পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাংচন্তন জীবনায়ন ^్పషా সিড়ি নামে, কলহাস্তে উচ্চ স্বরে কথা বলে, নৃত্যের ভঙ্গীতে চলে । চন্দ্রীর সহিত দ্রুতপদে সিড়ি উঠতে উঠিতে অরুণ বলিল—মীমীম কোথায় ? দুষ্টামিভরা চোখ নাচাইয়া চন্দ্র উত্তর দিল—ম তোমার সঙ্গে আজি দেখাই করবেন না, খুজেই পাবে না মাকে । —তুই বুঝি লুকিয়ে রেখেছিল, আচ্ছা, কোন রঙের লাটু, তোর পছন্দ ? অরুণ পকেট চাইতে তিনটি লাট বহির করিল । চন্দ্র লাফাইয়া উচ্ছসিত স্বরে বলিল—ও, কি দুষ্ট, তুমি ! থাঙ্কস থ্যাঙ্কস, আমি তিনটিই নিচ্ছি। বিছাদ্ধেগে চন্দ্রা অন্তষ্ঠিত হইল। অরুণ রান্নাঘরের দিকে চলিল। মামী এখন নিশ্চয় রান্নার তদারক করিতে গিয়াছেন । ভাড়ার-ঘরের সম্মুপে খোলা বারীনায় অসিতে চলীর গতি রুদ্ধ হইয়া গেল । আলোছায়াময় ধরের পটে এক কিশোরীমূৰ্ত্তি সন্ধাকাশে তারার মত ফুটিয়া উঠিল। পদশব্দে উমা প্রবেশ-দ্বারের চৌকাটে আসিয়া দাড়াইয়াছে । হাতীর দাতের মত গৌরবর্ণ দেহে লাল-পাড় তসরের শাড়ী অপরাত্যুের আলোয় যেন আগুনের আভা । অরুণ স্তব্ধ হইয়া রহিল । সৌন্দর্য তাহাকে এমন করিয়া অভিভূত করে কেন ! উমা ধীরে বলিল—ম বাড়ি নেই। উমা বড় শাস্ত হুরে কথা বলে, কণ্ঠে একটু আবেগ আনে না কেন ! লজ্জিত ভাবে অরুণ বলিল—ও, আমার আসতে দেরি হয়ে গেল । —তাতে কি, এক ঘণ্টার মধ্যেই আসবেন, মাসীমার ওখানে গেছেন । বাবা তোমায় খুঁজছিলেন । —অচ্ছিা । —শোন, কি থাবে ! —আমি খেয়ে এসেছি, কিছু খাব না । —ত হবে না, মা এসে আমায় বকবেন, তিনি নেই ব’লে— গজদস্তুগুত্ৰ আননে মৃদ্ধ হাস্য খেলিয়া গেল। উমার হাসি বড় সংযত, উচ্ছ্বলিত হইয়া একটু হাসে না কেন ! — সত্যি, আমার এখন ক্ষিদে নেই । --বেশ, রাতে খেয়ে যেও | —অজয় এসেছে ? —না, দাদা আসেন লি-বাবা ওদিকে ছাদে আছেন । অরুণ একটু অগ্রসর হইয়া আবার নীরবে দাড়াইল । সূর্যাস্তের স্বর্ণভামণ্ডিত ঐ অলৌকিক সৌন্দর্য্যরূপ যেন সে দৃষ্টিচ্যুত করিতে চায় না । একটু ব্যথিত স্বরে সে বলিল—কাল তোমর জন্মদিন আমি জানতুম না। —দাদা বুঝি বলতে ভুলে গেছল। কিন্তু সেদিন যে মা’র সঙ্গে তোমার আত হিসেব হচ্ছিল,—তোমার জন্মদিনের দশ দিন পরেই আমার জন্মদিন, সব ভুলে গেছলে— - —ই, আজকাল কিছু মনে থাকে না । —খুব পড়ছ বুঝি, দেথ অরুণ— —এক্ট বললে, আমি তোমার চেয়ে বড়, আমায় দাদা বলা উচিত । —ভারি দশ দিনের বড়, তবু যদি এক মাস হ’ত । উমা অরুণকে দদা বলিতে কেমন সঙ্কোচ বোধ করে । তাঁহার অন্ত বোনেরা, এমন কি মাসতুতে) বোনেরাও, অরুণকে স্বচ্ছনে দাদা বলে, কিন্তু সে তেমন পারে না । —অ{চ্ছ, আমি তোমাকে আমার নাম ধরে ডাকবার অনুমতি দিলুম, এটা তোমার পঞ্চদশ জন্মদিনে আমার উপহার জেনে । —খুব কথার ভট চার্যিা হয়েছ, না দিলেও আমি তোমায় ডাকতুম । কিন্তু অত গম্ভীর কেন ! —কি জান, উমা, মনটা তেমন ভাল নেই । —মন খারাপ কি জন্তে ? যত ঢং, অত রাজ্যের বই পড়লে মন কেন, মাথাই খারাপ হয়ে যায় । আমি মাকে ব’লে দেব, তোমায় আর বই দেবেন না । —তুমিও কিছু কম বই পড় না ! —আমার তাতে মন খারাপ হয় না, ষাও বাবা এক ছাদে আছেন, আমি যাচ্ছি। অজয়ের পিতা শ্ৰীহেমচন্দ্র রায় মহাশয় ভারতগভর্ণমেণ্টের দপ্তরখানার এক উচ্চপদস্থ কৰ্ম্মচারী । অসুস্থতার জন্ত প্রায় দুই বৎসর হইল চিকিৎসা করাইতে