পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈরী ঐকানাইলাল গাঙ্গুলী S “শিকল-দেবীর ঐ যে পূজা-বেদা চিরকাল কি রইবে খাড়া ?” এই ত সেদিন মহাযুদ্ধের অবসান হ’ল, এখনও তার বিভীবিকা ইউরোপের ঘরে ঘরে ত্রাস সঞ্চার করে, আবার রণ-ভেরীর গভীর নিনাদ মহাদেশ কম্পিত ক’রে তুলল—প্রবল ফরাসীবাহিনী চলেছে জাৰ্ম্মেনীর শিল্পকেন্দ্র রূর অধিকার করতে। নিরস্ত্র জাৰ্ম্মেণী শঙ্কিত হ’য়ে উঠল । ১৯২৩ সাল জানুয়ারীর দুরন্ত শীতে রাইন নদের বিপুল জলপ্রবাহ জমে বরফ হয়ে গেছে, হয়ত নিরল্প জাৰ্ম্মান জাতির রঙীন জীবন-প্রবাহের একই দুর্দশা হ’তে চলেছে,—তার হৃৎযন্ত্র রূর-ই যে ফরাসীর অধীন হ’তে চলল । রূৰ্ব-অভিযাত্রী ফরাসীবাহিনীর পথে পড়ে বিখ্যাত শিল্প-নগর ডুসেলডর্ফ। রাইনের পশ্চিম তীরে তিন নম্বর রেজিমেণ্ট হুকুম পেল ডুসেলডর্ফ দখল করতে হবে, তারা রওনা হোক! আমনি আরম্ভ হ’ল রেজিমেন্টের রওনা হবার তোড়জোড়,-বিগেল বাজে, ডেরাডাগু ওঠে, সারি সারি মোটর লরি ও ভারি ভারি কামানের গাড়ী ঘর-বাড়ি কঁাপিয়ে বরফ কেটে কেটে চলে, চারিদিকে ধ্বনিত হয় সৈনিকদের পদচারণ-ধ্বনি ও কুচ-কাওয়াজের উচ্চ সামরিক নির্দেশ এবং ইতিহাস-প্রসিদ্ধ রণবাদ্য “লা-মার্সেইএসৃ”-এর উন্মত্ত মুর উচ্ছল হ’য়ে অতুল মুনীর রাইনের তুষারমণ্ডিত দুই কুল ভাসিয়ে দেয়। কিন্তু সৈনিকরা কেউ সন্তুষ্ট হ’ল না। হয়ত তাদের প্রচ্ছন্ন বশ -ভীতি এখনও যায় নি। শুধু সি-কোম্পানীরাসার্জেণ্টমেজর লাককু এ-সংবাদ পাওয়া মাত্র তার ঘরে ছুটে এসে টেবিলের ওপর দাড় করানো একটা ছবি বুকের মধ্যে চেপে

  • प* [ Boche ] :-शूझांद्र । वृकन्न नभरग्न कब्रांनौनन জানিয়ে প্রতি এই অজাচক সন্ধান বাক্ষা করতেন।

ধ'রে চীৎকার ক’রে উঠল, “কেতে —কেতে !” তার পরই একবার ছুটে যায় একটা ব্যাগে জিনিষপত্তর ভরতে, সেটা ফেলে আবার ছোটে তার জামাকাপড় ঝাড়তে, সেগুলো ফেলে আবার অস্থির হয়ে মুরু করে তার জুতোজোড়া ঝাড়তে, আর মাঝে মাঝে টেবিলের কাছে ছুটে এসে সেই ছবিটাকে পাগলের মত চুমু খায়। এই দেখে সেই ঘরেরই বাসিন্দে স্থূলকায় সার্জেণ্ট ছাপ অবাক হ’য়ে জিজ্ঞাসা করল, “ব্যাপার কি হে?” লাকক উল্লসিত হ’য়ে বলল, “আরে জান না ?—হুকুম হ’য়েছে ডুসেলডর্ফে রওনা হবার ” এবং হঠাৎ দুপর সেই বিশাল দেহ আঁকড়ে ধীরে অবলীলাক্রমে নচিতে আরম্ভ করল। স্থাপ বেচারী যত বলে, “ছাড়ো –আরে ছাড়ো "ি লাকক্‌-ও তত তাকে চেপে ধরে নাচে আর চেচায়, “ডুসেলডর্ফ— ডুসেলডর্ফ "ি ছাপ প্রাণপণ চেষ্টায় তার স্থল দেহ মুক্ত করে ইপিাতে ছাপাতে বলল, “এ কি ?—পাগল হ’লে না কি ?” ল্যকক-এর ভ্ৰক্ষেপ নেই, সে নাচে আর সমানে চেচায়! এতক্ষণে সেখানে একটা ভিড় জমে গেল, সকলে স্থা ক’রে এই ব্যাপার দেখতে লাগল। শেষে দু’পর ইঙ্গিতে সকলে মিলে ল্যকক্কে জাপটে ধ’রে থামাল ! জাপ জিজ্ঞাসা করল, “কি হ’ল তোমার ?” “ঙ্গান না?—আমরা যে চলেছি ডুসেলডর্ফে " মুখ ভেঙুছে ছাপ বলল, “ডুসেলডর্ফে —তাতে কি ! হবে যে অমন করছ ?—হবে ত শুধু বশু-এর হাতে অঙ্গ পাওয়া, তার জন্তে আমাকেসুদ্ধ টেনে নাচা ?”—অপর সকলে হেসে ফেলল। লাককৃ চীৎকার ক’রে উঠল, “তোমরা কি বুঝবে ?” সজোরে তাদের হাত ছাড়িয়ে ছুটে গিয়ে সেই ছবিটা নিয়ে বলল, “বিশ বছর পরে পাব আমার এই কেতেকে—” স্থাপ বাধা দিয়ে বলল, “এই ব্যাপার –তা ভেবে রেখেছ, এই यन्-भद्र cनcन मे शकन्नैौ बिन बझ्द्र जबनिकै ब्रtाc४ ?