পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳoԵս গুরু য়ুরোপীয়গণ আরিষ্টেটলের সংজ্ঞা অনুসারে মানুষকে মনে করেন রাষ্ট্রীয় জীব (political animal), অর্থাৎ তাহারা বিশ্বাস করেন, মানুষের সুখ-দুঃখ অনেকট রাষ্ট্রীয় বিধিব্যবস্থার উপর নির্ভর করে । কিন্তু হিন্দুসাধারণ তাহা মনে করে না । হিন্দু-সাধারণ মনে করে, মানুষ কৰ্ম্মফলের হাতের ক্রীড়াপুতুল ; এই কৰ্ম্মফল ভোগ করিবার জন্ত সে পুনঃ পুনঃ জন্মে এবং পুনঃ পুনঃ মরে । এই পুনঃ পুনঃ জন্মধরণের হাত হইতে মুক্তি বা মোক্ষলাভ করা মনুযা-জীবনের প্রধান লক্ষ্য । মোক্ষ অবশু সহজলভ্য নহে এবং প্রকৃত মুমুকুর সংখ্যা কখনও খুব বেশী হইতে পারে না। গীতাকার বলিয়াছেন— মনুষ্যানাং সহস্ৰেষু কশ্চিৎ যততি সিদ্ধয়ে । হাজার হাজার লোকের মধ্যে এক-আধজন সিদ্ধির (মোক্ষের) চেষ্টা করে । কিন্তু হিন্দুসাধারণের মধ্যে যাহার মোক্ষের জন্ত চেষ্টা করিতে অসমর্থ, তাহারাও ঐহিক ব্যাপারে অনেক সময় জৰ্দ্ধবিরাগী ; দৃষ্ট বিষয় অপেক্ষ অদৃষ্ট তাঁহাদের মনকে অধিক আকর্ষণ করে । এইরূপ সংস্কারসম্পন্ন জনগণকে ঐছিক যুক্তির জন্ত চরম পন্থায় পরিচালিত করা অসাধ্য মনে হয় । কথায় বলে, “গুরু মিলে লাখে লাখ, চেলা না মিলে এক।” পাশ্চাত্য শিক্ষা-দীক্ষার ফলে এদেশে কতক জন চরমপন্থার নায়ক অভূদিত হইতেছেন এবং হইবেন । কিন্তু কৰ্ম্ম-জন্মস্তিরে বিশ্বাসী জনসাধারণের পক্ষে দীর্ঘকাল তাঁহাদের অনুসরণ করা অসম্ভব । যত দিন না হিন্দুসাধারণের মনের গতি সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তিত श्म, ठल निन ठांशंद्रा छूरब्रां★ौञ्च अननांथांब्रभद्र भङ ब्रांडे़ीब्र আন্দোলনে সম্পূর্ণ মাতিতে পারবে না। কিন্তু সেদিন বোধ হয় অনেক দূরে । এইরূপ অনধিকারী শিষ্য-সম্প্রদায় লইয়া চরম পন্থা অবলম্বন করিতে গেলে ইষ্ট অপেক্ষা অনিষ্টের সম্ভাবনাই বেশী। হুতরাং আমাদের দেশের যে-সকল যুবক-বুদ্ধের মনে রাষ্ট্রীয় ভাব জাগরিত হইয়াছে তাহাদিগকে সংযত হইয়া, জনসাধারণ যতট বেগে তাহাঁদের সঙ্গে অগ্রসর হইতে পারে ততটা বেগে অগ্রসর হওয়া উচিত। তাহার যদি ধীর পরে অগ্রসর হইতে সম্মত হন তবে পুর্ণস্বরাজ না হউক স্বরাজ-প্রতিষ্ঠার যথেষ্ট সহায়তা করিতে পারেন। ভিক্টর পদে চলিতে ইৰে দিএ দে দণ্ড ৫: প্রবাসী ;} ফান্তন লক্ষ্য বিস্তুত হওয়া কৰ্ত্তব্য নহে। লক্ষ্য অবত আমাদের মাতৃভূমির উপর মুক্তিমওপ-গঠন । মুক্তিমণ্ডপ-গঠনের বিলম্ব হয় হউক ; কিন্তু যে-ভূমির উপর মুক্তিমণ্ডপ গঠিত হইবে সেই ভিত্তিভূমির বাটোয়ার হইতে দেওয়া কৰ্ত্তব্য নহে । সম্প্রদায়ভেদ বা জাতিভেদ অনুসারে শাসন-পরিষদের আসন বাটোয়ার করিলে মুক্তিমণ্ডপের ভিত্তিভূমি খণ্ড খণ্ড হইয়া যাইবে। যদি আমাদের মুসলমান ভ্রাতৃগণ এবং অনাচরণীয় হিন্দু ভ্রাতৃগণ হিন্দু ভদ্রলোককে বিশ্বাস করিতে না পারেন, সকল আসনই তাহাদিগকে ছাড়িয়া দেওয়া উচিত ; রাগ করিয়া নয়, অভিমান করিয়া নয়, কাহারও অসুবিধা জন্মাইয়া নয়, সানন্ধে ছাড়িয়া দেওয়৷ উচিত। তথাপি বাটোয়ারায় সম্মত হওয়া উচিত নহে। বাঙ্গালার যে-সকল ভদ্রসস্তান দেশগতপ্রাণ র্তাহাদের কাজের অস্ত নাই । তন্মধ্যে সৰ্ব্বপ্রধান কাজ, বাঙালীর #2 aiwiwiłł Holt ( natural wealth ) or of স্বরাজ রক্ষা । শৈশবে আমরা একটি হেঁয়ালি গুনিতাম— “বল ত পৃথিবীটা কার বশ ।” হেঁয়ালির উত্তর ছিল—“পুথিবী টাকার বশ ।” জনসমাজে সম্পদের সাম্যবাদী কাল মার্কস দেখাইয় গিয়াছেন, মানবের ভাগ্যচক্র অর্থের দ্বারা পরিচালিত । মার্কসের ব্যাখ্যাত এই তত্বের নাম ইতিহাসের অর্থনৈতিক *Utol (economic interpretation of history) টাকা শুধু টাকশালে মুদ্রিত টাকা নহে; যেসকল বস্তুর দ্বারা বা যে-সকল উপায়ে টাকা উপার্জন করা যায় তাহাও টাকা । যে-দেশের টাকা-উপায়ের সকল পথ বিদেশীর হাতে, সে দেশের মুক্তি অসম্ভব। বাঙ্গালার টাকা-উপায়ের অধিকাংশ পথই এখন বিদেশী বা ভিন্ন প্রদেশীর হস্তগত । উচ্চজাতীয় হিন্দুরা ইংরেজের আমলে চাকুরী, ওকালতি, ডাক্তারী প্রভৃতি পেশার মোহে চাষবাস, শিল্পবাণিজ্য ত্যাগ করিয়াছিলেন, এবং সঞ্চিত অর্থের দ্বারা জমিদারী খরিদ করিতেছিলেন । ফলে রাঙ্গালাৱ সম্পদ– করলার খনি, পাটের বাজার, চা-বাগান, কলকায়খান দোকান-পসার পরহস্তগত হইয়াছে। তন্মধ্যে এখনও बांश चक्कडे भांप्ङ्ग छांश cत्रभवानौब जछ ब्रक कविrठ লগালে দেশের কোন প্রকার কিংসৰ হইলো।