করতে পারে না । যদি এই আদালত ইচ্ছা ক'রে কোন মোকদ্দমা পুনর্বিচার করতে চায় বা রিপাব্লিকের প্রোকিউরেটার কোনটি এখানে পাঠাতে চান তা হ’লে নিম্নআদালতের রায় উণ্টে দেবীর ক্ষমতা এই আদালতের আছে । এর বিচার-বিভাগে কেবল দেশের অত্যস্ত দায়িত্বশীল লোকেদের (যথা, প্রোকিউরেটর, সুপ্রম-কোর্টের বিচারক ইত্যাদি ) বিচার হয়। রিপাব্লিকের সব আইনকানুন বা বিচার-পদ্ধতির ( procedure ) সমস্ত এই আদালত সমাধান ক’রে দেন । কেন্দ্রীয় সরকারের (U. S. S. R.) সুপ্রম-কোর্টেরও উল্লিখিত সমস্ত ক্ষমতা আছে। এই আদালত সাতটি রিপাব্লিকের সুপ্রম-কোর্টের বিচার পুনরায় তদন্ত করতে পারে ও অন্ত রায় দিতে পারে। রিপাব্লিকগুলির মধ্যে কোন ঝগড়া-বাটি হ’লে এই আদালত তার বিচার করে এবং এর বিচারকেই চূড়ান্ত বলে শিরোধাৰ্য্য করতে হয় । খুব উচ্চপদস্থ সরকারী কৰ্ম্মচারীদের বিচার এই আদালত করে। এর প্লেনাম’ বা সভার রিপাব্লিকগুলির সেন্টাল একৃসিকিউটিভ কমিটির সিদ্ধান্ত বা বিচারের কিছু কিছু ওলট-পালট করে দেবার ক্ষমতা আছে । এই সেন্টাল একসিকিউটিভ কমিটিগুলিই রিপাব্লিকগুলির কর্ণধার। এই সব বিচারালয় ছাড়াও রেড আর্মি বা সৈন্তদলের বিচারার্থ মিলিটারী কোট আছে । আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “বিচারকদের মাইনে কত ? তাদের শিক্ষা-দীক্ষাই বা কতদূর ? ওদের মাইনে নিশ্চয়ই বেণী ?” গাইড উত্তর দিল, “ক্যাক্টরীতে কুশলী কৰ্ম্মীরা (skilled labourer ) যে বেতন পায় বিচারকরাও তাই পেয়ে থাকে। ও এক সময় শ্রমিকই ছিল, পরে ওর বিচার-বুদ্ধি ও সাধারণ জ্ঞানের তীক্ষত দেখে ওকে বিচারক করা হয়েছে।” পরে মহিলা-বিচারক ও অন্ত বিচারককে দেখিয়ে গাইড বলতে লাগল “ওয়া এখনও কারখানাতেই কাজ করে। বছরে ছ-দিন মাত্র ওদের বিচার করতে দেওয়া হয়েছে—এর পর ওরা আবার কারখানায় ফিরে যাবে। যদি ওরা বিচারে নৈপুণ্য ও বুদ্ধি দেখাতে পারে হয়ত একদিন ওরাও এমনি পাকাপোক্ত বিচারক হবে।" বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, “এই সব জানাষ্ট্ৰী লোক দিয়ে বিচার হয় ? ওরা নিশ্চয়ই আইন পড়ে।” গাইড হেসে উত্তর দিলে, “না, কিন্তু ওদের বিবেক-বুদ্ধি ও সাধারণ জ্ঞান আছে, তা ছাড়া মাঝে মাঝে কারখানায় আইন-বিষয়ে ওদের শিক্ষণ দেওয়া হয় । এখানেও ঐ বিচারক ওদের আইনের ধারা বুঝিয়ে দেন।” জিজ্ঞাসা করলাম, “তা হলে যদি স্থায়ী বিচারক ও এই দুই জন ছ-দিনের বিচারকের মধ্যে মতদ্বৈধ ঘটে তা হ’লে কার মত বাহাল থাকবে ? ঐ আনাড়ীদের, না শিক্ষিত বিচারকের ?” “যদি ওরা দু-জনেই একমত হয় তবে শিক্ষিত বিচারকের মত বাতিল হবে, কারণ মতাধিক্য এদিকেই বেণী ।” জিজ্ঞাসা করলাম, **আচ্ছা, মহিলা-বিচারকদের কি পুরুষদের মতই বিচক্ষণ মনে কর ; ওদের বিচার-বুদ্ধি কি সমান তীক্ষ ?" আমার মহিলা গাইড এ-প্রশ্নে বেশ উত্তেজিত হয়ে উঠলেন। তিনি সম্মিত মুখে বললেন, "কেন তারা সমান হবে না ? তারা কি পুরুষদের চেয়ে বোকা ? মেয়েরা যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুরুষদের চেয়ে চালাক হয় এ-কথা স্বীকার কর না ?” তার হাসির মধ্যেও অস্তরের উষ্মার আঁচ পেলাম । বললাম, “তারা বুদ্ধিমান হতে পারে কিন্তু তারা ভাবপ্রবণ, যেটা বিচারের সময় নিরপেক্ষতার একটা প্রধান অস্তুরায় ।” হেসে গাইড উত্তর দিলে, “ওটা সেকেলে যুক্তি । একই শিক্ষণ ও আবহাওয়ায় মানুষ হ’লে মেয়ের পুরুষদের চেয়ে ভাবপ্রবণ হবে কেন ? আর যদিই বা হয় তাতেই বা বিশেষ ক্ষতি কি ? বিচারার্থীদের সব বিষয় দরদ দিয়ে দেখতে পারলে তবেই ছায়বিচার হয় ।” বললাম, "আচ্ছা, ও তর্ক পরে হবে। এখন বিচারকদের