পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৩০ স্থপতিগণের চূড়ামণি শ্ৰীগাপাল। মাগুণ্ডার অর্থাৎ অরাজকতা দূর করিবার জন্ত প্রকৃতিপুঞ্জ উছার অর্থাৎ গোপালের করে রাজলক্ষ্মীকে অর্পণ করিয়াছিলেন।” - রমাপ্রসাদবাৰু তাহীর অভিভাষণে দেখাইয়াছেন, যে, "গোপালের নির্বাচনের কাল খুব সম্ভব খ্ৰীষ্টীয় অষ্টম শতাদের শেষভাগ” এবং নির্বাচন জাদে বৰ্ত্তমান মালদহ দিনাজপুর রাজশাহী বগুড়া ও পাখন জিলার সমষ্টি প্রাচীন বরেজীতে হইয়াছিল। “কিন্তু ৰাঙ্গলায় অন্যাস্ত প্রদেশেরও এই নিৰ্ব্বাচনে সন্মতি খাকা সম্ভব * * * গোপালের নির্বাচনের সময়ে বাঙ্গলার অপপ্পাগয় অংশের, বিশেষতঃ রাঢ়েয়, अतिनिर्ण५ तात्नठान्न भन्न महिज्र भिजिङ श्रेग्न! य३ भइ९ कार्य সম্পাদন করিয়াছিল এইরূপ অনুমান অসঙ্গত লছে।” গোপালের অসাধারণ রণনৈপুণ্য, বিনয় এবং রাষ্ট্রকে শান্তিমুখ দ্বান ও রাষ্ট্রের কল্যাণসাধনের ক্ষমতা ছিল। “ভারতবর্ষের ইতিহাসে এই মহাপুরুষের তুলনা পাওয়া যায় না ।” বঙ্গে নৃপতি নিৰ্ব্বাচন মুসলমান রাজত্বকালেও একবার इट्रेग्नांझिब ! . “খোজ রাজা মজঃফর সাহের অত্যাচারে উৎপীড়িত হিন্দু মুসলমান লায়কগণ একত্র মিলিত হইয়া উহাকে যুদ্ধে পরাজিত ও নিহত করেন এবং এই বিদ্রোহের নায়ক মজঃফরের উজীর আলাউদ্দিন হোসেন সাহ নামক এক যোগ্য ব্যক্তিকে সকলে মিলিয় রাজা নির্বাচিত করেন ।” {ডা: রমেশচন্দ্র মজুমদার প্রণীত মে ৬ষ্ঠ মানের পাঠ্য ভারতের ইতিহাস ৮৭ পৃষ্ঠা ও ম্যাট্রিক পাঠ্য ভারতবর্ষের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, ১৩৭ পুঞ্জ ১৯৩৩ অন্ধে প্রকাশিত ) ; মহারাজ দিব্য রমাপ্রসাদ যাবু তাহার অভিভাষণে সন্ধ্যাকর ননী বিরচিত “রামচরিত” এবং কোন কোন তাম্রশাসনের বিচার করিয়া মহারাজ দিব্য সম্বন্ধে ঐতিহাসিক তথ্য উদ্ধার করিয়াছেন । “প্রকৃতিপুঞ্জকর্তৃক গোপালের রাজপদে প্রতিষ্ঠার প্রায় তিন শত বৎসর পর বঙ্গলীয় আর একটি আশ্চর্যা ঘটমী, রাষ্ট্রবিপ্লব, ঘটিয়ছিল। এই রাষ্ট্রবিপ্লবের অনস্তুসমস্তচক্রের নির্বাচিত স্নায়ক ছিলেন দিব্য ব! দিবোক ৷” বি:দ্ৰাহ হইয়ছিল মহারাজ দ্বিতীয় মহীপালের বিরুদ্ধে—যেহেতু তিনি অত্যাচারী ও নীতিপরায়ণ ছিলেন । “গৌড়েশ্বর দ্বিতীয় মহীপাল সন্দেহের বশে কনিষ্ঠ ভ্রাতৃদ্বয়, কুরপাল এবং রামপালকে, লোহার শৃঙ্খলে বন্ধ করিয়া কারাগায়ে নিক্ষেপ ফরিয়াছিলেন। বিপ্লবের অপর কক্ষপ স্বরূপ কৰি বলিয়াছিলেন, દ્રુ દ્વારાઃ}, ఎని8S भहौत्रात्ल *ठानौङिक्षप्रखब्रङ,' अर्थ९ नौडिरिब्रम्झ कांtरीं ब्रठ, ७सः ‘ङ्गख्नग्रजाभयूङ,' अर्थ५ गाथइ 4वर नौरुिद्र भूर्वान शशनकांत्री ছিলেন। দিব্যের বিদ্রোহ করিবার প্রবৃত্তি ছিল না ; ঘটনাচক্রে অবখ্যক বা বলিয়া তিনি খুজিদ্ৰোছ করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। দিব) উচ্চাভিলাষের বশবৰ্ত্তী হইয়া ধরে শ্রী অধিকার করেন নাই, উপয়ান্তর মা থাকায় রাজপদ স্বীকার করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন । ভণ্ড তপস্বী হওয়া দোষের কথা , কিন্তু ভও বিদ্রোহী, অর্থাৎ যে সাধ করিয়া বিদ্রোহ করে না, কঠোর কৰ্ত্তব্যের অনুরোধে বিদ্রোহ করে, সে মহৎ ব্যক্তি । এই বিদ্রোহ কোন জাতিবিশেষের মধ্যে নিবদ্ধ ছিল না । ইং সাৰ্ব্বজনীন বিদ্রোহ বা রাষ্ট্রবিপ্লব ।” রমাপ্রসাদ বাবু প্রত্নতত্ত্ববিদ ঐতিহাসিক । রাষ্ট্রনৈতিক নেতৃত্ব ও আন্দোলন তিনি করেন না, তাহা তাহার কাজ নয় । এই কারণেই তাহীর অভিভাষণের শেষে তিনি যাহা বলিয়ছিলেন, তাহার প্রণিধানধোগ্যতা বাড়িয়াছে । তিনি বলিয়ছেন – “মিলিত অনন্ত সমস্তুচক্র নির্বাচিত গোপাল দেব এবং দিব্য জাতিবর্ণের অতীত মহাপুরুষ ছিলেন। সেকালের সামন্তচক্রের স্থলবর্তী বর্তমান জননায়কগণ । গোপাল দেব আবিভূত হইয়াছিলেন সদ্ধ একাদশ শত বৎসর পূর্বে এবং দিব আবিভূত হইয়াছিলেন সাৰ্দ্ধ আট শত বৎসর পূর্কে। এই সুদীর্ঘ কালের মধ্যে দেশের অবস্থার অনেক পরিবর্তন ঘটিয়াছে। সৰ্ব্বাপেক্ষ প্রধান পরিবর্তন আমাদের রাষ্ট্রীয় জীবনের ভিত্তি পল্লীসমাজ, যাহা মুসলমানগণকেও আপনার করিয়া ভাই চাচ, মনীয় পরিণত করিয়াছিল, তাহ প্রাণ হারাইয়াছে, এবং পল্লীসমাজের প্রাণশূন্ত দেহ এখন আবার খণ্ডে খণ্ডে বিভক্ত হইতে আরস্ত হইয়াছে । আমাদের রাষ্ট্রনীতির বর্তমান লক্ষ্য স্বাধীনতা, কিন্তু স্বাধীনতা চরম লক্ষ্য ( end ) নহে চরম লক্ষ্য পহুছিবার পথ (inous ) মাত্র। রাষ্ট্রনীতির চরম লক্ষ্য, সাৰ্ব্বজনীন কল্যাণ, সাৰ্ব্বজনীন সুখসম্পদ । “এই লক্ষ্যে পন্থছিতে হইলে সেকালেও যে উপায় অবলম্বন করিতে হইত, এখনও উদ্ভিন্ন উপায়াস্তর নাই। সেই উপায় অনন্তসীমন্তচত্রের মিলন ; সকল জনসেবকের ঐক্য । এরূপ ঐক্য বৰ্ত্তমানে অসাধ্য মনে হয়। যে দুই জন মহাপুরুষ বিশেয বিপদকালে এদেশে অনন্তসমস্তুচত্রের মঙ্গলময় ঐক্যের সুমতি উদ্ধৃবোধিত করিয়াছিলেন, তাহীদের চরিতকথা আমাদের স্মরণীয়, মাননীয় এবং কীর্তনীয়। এইরূপ স্মরণ, মনন, কীৰ্ত্তন আমাদের মনে ঐক্যের কুমতি উদ্বোধনের সহায়তা করিতে পারে। ইহাই দিব্যস্মৃতি-উৎসবের সার্থকতা। আর এক কারণেও এই উৎসব বড় সময়োপযোগী হইয়াছে । শিক্ষিত বাঙ্গালী আজ আত্মনির্ভর এবং আত্মমৰ্য্যাদা হারাইয়াছে । তাহাকে আবার দেশের দিকে ফিরাইয়া আনার ইহা অপেক্ষ উৎকৃষ্ট উপায় দেখা যায় মা ৷’’ সুভাষ বাবুর পুস্তক ভারতে নিষিদ্ধ, প্রযুক্ত সুভাষচন্দ্র বন্ধ ইউরোপে থাকিবার সময়ে ভারতবর্ষের আধুনিক স্বাধীনতালাভ-প্রয়াস সম্বন্ধে একখানি পুস্তক লেখেন। তাহারই একটি টাইপলিপি