পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ጬ~ অশ্রুলিপি পাঠাইলাম,—দারোগীদের নৈতিক উন্নতি অবনতির জন্য দায়ী তাহীদের কৰ্ম্মপদ্ধতি ! পথ নৌকাযোগে । সময়টা আর কাটিতে চাহে না । মনের সেই বিরাগ, বিরক্তি মেজাজটাকে গরম করিয়াই রাখিল । থানাঘাটে যখন পৌছিলাম, তখন সংবাদ শুনিয়া সবাই ছুটিয়া অভ্যর্থনা করিতে আসিল। মাঝিদের সঙ্গে ভাড়া লইয়া একটু তর্কবিতর্ক হইতেই একেবারে জলিয়া উঠিলাম। বেদম প্রহারে তাহারা ছত্রভঙ্গ হইয়া কোথায় মিলাইয়া গেল তাহার আর খোজ মিলিল না । বেতখানির সেই প্রথম সদ্ব্যবহার, কিন্তু শাসনকার্য্যে আমার বড়ই সহায়তা করিয়া বসিল । “বাবু বড় কড়া,” “ভারী তার মেজাজ,” ইত্যাদি কথা দুই-তিন দিনেই থানায় ও এলাকাময় রাষ্ট্র হইয়া পড়িল । ট্রেনিং কলেজ বড় বড় ওস্তাদের নিকট 'ল' পড়া হইয়াছিল । তাই আইনের ব্যবহারিক দিকটা বেশ করিয়া আয়ত্ত করিয়া ফেলিয়ছিলাম। শিক্ষকেরা সবাই ছিলেন অভিজ্ঞ— জীবনর শ্রেষ্ঠ অংশটা কাটাইয়াছিলেন দারোগ;গিরি কঠিয়া ; চাকুরী-জীবনে আমাদিগকে দুইটি প্রধান তথ্যের দিকে দৃষ্টি রাখিয়া চলিতে হইবে বুঝাইয়া দিয়াছিলেন। একটি fool, Discarding of uncorroborated statement— অর্থাৎ যে-কথার কোন উপযুক্ত সমর্থক না থাকে তাহার উপর ভরসা করিতে নাই । দ্বিতীয়তঃ, Careful crossexamination of persons—ofts oftos fossiযোগ্য বলিয়া গ্রহণ করিবার পুৰ্ব্বে তাহাকে ভালমতে জেরা করিয়া লইতে হই.ব । তাই নিম্নতম কৰ্ম্মচারীরা যখন বলিয়া বসিত আমরা সবাই এক একটি সেরা অফিসার, তখন তাহাদিগকে শুধু ঞ্জেরা করিয়াহ ব্যতিব্যস্ত করিতাম না, কাগজপত্র, দলিলদস্তাবিজ তলব করিয়া রীতিমত বিচারে বসিয়া যাইতাম । কয়েক দিনের মধ্যেই অঙ্কিারের হাত হইতে রক্ষা পাইয়া বাচিলাম। সবাই বলিত, দায়োগ বাবু ভারী নিটখুটে লোক বটেন, তার কাছে ধাপ্লায় কাজ চলবে না । সাক্ষী দিতে আসিয়া প্রায় সকলেই মুড়িয়া যাইত । আমার সাহসূচক বিস্ময়োক্তি শুনিয়া ও মুখের হাবভাব দেখিয়া তাহারা থামিয়া থামিয়া তলাইয়া দেখিয়া অতিশয় -সঙ্কোচের সহিত জবানবন্দী করিত। জেরার চোটে ও মেজাজের দাপটে তাহদের মুখ এতটুকু না-হইয়া বাইত না । -লৰাই বলিত,—হুজুরের অসাধারণ তীক্ষবুদ্ধি । কাজকৰ্ম্ম