পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

یوه ۴)۵۱ ఏ08S টুকরা জমির উপর ইতস্ততবিক্ষিপ্ত কয়েকটি কুটার, একটি ইষ্টকনিৰ্ম্মিত ক্ষুদ্রায়তন গৃহ, দেখিলেই বিদ্যালয় বলিয়া চেনা যায়, এই লইয়াই সরিষার রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম | ধানক্ষেতের জমি উচু করিয়া তাহার উপর আশ্রমগৃহ ও কুটিরগুলি নিৰ্ম্মিত হইয়াছে চারি দিকে নয়নাভিরাম পল্লীদৃশু দিগন্ত পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত আশ্রমের সম্মুখে রাজপথের অপর পারে সরিষাগ্রাম ; দুরে বৃক্ষপল্লবের অন্তরালে আরও দু-একটা গ্রাম দেখা যায়। এই কয়েকটি গ্রামকে অবলম্বন করিয়াই আশ্রমের কার্যোক্ষেত্র বিস্তৃত। বাংলার অন্তান্ত শত শত পল্লীগ্রামেরই মতই এই কয়েকটি গ্রাম, কোন বিষয়ে (১) ছেলেদের সমাজ-সেবা । (২) মেয়েরা মাচা করিয়! যাইতেছে । বিশেষত্বপূর্ণ বা উন্নতিশীল নহে। সেই অম-কঁঠালমারিকেলের বন, বাঁশের ঝাড়, সেই শৈবাল!চ্ছন্ন ছোট ছোট পুষ্করিণী, সেই প্রাচীন গৌরবের হিম্বরূপ ভঞ্চুন্দর, কয়েকটি কোঠাবাড়ি ও 'ಗೇ', io હશે 盔 আবহাওয়ার মধ্যে মানুষ ম্যালেরিয়া-প্ৰপীড়িত দারিদ্র্যভারক্লিষ্ট জরাজীর্ণ গুটিকতক বাঙালী সন্তান। তাহীদের মধ্যে তথাকথিত ভদ্র ও অভদ্র দুই শ্রেণী বাস করে । যাহারা ভদ্র বলিয়া পরিগণিত, তাহাদের মধ্যে যাহারা ভাগ্যবান তাহার শহর চাকরি করে এবং ধীরে ধীর পল্লীজননীর স্নেহধ্বল ত্যাগ করিয়া নগরেই আশ্রয় খোজে ; আর যাহাঁদের অদৃষ্টে সে-সৌভাগ্য জোটে নাই তাহারা গ্রামে থাকিয়া দলাদলি করে, মামলামোকদ্দমা করে, পরনিন্দ করিয়া তাম্রকুটের ধোয়ায় পল্লী-চণ্ডীমণ্ডপ ধূমায়িত করে আর প্রতিদিন তাঙ্গাদের অদৃষ্টকে ধিক্কার দেয়। আর যাহারা অভদ্র বলিয়া পরিচিত তাহীদের মধ্যে যাহাঁদের অল্পবিস্তর জমি আছে তাহীরা চাষ করিয়া কেনমতে দিনাতিপাত করে ; মাহীদের জমি নই তাহারা হয় দিনমজুরী করে, না-হয় নিকটবৰ্ত্ত পাটের কলে কুলির কাজ গ্রামের মেয়রা গৃহকৰ্ম্ম করে এবং তাহার অবসরে কলহ ও পরচর্চ করে । এখানকার পল্লীজীবনে আজি অীর কোন শ্ৰী, কোন সৌন্দর্য বা মাধুর্য নাই ; মানুষের মনকে মুক্তি দিবার, তাহাকে সার্থকভাবে ব্যাপৃত করিয়া রাখিবর কোন আয়োজনষ্ট আজ সেখানে নাই । এরূপ আবেষ্টনের মধ্যেই ১৯২১ সালের ২৫শে ডিসেম্বর রামকৃষ্ণ মিশনের সরিষা আশ্রমটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পূৰ্ব্বেই বলিয়ছি ইহার বাহিরের ঐশ্বর্য বিশেষ কিছু নাই । যে দুই টুকরা জমির উপর আশ্রমটি অবস্থিত তাহাদের একটির আয়তন প্রায় তিন বিধা । তাহার উপরে বিদ্যালয়গৃহ ছাড়া আরও পাঁচ-ছয়টি কুটীর আছে ; সেগুলি যথাক্রমে ব্যায়ামাগার, ডাক্তারখানা, রন্ধনগৃহ, ঠাকুরপুজার মন্দির এবং আশ্রমের সাধু ও অতিথিদের থাকিবার স্থান। যদি ইহাদের কোন বিশেষত্ব থাকে, তবে সে তাহদের আড়ম্বরহীন পরিপাটি পরিচ্ছন্নত ; বিদ্যালয়ের সম্মুখে বিস্তৃত প্রাঙ্গণে বা অন্ত কোথাও একটুও আবর্জনা নাই দেখিয়া সত্যই বিক্ষিত ও মুগ্ধ হইয়াছিলাম । - অদূরে রাস্তার ওপারে সারদামন্দির বা মেয়েদের শিক্ষালয় । একটা নালার উপর বঁাশের সেতু, সেই সেতু অতিক্রম করিয়া সারদামন্দিরে যাইতে হয়। প্রকাও একটি চারচাল মাটির কোঠা, পরিচ্ছন্ন ও স্বজারভাবে সাজান ; করে |