পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মলন্তন ---سيسagجه করিয়াছিলেন । কৃষ্ণদাস কবিরাজ “চৈতন্যচরিতামৃতে ( আদিলীলা ১৭শ পরিচ্ছেদ, ১৪৮-১৫০ ) লিথিয়াছেন, কাজীসাহেব তখন বাড়ির বাহির হইয়া নিমাইকে বলিয়া ছিলেন গ্রাম সম্বন্ধে চক্ৰবৰ্ত্ত হয় মোর চাচা । দেহু সম্বঙ্ক হৈতে গ্রাম সম্বন্ধ সাচ | নীলাম্বর চক্ৰবৰ্ত্তী হয় তোমার নানা । সেই সম্বন্ধে হও তুমি আমার ভাগিনী । ভাগিনার ক্রোধ মামা অবগু সহয় । बाडूलद्र अथब्राष छाशिना न लग्न ॥ এখনও আমাদের গ্রাম হইতে গ্রাম সম্বন্ধ একেবারে লুপ্ত হয় নাই। এখনও গ্রামের আচরণীয় হিন্দু, অনাচরণীয় হিন্দু, এবং মুসলমান পরস্পরকে চাচ, খুড়া, মামু ভাই, ভগিনী, পিসী, মাসী বলিয়াই সম্বোধন করে, এবং ঝগড়ার সময় পৰ্য্যায় লঙ্গন করিয়া গালি দেওয়া বিশেষ অপরাধজনক মনে করে । এই গ্রাম-সম্বন্ধে গ্রামের বিভিন্ন জাতির লোককে আত্মীয়তা-সূত্রে আবদ্ধ করিয়া রাখিয়াছিল । গ্রামের সকল অধিবাসী আদৌ একই বংশোদ্ভব এইরূপ সংস্কারও বোধ হয় গ্রাম-সম্বন্ধের অন্তরালে প্রচ্ছন্ন রহিয়াছে । জাতিভেদ, লঘু-গুরু-ভেদ, জ্যেষ্ঠ-কনিষ্ঠ-ভেদ, এইরূপ বিবিধ বৈষম্যের অন্তরালে একপ্রকার সাম্যও এক সময় ছিল । প্রভুর পুত্র বয়োজ্যেষ্ঠ ভূতকে রীতিমত সন্মান করিত ; এবং বয়োজ্যেষ্ঠ ভূত কনিষ্ঠ প্রভুপুত্রকে অভিভাবকের মত শাসন করিত। রবীন্দ্রনাথের ‘জীবন স্কৃডি’তে জোড়াসাকোর ঠাকুর-বাড়ির ভৃত্যতন্ত্র-শাসনের চিত্র আছে । এই চিত্র প্রীতিকর নয় । কিন্তু অন্তপ্রকার ভূত্যতন্ত্র-শাসনের সহিতও আমাদের পরিচয় আছে । এইরূপ শাসনের অস্তিত্ব সপ্রমাণ করে, প্রভু-ভৃত্যে, ধনী-নিধনে এখন যত ভেদ তখন তত ভেদ ছিল না। প্রকৃত জাতিভেদের উৎপত্তি হইয়াছে এখনকার শহয়ে । শহরে গ্রাম-সম্বন্ধের বন্ধনমুক্ত জাতিভেদ ধনীনিধন, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, সভ্য-অসভ্য ভেদের সহিত মিলিত হইয়া বিকট আকার ধারণ করিয়াছে পল্লীগ্রামে অপরিচিত দীন ব্যক্তিকেও “ভাই” বলিয়া সম্বোধন করা হয় । শহরে আসিয়া পাশ্চাত্য ফ্রেটারনিটি বা ভ্রাতৃত্বমঙ্গে দক্ষিত আমরা এইরূপ ভাই ডাক ভুলিয়া গিয়াছি । দেশের লোকের প্রকৃতি এবং দেশাচারের মৰ্ম্ম-অনভিজ্ঞসমাজ-সংস্কারকগণ শহরের সমাজের কাটা ঘায়ে