পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফান্তন বঙ্গের পটচিত্র আভাস পাই। প্রথমতঃ আমরা গুহার নিকটবর্তী দূৰত্ব গ্রামে বেড়াতে १िीन शृरु दू' tनश्,ि जरं७लिं भििन छ्ां, वझल्लीह विष्ठ অবিকল বাংলার খড়ে-ছাওয়া আটচাল । সে দেশের লোক নারিকেল গাছ চোখে দেখে নি, কিন্তু ছবিতে নারকেল যথেষ্ট। বঙ্গদেশে বাড়ের দেহের তুলনায় তাহার স্বন্ধটা যতটা বেশী উচু দেখা যায় অন্ত কোন দেশে সে রকম দেখা যায় না। অজস্তায় ১নং গুহার ঘাড়ের লড়াইয়ের इतिाल कि यांशांशद्र (मानं★ शंiप्लड़े एश्छि। शुभाश, cशनिोभूत প্রভৃতি অঞ্চলের শত শত বৎসরের প্রাচীন কাঠের পটার উপর আক যে সকল চিত্র দেখা যায়, অজস্তার ছবির সঙ্গে তার অঙ্কনপদ্ধতি, এমন কি বর্ণ ও রেখাগুলির (অজন্তার মত অন্ত উংকৃষ্ট না হলেও) একটা অদ্ভুত মিল সহজেই অনুভূত হয়। আমাদের দুর্গপ্রতিম প্রভৃতির চালচিত্রগুলি এখনও ঠিক অজস্তুর নিয়মেই গোবরমাটির জমির উপর সাদা রং দিয়া তার উপর আঁকা হয় | কালীঘাটের পটের ও অজন্তার রেখাকৌশলের মধ্যে খুবই সামঞ্জস্ত দেখন্তে গাওয়া ধায় । কালীঘাটের এই প্রচলিত পটগুলির প্লেথার টান দেখলেই অজস্তার শিল্পীদের কথা মনে পড়িয়ে দেয়।" বাংলার পট-শিল্প ও অজস্তার চিত্রাঙ্কন-রীতিতে রেখার যুস্পষ্টতা ও অন্ধন-নিপুণত একই সাদৃষ্ঠে পূর্ণতায় বিকশিত হইয়া উঠিয়াছিল এবং চিত্রগুলি বিশ্লেষণ করিলে মনে হয় বাংলার নায়ক-নায়িকার সুন্ধর ও কমনীয় ভঙ্গীর প্রকাশ অঙ্গস্তার চিত্রকেও ছাপাইয়া যায়। বাংলার এই পদ্ধতিতে অঙ্কিত সমস্ত চিত্রই বিচার করিলে আমরা দেখিতে পাই যে ইহা ফ্রেস্কো-ধরণে অঙ্কিত। এমন কি ‘অষ্টসাহস্ত্রিকা প্রজ্ঞাপারমিতা’ প্রভৃতি পুথির ক্ষুদ্র চিত্রগুলিকেও বিশ্লেষণ করিলে এই সত্য উপলব্ধি করা যায়। ভারডেনবার্গ রূপম' পত্রিকার ১৯২০ সনের জানুয়ারীর প্রথম সংখ্যায় এই পুথির চিত্রগুলি বিশ্লেষণ করিতে গিয়া বলিয়াছেন, “মূৰ্ত্তিগুলির সহজ ও মাধুর্য্যমণ্ডিত ভঙ্গী ও তাঁহাদের দেহের অলঙ্কার-সজ্জা এবং বেশ-ভূষার অঙ্কন রীতি, অজন্তার যে পদ্ধতির সহিত আমরা পরিচিত উহার সহিত মিলিয়া যায় এবং স্থাপত্য-শিল্প ও বৃক্ষাদি অঙ্কনের পদ্ধতিও অনুরূপ। রূপম’ পত্রিকার সম্পাদক মহাশয় আমাঙ্কে লক্ষ্য