পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

לו"ל) বস্তায় লুপ্ত হইয়াছে। চক্রবর্ম এই প্রাচীন খুক্ষরণার অধিপতি ছিলেন কি? কে আমাদের সংশয়চ্ছেদ কৰিৰে ? স্থাতনায় ও কেঞ্জাকুড়ায় যুদ্ধে নিহত আযুধিক সৈমিকের পাষাণ-মূর্তি দাড়াইয়া আছে। তাহারা কত কালের মৃত সাক্ষী, কোন মুঙ্কের, কোনূ প্রতিপক্ষের সাক্ষী, কে সে বিজয়যাতী-ঘোষণাঞ্জ কাহিনী শুনাইবে ? সে পক্ষ পরাজিত হুইয়াছিল। সে নিমিত্ত মূর্তি স্থাপিত হইয়াছে। এইরূপ মুক্তি জন্ত স্থানেও আছে। দেশটি জনার্বের অধিকৃত ছিল। নিরুপমা রাঢ়ভূমিও এককালে তাহদের ভোগে ছিল, পবিত্র ব্ৰহ্মাবর্তও ছিল । তাহাতে দেশের গৌরবহীনি হয় না। নিবিড় অরণ্যানী রাঢ়ের পশ্চিমের দেশটিকে রক্ষা করিয়া আসিয়াছে। দেশটি সূতলও নয়। কত যুগ চলিয়া গিয়াছে, যাহার সংখ্যা কৱিতে ভূবিদ্যার আশ্রয় লইতে হইবে। বাকুড়া নগরের যেখানে সরকারী কৃষি আপিস, দেখিতেছি গুর-বিকৃত প্রস্তরের বৃষ্টিবাত্য-গীতাতপছত পর্বতের উপরে রহিয়াছে। छथम श्रां८कूश्वन्नैौ नर्मौग्न छग्न झग्न मांहे, यéांद्र शछ छांद्रtकञ्च८ब्र পড়িত । বস্তার কামে সে ভগ্ন ক্ষয়িত বিশ্লিষ্ট পর্বতের শি:প্লাদেশে এখনও আধহাত-পুরু মুক্তিক রহিয়াছে। সে খgার পলিতে কৃষিক্ষেত্রে হইয়াছে । সে শ্বাপদসঙ্কুল বনভূমি কঙঞ্চাল জমীন ছিল, কে জানে ? তার পর মানুষের কুঠারে স্থানে স্থানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনপদ আরম্ভ হইয়াছিল। সে কুঠার কেহ খুজে নাই, কে খুজিবে ? হয়ত দৈবাৎ চোখে পড়িয়ছে, সামান্ত পাথর মনে হইয়াছে, দূরে নিক্ষিপ্ত হইয়াছে। কোথাও কোথাও এখনও শিলাশস্ত্র আছে । কিন্তু কে অম্বেষণ করে, রক্ষা করে ? বাকুড়ার উত্তরসীমা হইতে পার্শ্বনাথ পর্বত অধিক দূরে নয়। এটি শেখর ভূম । বাকুড়া ও শেখরভূম মিশিয়া গিয়াছে, উভয়ের অবচ্ছেদক রেখা আধুনিক ও কৃত্রিম । দেশটি গয়৷ হইতে দক্ষিণগামী পথেও পড়ে। জৈন ও বৌদ্ধ পরিব্রাজক এদেশে বাস করিয়াছিলেন। তাইদের নিমিত শিলামূর্তি মানাস্থানে দেখিতে পাওয়া যায়। বিষ্ণুপুরের পূর্বভাগে দ্বারকেশ্বর নদের কুলে বৌদ্ধ বিহার ছিল। এখনও লোকে সে ৫ামকে বিহার বলে। সেখানে মকরাক্ষ নামে নরপতি ক্টাপাইর ঘাট বাধাইয়া দিল্লছিলেন। কে সে রাজা ? তিনি ং প্রবাসী ;* ఎని8ు جگنواۓ۔ কবে ছিলেন ? একতেশ্বর শিবমন্দিরের জৰিমণ্ডপ্রাচীরের মধ্যে 'ধাদারাণী’ নামে যে শিলামূর্তি পূজিত হইজেছ, সেট জৈন কি বৌদ্ধ তাহাও জজ্ঞাত স্থহিছে । কোন শক্তি মহানুভব রাজা অম্বিকানগর নামে রাজধানী কন্ধিয়াছিলেন ? কোন বিচক্ষণতত্ত্বদশী জৈন-বৌদ্ধ-শক্তি-শৈব-বৈষ্ণব-গাণপত্যসৌর প্রতিমা কুমারী নদীতটে বর্তমান কালের চিত্রশাল করিয়াছেন ? কত প্রতিমা নদীগর্ভে বিনষ্ট হইয়াছে, কত অপহৃত হইয়াছে, কত সাগরাস্তরিত হইয়াছে ! এখনও এখানে ওখানে মুক্তিক হইতে নূতন নূতন শিলামূর্তি পাওয়া যাইতেছে । কে সে সব সংগ্রহ ও রক্ষণ করিবে ? কে বাহুলাড়া গ্রামের সিদ্ধেশ্বর শিবের, কে ইন্দ্রপুরের চণ্ডীর মন্দির নির্মাণ করাইয়াছিলেন ? কে কবে একতেশ্বরের মন্দির, কে ফুটগড়িয়ায় মন্দির, সোনাতাপলের মন্দির নিমণি করাইয়াছিলেন ? পূর্বকালে দেশটি দরিদ্র ছিল, এখনও দরিদ্র । তথাপি কৃমিজ বস্ত্র, উত্তম কাংসপাত্র নির্মিত হইত। সেকালের বস্ত্র, লৌহতাম্রপিত্তলকাংসপাত্র, রৌপ্য ও স্বর্ণ অলঙ্কার, মৃন্ময় পুত্তলিকা দেশের কলানৈপুণ্যের ও রূপকল্পনার সাক্ষী। সে পট-কার কই যে রামলীলা ও কৃষ্ণের ব্রজলীলার চিত্র লিখিত, দশাবতার তাস লিখিত ? কোন সে লৌহকার ঘে আকর হইতে লৌহ নিষ্কাশিত করিত ? কোন সে কর্মকার যে যুদ্ধাস্ত্র নির্মাণ করিত ? সে যুদ্ধান্ত্রের কি রূপ ছিল ? কোন দক্ষ কম কার ১ ফুট সুধিরের ১২ ফুট দীর্ঘ দলমৰ্দন কামান গড়িয়াছিল ? কত কম কার দুই শত মণ লৌহ জুড়িয়াছিল? লৌহের নিমিত্ত কম কারকে দূরে ষাটতে হয় নাই। বিষ্ণুপুরের দক্ষিণ-পশ্চিমে রাইপুরের নিকটে এক ছোট পাহাড় হইতে এখনও লৌহ নিষ্কাশিত হইতেছে । হাজারিবাগ হইতেও আকর আসিত, কেঞ্চকুড়ার নিকটে লৌহ পৃথক হইত, লৌহমল তাহার সাক্ষী। সমস্তল, ভূমিজ, মৃত্তিঙ্গ ও বর্বর জাতির বাসভূমিতে কাঞ্জিলাল গাঞির ব্রাহ্মণের আদিগ্রাম কেঞ্জকুড়ায় স্থাপিত হইয়াছিল। কনৌজ হইতে কত পাঠক, ত্ৰিবেদী, অধ্বষু, বাজপেয়ী, অগ্নিহোত্ৰী আসিয়া বাল করিয়াছেন - উত্তরবঙ্গ হইতে বায়েন্ত্র ব্রাহ্মণ জালিয়াছেন। উৎকল বইতে ব্রাহ্মণ ও বৈশু জাসিয়া নিবাসী হইয়াছেন । বর্ধমান হইতে