পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ミ that tell of saddest thoughts. Tail-o $ist: গানগুলি যেন বসরার গোলাপ, কাকটাস-বনের রক্তকুসুম । কাটার বনে বৈরাগ একতার লইয়া যখন বাথাভরে গান গায় সুরভি পবন মোরে ঘুরাইছে মিছে ঘোরেশুধু কি ফুটাও কাটা ? ফুটাও না কি মুকল ? তখন ঘিনি বাথার ব্যর্থী তিনি চরণের বাথ দূর করিয়া অন্তর কুসুমের গন্ধে ভরপুর করিয়া দেন । এই নে আমাদের বাউল, অতুলপ্রসাদ, র্যাহার ‘অন্তরে মোর বৈরা গায় তাইরে তাইরে নাই:র না, তিনি কিন্তু বাংলা দেশের মত বাউল ন হন । তিনি যেন উত্তর-ভারতের পল্লীবটের দরবেশ । উত্তর-ভারতের মাঠে মাঠে শিমুল পলাশের রক্তিম শোভা তাহীর সদয়কে রাঙ্গিয়া দিয়াছে । রাজপুতানার মৰ্ত্তণ্ড-পীড়িত ধূসর মাঠ র্তাহার হৃদয়কে বিদগ্ধ করিয়াছে। যমুনার দুফুল-প্লবিন কত প্রেম কত গনে এই দরবেশকে টানিয়ছে। গঙ্গা-সরযুর উদার শ্যামল অঙ্গে চৈত, কাজরী, ঝুলন ও হোলী উৎসব ঋতুপর্যায়ে তাহীক অপ'ন করিয়াছে। বিন্ধীগিরির পৰ্ব্বতগাত্রে ও রামগড়ের উপত্যকীয় যে বীৰ্য্য ও স্বাধীনতা প্রতিধ্বনিত হইতেছে তাহীও তিনি শুনিয়ছেন । সেই স্বাধীনতার দুঃসাহসের গান আজি কলিকাতার হাজার কপারেশন স্কুল ছাত্রদের মুখ প্রতিধ্বনিত, “বল,বল, বল সবে শত বীণা বেণু রবে, ভারত অবির জগৎসভায় শ্ৰেষ্ঠ অসন লবে ।” কিন্তু এই দরবেশের গানের উন্মদিন একটানা দুঃখ হইলেও তিনি গানগুলি বাজাইয়াছেন ভাষার স্বক্ষ চম্কির কাজে, মুর ও ছনের লীলাবৈচিত্রে । এদেশের ঘরে ঘরেই যে সুন্দর কারুশিল্প। উত্তর-ভারতের পল্লীবধুর কেশবিন্যাসে ও নান।বর্ণ বিভূষণে, তাহীর চিকণের শোভন বয়ন, যে তুয়ম তাহার অন্দরের আনন্দকে প্রকাশ করিতেছে তাহাঙ্গ এই দরবেশ আপনার গানে ধরিয়াছেন । তাই র্তাহার এক-একটি গান যেন গেরুয়া জমিনের উপর চিকণের কাজ-করা এক একখানি রুমালের म७ ।। দুঃখময় ভগবানের দিকে বিপদের হটকা উদ্বেল হইয়া *हूर গানগুলি ধত না লীলাতরঙ্গে ভাসিয়া চলিয়া বাং! : কিন্তু আজ আমরা এই প্রসঙ্গে অতুলপ্রসাদ সেনের গান SSBS ও কবিতার আর আলোচনা করিব না। শুধু প্রবাস নহে, বাংলা দেশ হইতেও তাহার গীতি-কবিতার যথোচিত সমাদর আমরা সংগ্রহে প্রতীক্ষা করিতে থাকিব । তাহ ছাড়া আমরা যাহাকে হারাইয়াছি তিনি শুধু যদি কবিই হইতেন, তাহা হইলে আমাদের শোক এত আন্তরিক ও দুৰ্ব্বহ হইত না । তিনি আমাদের প্রবাসী সমাজের নায়ক ছিলেন । আজীবন তিনি বাঙালী ইয়ং মেনুস্ য়াসে সিয়েশনের সভাপতি ছিলেন । সম্মিলিত বাঙালী ইয়ং মেল্স্ য়্য সে সিয়েশ নর ও বেঙ্গলী ক্লাবেরও তিনি সভাপতি ছিলন। সামাজিক হিসাবে তিনি লক্ষেীবাসী বঙালীর সঙ্গে এত নিবিড় ভাবে মিশিতেন যে, প্রত্যেক বাঙালী স্তহার মৃত্যুতে ব্যক্তিগত শোক অনুভব করি তছে। সেদিনকার বিরাট বিষাদ ক্রান্ন কি ধনী, কি দরিদ্র, কি বড়ালী, কি অবাঙালী নে শোকে তঁাচার শবর্গিমন করিয়াছে, তাঙ্গও তাহর জনপ্রিয়তার নিদর্শন । তিনি প্রবাসী-বঙ্গসাহিত্য-সম্মিলনের এক জন জন্মদাতা। উহার প্রথম অধিবেশন কানপুরে এবং অধিবেশন গোরক্ষপুব সভাপতি হইয়া তিনি প্রবাদী ব"লীর সািহতির উপদেশ দেন। এমন কোন বাণালী অনুষ্ঠান এ প্রদেশে নষ্ট বাহা তাহার নিকট ঋণী নহে। তাহার দান কিন্তু জাতিধৰ্ম্মনির্বিশেয ছিল । তিনি বহুকাল ধরিয়া অধোঁধা সেবাসমিতির সভাপতি ছিলেন এবং নানা লোকহিতকর কার্য্যে ঠাহ দিগকে উৎসাহ দিয়াছিলেন । অস্পৃষ্ঠাতা-নিবারণ-আন্দোলনেও তিনি বিশেষ ভাবে সংশ্লিষ্ট ছিলেন । আমি তাহকে অনেক বার চামারবিদ্যালয় পরিদর্শন করিতে দেখিয়ছি। এসকল বিষয়ে, বিশেধত পল্লীর সংস্কারে, তাহার অদম্য উৎসাহ ছিল । গোখলে ভ্রাতৃ-সংধের তিনি সভাপতি ছিলেন। দূর পথ অতিক্রম করিয়া তিনি গ্রামে গ্রামে কৃষকগণের নিকট দেশের বাণী পৌছাইয়া দিতেন । কবি ও ভাবুক হইয়াও তিনি এক জন অধ্যবসায়শীল কৰ্ম্মী ছিলেন। লোকশিক্ষাপ্রচার, পল্লীগঠন, অস্পৃষ্ঠতা-নিবারণ, দুর্ভিক্ষ, বস্ত বা প্লাবনপীড়িতের জন্ত কল্যাণ কৰ্ম্ম—সব উদ্যোগে সৰ্ব্বদাই অগ্রণী হইয়া তিনি দেশের লোককে আহ্বান করিপ্তে জানিতেন । সে আহ্বান এ দশবাসী শুনিত তিনি தகு |