করুইয়া দেন যে ঐসব ক্ষুদ্রাকৃতি চিত্র পুস্তক-প্রসাধনের কোন স্বতন্ত্র পদ্ধতি নয়, উন্থ বৃহৎ চিত্রাঙ্কনের ক্ষুদ্র সংস্করণ মাত্র " (১• পৃষ্ঠ ) ওদিকে আর একটি বিভিন্ন পদ্ধতির চিত্রগুলিতে, বিশেষতঃ পুথির রঞ্জিত চিত্র, এইরুপ নিটোল ভাবের অভাব আছে দেখিতে পাওয়া যায়, উহা পূর্বেই উল্লেখ করিয়াছি । এইরূপ প্ৰ সাধারণত: মুক্তির পাদদেশ স্বক্ষতিস্বল্প খুটিনাটি প্রকা। বক্ষে আভরণ, দেহ কিংবা মস্তক চ। w পদ্ধতির বাহিরের রেখা কঠোর, রং প্রখর ও ...ধক দৃষ্ঠের মধ্যে কেমন একটা ভাবের দীনতা মুম্পষ্ট আছে। এই চিত্রাঙ্কনপদ্ধতিতে শিল্পীর রাজপুত ও জয়পুরী অত্যুঞ্জল রং ফলানোর অনুকরণে ব্যর্থ চেষ্টা করিতেন। বাংলার খাট চিত্রের পটভূমিকার সাধারণতঃ প্রধানতম রং হিমুল ছিল। বোধ হয় ইহা সুৰ্য্যের রক্তাভ বর্ণকেই চিহ্নিত করে এবং বঙ্গ-শিল্পীর চিত্র-পটের এই বর্ণবিন্যাস অতীব নয়নস্নিগ্ধকর । এই সব ওস্তাদ শিল্পীর হাতের রং এমন আশ্চর্য গভীর ও পাকা যে প্রায় তিন-চারি শত বৎসরের অযত্ব ও অসাবধান নাড়া-চাড়া সত্বেও এখনও নূতনের মত উজ্জ্বল ও অটুট আছে। উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ হইতে বাংলার চারুশিল্পের অধঃপতন হরু হয় এবং চিত্রকরের সাহায্যের অভাবে বাধ্য হইয়া ভিন্ন ভিন্ন উপার্জনের উপায় অবলম্বন করিতে থাকে। এইরূপে চর্চা ও উৎসাহের অভাবে বাংলায় চিত্র-সৃষ্টি বন্ধ হইয়া গেল। বর্তমানে বাংলা দেশে ইহাদেরই এক-আধ জন বংশধর পূৰ্ব্ব-পুরুষের শিল্পকলা নকল করিয়া আসিতেছে, ইহার মধ্যে স্বকীয় কোন বিশেষত্ব বা আত্মশক্তির কোন পরিচয় পাই না, শুধু তাহার পূর্বপুরুষের চিত্রাঙ্কনরীতির ধারাটাই চোখের সামনে ফুটিয় উঠে।*

  • বঙ্গশিল্প-সংগ্রহ নিম্নলিখিত স্থানে আছে :--

শ্ৰীগুরুসদয় দত্তের সংগ্রহ, দীনেশচত্র সেনের সংগ্ৰহ-বৰ্ত্তমানে ইং ত্রিপুরাধিপতির সংগ্রহাগার রক্ষিত, অজিত ঘোষের চিত্রশাল, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রহ, স্ত্রামিনী রায়ের সংগ্রহ-বৰ্ত্তমানে ইহার কয়েকখানি চিত্রের স্বত্বাধিকারী ষ্টেল ক্রামরিশ। বাংলায় এই লুপ্ত শিল্পীদের মধ্যে জহুরী, মটর, বীচরণ আচাৰ্য্য, বামাচরণ আচাৰ্য্য এবং কালীঘাটের কয়েক জন পটুয়া বাচির আছেন।