পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

جاسوان\ দ্বিতীয় গোপালের রাজত্বকালীন তি পৃথি (ব্রিটিশ মিউজিয়ম ) জাপানী ধৰ্ম্মগ্রন্থের বর্ণমালা একাদশ শতাব্দীর বাংলা অক্ষরের অনুরূপ। ডাক্তার অtমন্দকুমারস্বামী ব্ৰহ্মদেশের বিখ্যাত পেগtল মন্দিরের গাত্রে অঙ্কিত ফ্রেস্কো চিত্র সম্বন্ধে আলোচনা করিতে গিয়া লিথিয়াছেন, “এই ফ্রেক্সে। চিত্রাঙ্কন-রীতির সহিত বাংলা ও নেপালের একই প্রকৃতিগত সাদৃশু আছে এবং কেন্থিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ষিত ১৬৪৩ খ্ৰীষ্টাব্দের রঞ্জিত পুথি ( নেপাল ১০১৫ খ্ৰীষ্টাব্দ ), এশিয়াটিক সোসাইটিতে রক্ষিত পুথি (:নেপাল ১০৭১ খ্ৰীষ্টাব্দ ), ১৪৬৪ এবং ১৬৮৮ খ্ৰীষ্টাব্যের কেন্থি,জে রক্ষিত পুথি (বাংলা একাদশ শতাব্দীর, বেষ্টনে রক্ষিত পুথি ) প্রভৃতি বিচার করিলে ইহার প্রমাণ পাওয়া যায়।”+ আবার ভিক্ষু তারনাথও তাহার গ্রন্থে লিখিয়াছেন যে, দেবপালের সময় হইতেই নেপালের শিল্প বঙ্গশিল্পের দ্বারা গভীর ভাবে প্রভাবান্বিত হইয়াছিল এবং তিব্বতের বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের বর্তমান রূপ অতীশই প্রথম প্রবর্তন করেন । তখন তিব্বতের শিল্পও পালশিল্পদ্বারা অনুপ্রাণিত হয় । আমরা + History of India and Indonesian Art, p. 172. ఎని8S নেপাল ও তিব্বতের মন্দির-গাত্রে লম্ববীন চিত্র ও সমসাময়িক বঙ্গচিত্র বিশ্লেষণ করিলে এই সত্য উপলব্ধি করিতে পারি } ইহার পর পালের মাত্র কয়েক পুরুষ বাংলার সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং পালরাজ মদন পালের সময় হইতেই বঙ্গ দশ বার-বার বিদেশীগণ কর্তৃক উৎপীড়িত হইতে থাকে। অবশেষে দ্বাদশ শতাব্দীর প্রারস্তুে সেনেরা বাংলার সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। এতদিন পর্য্যস্ত বৌদ্ধ ও ব্রাহ্মণের শাস্তিতেই পরস্পর বাস করিতেছিলেন, কিন্তু সেন রাজাদের সময় হইতেই বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণ্য ধৰ্ম্মের প্রতিক্রিয়া আরম্ভ হয়। এই সব কারণে বোধ হয় বঙ্গশিল্পীরা ব্যতিব্যস্ত হইয়। গোপাল সমস্ত ভারতে ছড়াইয় পড়েন । আমাদের মনে হয় কাংড়াউপত্যকার শিল্পীরা ইহাদেরই বংশধর । কাংড়া-শিল্প বিচার করিলে আমরা দেখিতে পাই ইহার বিধয়-বস্তু, বর্ণবিষ্ঠাস ও মূৰ্ত্তি-রচনা বঙ্গশিল্পের একই ধাচে গঠিত। যদিও ইহাতে রাজপুত শিল্পের প্রভাব দেখিতে পাওয়া যায় এবং ইহা সম্ভবপর, কেন-ন, তদেশে বসবাস করিয়া রাজপুত শিল্পীর প্রভাব হইতে মুক্ত হওয়া কঠিন ছিল, তথাপি তাহাদের চিত্রাঙ্কনে বঙ্গশিল্পের ধারা যথেষ্ট পরিমাণে অক্ষুন্ন আছে দেখিতে পাওয়া যায়। পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে, দেবপালের রাজত্ব উত্তর-পশ্চিম-সীমাস্ত প্রদেশ পৰ্য্যস্ত বিস্তৃতি লাভ করিয়াছিল এবং শ্ৰীযুক্ত জে. সি. ফ্রেঞ্চ মহাশয়ের গ্রন্থে ইহার আরও স্পষ্ট প্রমাণ পাই। তিনি লিখিয়াছেন ঃ “লেখক যখন পাঞ্জাৰ হিল' ষ্টেট ছিলেন তখন তিনি পালবংশসম্পৰ্কীয় একটি কৌতুহলোদ্দীপক ও অপ্রত্যাশিত প্রবল প্রবাদ গুলিতে পান যে কুকেত, কাওনথল, কান্থওয়ার, মুণ্ডি প্রভূতি ষ্টেটের স্থপতিগণ বাংলায় গৌড় রাজবংশোদ্ভুত। এই সব প্রাচীন রাজপুত রাজবংশের