চলিল বেশ । ভাবিলমুয়ে-রকম নাম করিয়া ফেলিলাম জাহাতে আর কোন কfaজ বিশেষ মটকাইতে श्व म ! भनछि मांप्त भt८क अक्लिब्रट्न थांधूङ इहद्र S98వీ উঠিত আর ট্রেনিং কলেজের শিক্ষকদের উদ্দেশে প্রায়ই হাতজোড় করিয়া কপালে ঠেকাইঃ গোপনে প্রণাম করিয়া ফেলিতাম । Sలి একদিন বৈকালবেলায় আনমনে নদীর ধারে বেড়াইতে আসিলাম। সকলের সঙ্গে অবাধ মেলামেশার প্রশ্রয় কখনই দিতাম না, তাই খানার অন্ত কাহারও আমার সঙ্গে আসার মত দুঃসাহস হইত মা। তবে অন্ততম সহায় “বেজবর" অর্থাৎ শাসনদগুখানি সৰ্ব্বদাই হাত থাকিত । হইতে ষ্টীমারথানি আঁকাবাক কাটা খালটি বাছিয়া আসিয়া ঘাটে লাগিল। হঠাৎ স্বামীমুথবঞ্চিত তরুণী স্ত্রীর কথা মনে পড়িয়া গেল। এই খুলনীয়ই তিনি বৰ্ত্তমান ! শুধু কয়েক ঘণ্টার রাস্তার ব্যবধান ; অথচ বহুদিন মিলন ঘটে নাই। মেজাজ কুক্ষ হইয়া উঠিল, রাগ করিবার মত কেহ সঙ্গেও ছিল না, তাই আত্মসংবরণ করিলাম । ছাতা, লাঠি, বাক্স, পুটী লইয়া যাত্রীর দিগ্বিদিকে ছুটিল। তাহদের মধ্যে ও কে ? কঠিন হরে ডাকিলাম— রজনী! ওদিকে কোথায় যাচ্ছিল? আমি যে এখানে । নমস্কার বাবু মশাই। তাই ত ! জরুরী খবর। বাবা আমায় পাঠিয় দিলেন, বললেন জামাইবাবুকে তাড়া ক’রে নিয়ে আয় গে । নিমেঘের মধ্যে বুকের রক্ত জমাট হইবার উপক্রম হইল। ব্যাপারটা তবে কি ? বলিলাম,—ই্যা, চল বেটা আগে থানায় যাই, তার পরে শখ শুনব । রজনী রজনীর মতই অন্ধকার-মুখে মাথা হেঁট করিয়া পিছু পিছু চলিল। থানায় পৌছিয়ই স্থাকিলাম,—জুমদার বাবু! একখান টেলিগ্রাফের ফৰ্ম্ম নিয়ে আমুন ত 1 খবর বিশেষ ভাল বোধ হচ্ছে না, তবে বেটীকে ‘জেরা’ করা যা বাকী । ফৰ্ম্ম একখানার জায়গায় দশথানা আসিল ও ভক্ত প্রজাবুনোর মত থানার সবাই আসিয়া জড়ো হইল। আমি *জেরা ধরিলাম,— i —মাচ্ছ, বল অ, তোকে কে পাঠালেন ? তোর ! বাব, ম, না তোর ঐ দিদিমণি, বুঝলি কি না ঐ আমার স্ত্রী । | —পাঠালেন ত বাবা, মাও নিকটে দাড়িয়ে | ছিলেন। দিদিমণির সঙ্গে আসবার আগে আর দেখাই दग्न नि । —তবেই মরেছে রে ব্যাট ! তিনি তবে কোথায় কি অবস্থায় ছিলেন শিঙ্গীর ক'রে বলে ফেল 1 । জমাদার বাৰু-শিঙ্গার ক’রে বল ত বাপু ! —ত আমি মোটেই জানি নে। তবে বার, যা কি অবস্থায় কোথা থেকে হুকুম দিলেন তা ববৃত্বে পারি বটে।