জুনের ছিটা বিক্রমপুর—একালে ও সেকালে ግoግ দিতেছেন। শহরের সামাজিক ব্যাধির বিষ ক্রমশঃ পল্লীতে সংক্রামিত হইতেছে । এমন সময় ভোট-বাটেfয়ারার এবং শাসন-পরিষদে আসন-বাটোয়ারার বিতও উপস্থিত হওয়ায় আমাদের এক সময়ে গ্রাম-সম্বন্ধের একতাসুত্রে সম্বন্ধ সমাজ ত্রিখণ্ডে বিচ্ছিন্ন হইবার জন্ত প্রস্তুত । এই দুৰ্য্যোগে দেশনায়কগণ এদেশের জনগণের মধ্যে অনৈক্য স্বতঃসিদ্ধ মানিয়া লইয়া ঐক্যস্থাপনের জন্ত নানা প্রকার বিদেশী ঔষধ প্রয়োগ করিতেছেন । ইংরি আপনাকে পর করিয়া লইয়া পরহিতের তৃপ্তি ও খ্যাতি লাভ করিতেছেন ; স্বজনকে হরিজনে পরিণত করিয়া হরিভক্তি প্রদর্শন করিতেছেন । ” আমাদের পল্লীসমাজে এই যে অনৈক্যের এবং অস্তত্ত্বোহের স্বত্রপাত হইতেছে, ইহার পরিণাম চিন্তা করিতে গেলে শরীর শিহরিয়া উঠে। পল্লীসমাজের অস্তরে যখন এই অস্তুদ্রোহের সূচনা হইতেছে, তখন আবার বাহির হইতে রাজদ্রোহের তাপ আসিয়া সমাজকে উত্তপ্ত করিয়া তুলিতেছে। আমাদের দেশের রাষ্ট্রীয় আন্দোলনের প্রধান প্রতিষ্ঠান নিরস্ত্র বিদ্রোহ ঘোষণা করিয়াছিল ; সঙ্গে সঙ্গে কতিপয় যুবক সশস্ত্র বিদ্রোহ— অলক্ষিতভাবে রাজপুরুষ হত্যা আরম্ভ করিয়াছিল । নিরস্তু বিদ্রোহ আপাতত স্থগিত আছে এবং সশস্ত্র বিদ্রোহেরও বিরাম দেখা যায় । গুপ্ত সশস্ত্র বিদ্রোহের অপকারিত এবং নিস্ফলতা সম্বন্ধে অনেক বহুদৰ্শী এবং বিজ্ঞ ব্যক্তি অখণ্ডনীয় যুক্তি-প্রমাণ উপস্থিত করিয়াছেন এবং করিতেছেন । কিন্তু এদেশে রাষ্ট্রনৈতিক আন্দোলন-ক্ষেত্রে সকল প্রকার চরম পন্থার অকুপযোগিতা সম্বন্ধে আমার একটি কথা বক্তব্য আছে । দেশের মুক্তি সকলেরই প্রার্থনীয় এবং এই মুক্তির জন্ত দেশবাসী মাত্রেরই সাধ্যমত চেষ্টা করা কর্তব্য । আমাদের মুক্তির দাবি যে অসঙ্গত নহে এ-কথা সরকারও স্বীকার করিয়াছেন ; কালে আমাদিগকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে সালোক্য ofs (Dominion Status) দান করিবেন এরূপ আশাও দিয়াছেল । সুতরাং মুক্তির আকাজল দোষের কথা নছে এবং মুক্তির বিলম্ব ঘটিলে অধৈৰ্য্য হওয়া অস্বাভাবিক মহে । কিন্তু অধৈর্য্য হইরা চরম পন্থা অবলম্বন করিলে এদেশে লাভের অপেক্ষ ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক মনেহয়। রাষ্ট্ৰীয় মুক্তিসাধনের