পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

oi=trio, ఎ98ు& وقام وأوقا খানিতে দুই-একটি রেখার টানে বেহারাদের পায়ের গতি চিত্রই বেশী দেখিতে পাওয়া যায়। এখানে গরু তাহার দেখান হইয়াছে। এই ধারার শিল্প যে এখনও জীবিত আছে তাহার কারণ বোধ হয় ঘরে ঘরে ইহার প্রচলন এবং দৈনন্দিন জীবনের দেখাশুনা লইয়া চিত্রগুলি আঁক হইত। কোন সুপটু শিল্পীর হাতে এই এক চিরন্তন গডডলিকা প্রথায় আঁকা অসম্ভব বলিয়াই বোধ হয় । আজকাল এই শিল্পের ধারা বাংলা হইতে এক রকম উঠিয়া যাইতেছে, তবে শিবদুর্গ প্রভৃতি চিত্র পূজানুষ্ঠানে আঁকিতে হয় বলিয়াই ইহার প্রচলন এখনও দেখিতে পাওয়া যায়। এই গেল বাংলার মোটামুটি শিল্পের ইতিহাস। এখন আমরা চিত্রগুলি বিচার করিয়া দেখিব এই ইতিহাসের সঙ্গে ইহাদের সামঞ্জস্ত কতটুকু আছে। আমরা কালীঘাটের পটুয়াদের অঙ্কিত অন্নপূর্ণ চিত্ৰখানিতে দেখিতে পাই—পট-ভূমিকাশূন্ত শুধু রেখাচিত্রে বিরাট কল্পনাকে রূপ দিবার অদ্ভুত পরিচয় শিল্পী এখানে দিয়াছেন। চিত্রখনিতে শিল্পী রেখাটানের নৈপুণ্যে এক অনিৰ্ব্বচনীয় ভাব ফুটাইয়া তুলিয়াছেন। বাংলার শিল্পীদের বরাবর এই দিব্যছন্দ ও জীবনগতির উপর লক্ষ্য ছিল। অন্নপূর্ণ চিত্ৰখানিতে শিব ভিখারীর বেশে দুয়ারে দুয়ারে ভিক্ষা করিয়া রিক্ত হস্তে সতীর কাছে আসিয়া দাড়াইয়াছেন। সর্তীও তাহার সৰ্ব্বত্যাগী উমানাথকে দেখিয়া ভিক্ষা দিতে ভুলিয়া গেলেন, দুই জনেই আজি একে অন্তের মধ্যে আত্মহারা । শিবের বাস্ত্র-চৰ্ম্ম খসিয়া পড়িয়াছে, চোখের পলক নাই, তিনি আজি সৰ্ব্বত্যাগী আত্মভোলা মহেশ্বর । কালীঘাটের পটুয়াদের অঙ্কিত “মাতুমূৰ্ত্তি” এবং আচাৰ্য্যদের অঙ্কিত “বস্ত্রহরণ” চিত্র দুইখানিতেও বাংলার শিল্পীদের মৌলিক কল্পনার প্রসার কতদূর হইয়াছিল তাহ বুঝিতে পারি। গো-দোহনের সময় সস্তান ফুধ থাইতে আসিয়াছে। উহা দেখিয়া ছেলে মায়ের কোলের উপর বাপাইয়া পড়িয়া ক্ষুধ খাইতে আরম্ভ করিয়া দিল । কয়েকটি রেখায় এইরূপ অসাধারণ চিত্র ফুটাইয়া তুলিতে বাঙালী শিল্পীরাই পারিত । অজস্তায় আমরা এইরূপ কয়েকটি মাতৃমূৰ্ত্তির উৎকৃষ্ট নিদর্শন পাই এবং অজস্তার শিল্পীরা “হনুমান ও তাহার সন্তান”—এই মাতৃমুক্তি চিত্ৰখানিতে প্রতিভার পরিচয় দিয়াছেন। বাংলায় অন্তান্ত