পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাগুন যুবক বলল, “আমার পিতৃভূমি জাৰ্ম্মেনী, আমার মাতৃভূমি জাৰ্ম্মেনী, আমার স্বৰ্গ—জাৰ্ম্মেনী!” “লিয়াৎন", ও পাগল, ওকে আমার হাতে ছেড়ে দিন, আমি সব ঠিক ক’রে নেব—” “তার আর সময় নেই!—সোর্জ" দ্যুপ, বীকে নিয়ে চল।” . “লিয়াৎনা, ও শিশু, ওকে মাপ করুন--”

    • Errga---**

“তবে আর এক ঘণ্টা সময় দিন, প্রধান সেনাপতির কাছে গিয়ে এখুনি ওর প্রাণ ভিক্ষে ক’রে আনfচ ! আমি তার জীবন বাচিয়েছি, তিনি আমাকে এটুকু দয়া করবেন, লিয়ৎনা, মাত্তর এক ঘণ্টা—” লাভষ্ট্রোক &$'h “এক মুহূৰ্ত্তও নয়! এ সামরিক নির্দেশ–অলঙ্ষ্য ।” 擊 擊 擊 制 鬱 রণদামামা বেজে উঠল। যুবক বধ্যভূমিতে ইড়িাল— মাথা খাড়া ক’রে, বিংশতি রাইফেলের দিকে বুক পেতে रिग्न। ঠিক ছটায় লেফটেনেণ্টের মুখ-নিঃস্থত হ’ল আদেশ । যুবক শতচ্ছিন্ন বক্ষ নিয়ে তার প্রাণাধিক পিতৃভূমিকে চুম্বন ক’রে চিরনিদ্রায় শায়িত হ’ল । সহসা সকলে দেখে, তাদের সার্জেণ্ট, মেজর লাকক ছিন্ন-মূল তরুর স্তায় ভূপতিত হ'ল! প্রথম লেফটেনেন্ট ছুটে গি-য় দেখেন, তার বিশেষ আদেশ সত্ত্বেও লাকক-এর অঙ্গুলী রাইফেলের ঘোড়া টানতে অসমর্থ হয়েছে, তার হৃৎযন্ত্রও বিকল হয়েছে,—তার দেহ *ट्ररौन । লাভষ্ট্রোক্‌ আবুল হাছানাৎ s চাকুরীটি আমীর বিশেষ বড় h তবে অসাধ্যসাধন আমাদের নিত্যকৰ্ম্ম । নাটক-নভেল লেখকের মনস্তত্ব বিশ্লেষণ করিয়া থাকেন বটে, কিন্তু আমাদের তাতে পাকা ইতি । দিনগুলো বেশ কাটিয়া যাইতেছে ; ছোটখাটো বিপদ দূরে থাকুক, বড় বড় কঠিন সমস্তাও এখন হেলায় কাটাইয়া দিই। কিন্তু প্রথম চাকুরী-জীবন সীমান্ত একটি ব্যাপারেই २छ् भूषङ्गांझेप्री शिग्नांझिणांभ ! मग्नभिtङ्गद्ग छेtणt* रुङ काँउद्भ মিনতি, নির্জনে কত অশ্রুপাত ! মনের সেই অস্থিরতায় ভবিষ্যৎ জীবনের প্রতি বড়ই আস্থাহীন হইয়া পড়িয়াছিলাম। এখন শুধু হাসি আসে সে কথা মনে পড়িলে । সে বৎসর ট্রেনিং কলেজ হইতে পাস কfরয়া আসিয়া আবার জেলায় কাজ শিখিতে হইল। প্রবেশনারী অবস্থার লাঞ্ছন। মনে পড়িলে ঘৃণার উদ্রেক হয় । কত লোকের ধমকানি, চোখরাঙানি যে সহ করিতে হইল ! একদিন ধনর দুর্থ খুলিয়া এক চার্ক্স-অফিসার অর্থাৎ পাক দারোগল্পীর কাছে বলিলাম । বলিলেন,-“ওহে, আর একটু সবুরই কর না । দেখবে কত লোকের জানমালের মালিক হ’য়ে পড়বে। তখন তোমাকে খোসামদ না করে এন লোকই এলাকায় থাকৃবে না। ক্ষমতা হবে তোমার সীম, দাপট ছৰে বিষম "ি-আপাততঃ আশ্বস্ত হইলাম। শিক্ষাদীক্ষার চোটে এক রকম মনমরা হইয়াই গিয়াছিলাম ঃ তাই কবে কখন এমন সুযোগ আসিবে তাঁহারই অপেক্ষী করিতে লাগিলাম । আসিলও খুব তাড়াতাড়ি ! গোয়ালদিঘী থানার বাসাগুলি সেবার ঝড়ে উড়াইয়া লইয়া গেল । চার্ক্স-অফিসার অসুস্থ ছেলেমেয়ের অজুহাতে ছুটি লষ্টয়া পলাইয়া গেলে, সাহেব আমাকেই ডাকিয়া হাসিয়া বলিলেন,-“ধাও, তোমাকে গোয়ালদিঘীর চার্জ পোষ্ট, করা গেল ! ভালমতে কাজকৰ্ম্ম করিও ।” লাইনে খবর লইয়া জানিলাম বিবাহিত অনেকেই এই অজুহাতে সাহেবের নিকট হইত এই থানাটার পালা এড়াইয়া ফেলিয়াছে। আর আমি ? আমি যে সদাবিবাহিত ! একেবারে কঁদিয়াই ফেলিলাম, লাইন বাবু বলিলেন,—“সাহেবকে বলা হয়েছিল কিন্তু তিনি ছেলেপিলেওয়ালাদের আপত্তি আরও বেশী গ্রহ বলিয়া উহাকে উড়াইয়। দিয়াছেন । মনে মনে সকলের চোঁদপুরুষের গুণগান করিলাম, আর নবদম্পতির অতি স্তায্য অধিকারটুকুর দিকেও যাহারী চাহিলন। তাছাদের পারিবারিক মুখস্বচ্ছন্দ ও হিতকামনা করিয়া রওনা হইলাম। স্বামীমুখৰঞ্চিত তরুণীর করকমলে জয়ের গভীরতম বাথটুকু জানাই শুধু এই বলিী