পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ప్రివిరి "প্রবাসী ।

  • Soboe

তবে ? হয়ত তার জানালীর কাছে আসতে ভয় হচ্ছে —যদি সে ভুল শুনে থাকে ? আগেও হয়ত কতবার আমন হয়েছে ? আবার সেই বোতাম টিপল, কর্ র রীং, কর রূ রীং— ক্রিং ! সঙ্গে সঙ্গে তার সমস্ত কণ্ঠ সৰ্ব্বোচ্চ স্বরে জানাতে চাইল, “আমি-আমি—আমি !” তৰু কেউ এল না ? তবে ? তবে সে নিশ্চয় মুর্খা গেছে । তিন-তিন বার এ সঙ্কেত শুনে তার সন্দেহ গেছে যুচে, অমনি এক আনন্দ-সমুদ্র উথলে উঠে তার সমস্ত ইক্রিয় প্লাবিত ক'রে দিয়েছে—সে মুর্খা গেছে। ছি, ছি, fছ-ই ! সে কি অস্কায়ই করেছে ! আগে ওকে খবর দিয়ে প্রস্তুত ক’রে তবে তার আসা উচিত ছিল ! আর রাঙ বেল টিপে কি হবে ছাই ! সে দরজায় প্রচণ্ড ধাক্কা মারতে আরম্ভ করল । তবু সাড়া নেই ? হঠাৎ তার স্থস হ’ল সে যে ফরাসী সৈনিক, তার প্রেয়সী মুৰ্ছিতা, ঐ জাৰ্ম্মান-বাড়িত কে তাকে দরজা খুলে দেবে ? সে চীৎকার ক’রে উঠল, “দরজ থোল, কোন ভয় নেই, ওগো তোমরা দরজা থোল "ি আর শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে দরঙ্গ-ভাঙার জোগাড় করল—তাকে তার মুর্থিতা কেতের কাছে যে যেতেই হবে! হঠাৎ দরজা খুলে গেল, এক বৃদ্ধ ভয়ে বিবর্ণ হ’য়ে জিজ্ঞাসা করল, “সেনাপতিমশায়, কী চান ?” “সে কেমন আছে ?” “〔夺?” “কেতে—আবার কে ?” “কেতে ?” “হ্যা গো হ্যা, যে মুহুঁ গেছে ” “কি বলছেন ? ও নামেরই ত কেউ এথানে ¢नहे !” “তুমি জাহরমে যাও ”ি এই বলে ল্যকক্ দৌড়ে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে আরম্ভ করল। বৃদ্ধ তার পিছু পিছু ছোটে আর মিনতি করে, “থামুন—কথা শুমুন—ও নামের কেউ ধে এখানে নেই—তেতালায় যে রুগী থাকে-ওখানে অমন চেঁচামেচি করবেন না—” লাককু তীরের মত তেতলায় উঠে দরজায় ভীষণ ধাক্কা মারতে লাগল । ९ নিবিড় নিশীথ। তুষারাচ্ছন্ন নগর নীরব—তমসাবৃত। মাঝে মাঝে শুধু ভেসে আসে প্রহরীর পদচারণ-ধ্বনি-মচুমচ্‌ ! র্তাবুর মধ্যে বসে ল্যকক্ কত কি ভাবে ! এই দশ দিন সে সৰ্ব্বত্র খুজেছে—কোথাও পায় নি তার কেতের সন্ধান । সে নিয়েছে জাৰ্ম্মান পুলিসের সাহায্য, তারাও কোন সংবাদ দিল না—কেনই বা দেবে, সমস্ত জাৰ্ম্মান জাতি যে অসহযোগী ? তার বক্ষে জমেছে আঁধার নিরাশা, তার মৰ্ম্মে বিধেছে নিৰ্ম্মম ব্যথা—সে হ’ল নিশ্চিহ্ন ? হঠাৎ যেন একটা শব্দ হ’ল—কট, কটু, কট্‌ ! কঁটি-তার কাটার অfওয়াঞ্জ ? তার চিস্তাজাল গেল বিচ্ছিন্ন হ’য়ে। আবার সেই ?--অতি ক্ষীণ কিন্তু স্পষ্ট ! সে মনোযোগী হ’ল । গত মহাযুদ্ধে সে চার বৎসর ট্রেঞ্চে কাটিয়েছে—এ শব্দ সে চেনে । কতবার হুসিয়ার জাৰ্ম্মান স্নাষ্টপার সৈন্তকে সে কাটা-তার কাটার অবস্থায় হঠাৎ গ্রেপ্তার ক’রে এনেছে—তার ফলে, ফরাসী-সৈন্তের অনেক উপকার হয়েছে—কারণ এদের কাছে শত্ৰু-সৈন্তের দামী খবর পাওয়া যায়—এই কারণে তার যথেষ্ট সুনাম হয়েছে। তাই আজ তার এত বড় থাতির, সে রূৰ্ব-দখলকারী ফরাসী-বাহিনীর প্রধান সেনাপতির বাসায় প্রহরি-নায়ক সে প্রাসাদ যেন একটা দুর্গ। তার চারিধারে ঘন কাটা-তারের দুৰ্ভেদ্য প্রাচীর-প্রাচীরের স্থানে স্থানে মেশিনগান-প্রধান দেউড়ির সামনে মেশিনগান-এর সারি | প্রত্যেকটির পেছনে সৰ্ব্বদা-সতর্ক সশস্ত্র সৈনিক । এ ছাড়া ঘাটিতে ঘ"ষ্টতে, ও প্রাচীরের সর্বত্র সঙ্গীন চড়ানে রাইফেলু-কঁধে সজাগ সৈনিক সৰ্ব্বদা পাহার দিচ্ছে | ল্যকক এই দুৰ্ম্মদ প্রহরিবৃন্দের চালক । আবার হ’ল সেই আওয়াজ ?—হ্যা, এ তাই ! এখন ফু-জায়গা থেকে শব্দ আসছে । তবে কি একটা দল এসেছে ঐ কাট-তারের বেড়া কাটতে ?—ধ্যা,তাই ! ওদের সঙ্কলকে জ্যাস্ত ধরতে হবে । মেজেয় খড়ের বিছানায় জনকয়েক সৈন্ত ঘুমিয়ে ছিল, তাদের চুপি চুপি তুলে, চুপি চুপি নানা রকমের নির্দেশ দিয়ে তাবুর কোণে গুপীকৃত অস্ত্রশস্ত্র নিঃশব্দে নিয়ে, আস্তে আস্তে সকলে বেরিয়ে পড়ল ।