পশুপক্ষী হইতে গোমাতার সস্তানকে দুধ দিতে দিতে আদর করিতেছে, শিল্পী এই ভাবট ফুটাইয়া তুলিয়াছেন। “বস্ত্রহরণ” চিত্রে (এই পদ্ধতিতে অঙ্কিত একখানি বস্ত্রহরণ fÈH ÈTG synwn qe Journal of the Oriental Society of Art পত্রিকায় প্রকাশিত করিয়াছিলেন, উহার বিষয়বস্তু এই চিত্ৰখানি হইতে আরও উৎকৃষ্ট ) জলট বড় কথা নয়, গোপিনীদের স্নান করাটাও সৰ্ব্বস্ব নয় ; বস্তু তাহাদের চুরি গিয়াছে, এখন তাহারা নিরাভরণ এই সমস্তাই প্রবল। এখানে শিল্পী তাহীদের এই অসহায় ক্ষুদ্ধ অভিমান খুব সামঞ্জস্ত রাখিয়া ফুটাইয়া তুলিয়াছেন । ইহা ছাড়া বাংলায় স্বত্রধর, মালাকরেরাও কিছু কিছু চিত্রাঙ্কন করিয়া থাকেন, তবে উহা বিশেষ উল্লেখযোগ্য নয় । বাংলার চিত্রশিল্প ধীরে ধীরে এইরূপ একটি বিশেষ ভাবে মূৰ্ত্তি লাভ করিতে পারিয়াছিল এবং চিত্রগুলির সৌন্দর্য্য-বহুলতা ও কমনীয়তাই এই শিল্পের বিশেষত্ব । বঙ্গশিল্পের একটি চিত্রাঙ্কন-রীতিতে মুর্ভিগুলির মুখ, হাত, পা দুইটি দীর্ঘ রেখার দুই পার্থে তুলি দিয়া রঙের নিটোল টানে অঙ্কিত এবং ইহাতে একটি বিশেষ ভঙ্গীতে অঙ্গ-প্রতাঙ্গের কমনীয়তা ফুটিয়া উঠিয়াছে। সাধারণতঃ মুর্তগুলির বক্ষ উন্মুক্ত, শুধু কটিদেশ বস্ত্রাবৃত এবং উহাও আবার মাত্র কয়েকটি রেখার সমাবেশে পূর্ণ। এই পদ্ধতির সঙ্গে অজস্তার চিত্রাঙ্কন-পদ্ধতির একটি পরম্পর ঐক্য ভাব লক্ষিত হয় । গ্রিফিথ সাহেব তাহার অজস্তা পুস্তকের প্রথম খণ্ডে, ১৮-১৯ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন, “অজস্তা-গুহার কতকগুলি চিত্রে মেয়েদের শাড়ী ও পুরুষদের ধুভি ঠিক বাঙালীর মত।” যদিও অজস্তার চিত্রগুলিতে মুকুট, সি’র্থী, অঙ্গদ, বলয়, কণ্ঠহার, মুক্তাজাল, মেখলা, কাঞ্চী, বাজুবন্ধ, মণিবন্ধ, কটিবন্ধ, নুপুর প্রভৃতি অসংখ্য অলঙ্কার চিত্রিত দেখিতে পাই এবং বাংলার পটচিত্রে ইহার অঙ্কন যদিও কম, তথাপি বাংলার মৃন্ময়-মুৰ্ত্তিতে এইরূপ বহুপ্রকার বেশ ও অলঙ্কারের প্রচলন আছে দেখিতে পাওয়া যায় এবং অধিকাংশ মৃন্ময়-মূৰ্ত্তিতে এই পদ্ধতিগুলি এখনও সুস্পষ্ট আছে। এই বিষয়ে শ্ৰীযুক্ত অসিতকুমার হালদার অজস্ত जच८झ जिथिब्रां८छ्न, “আশ্চর্য্যেয় ৰিবন্ধ অদভায় ছবির মধ্যে আমরা বাংলাদেশের প্রচুর