পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bळ1, মহোৎসব ᏉᎲ$ মাথার খুলিটা ভেঙে দেবে। সে হলপ করলে সে আর ওধীরে যাবে না। এক পয়সা দিয়ে একখানা তেলেভাজা বড় পাপর কিনে মাধবঙ্গীর শা-বাধানো ঘাটের বঁ-পাশে একটা ভাঙা পৈঠের উপর য’লে, খেতে খেতে পার-ঘাটের নৌকাযাত্রীদের দেখতে লাগল। বেলা বাড়লো। ঠাকুর হরিদাস গোস্বামী সকলকার মত সভাভঙ্গ ক’রে উঠলেন। তিনি জমিদার-বাড়ির পৈতৃক গুরুদেব । গোড়া গোঁসাই ব্রাহ্মণ । গেীর রং, দোহার চেহারা, মাথা মুড়ানে, নাকে তিলক, গলায় কষ্ট এবং একগোছা পৈতা, পরনে গরদের কেঁচান ধুতি, খালি পা ; দেখলে মনে হয় যেন আভিজাতোর গৌরবে গৌরবান্বিত। মাধবঙ্গীর ভোগের সময় হ’ল । ভে"পু বেজে উঠল । গোসাঁইঞ্জী যাবেন স্নানে। পথে শত শত লোক তার পায়ের ধুলা ভক্তিসহকারে মাথায় ঠেকালে । তারা ভাবলে তাদের জীবন আজ ধঠ হ’ল ঠাকুরের শ্রীচরণের ধূলিতে। শুধু যার জীবনের এই পরম সুযোগ লাভ থেকে বঞ্চিত হ’ল তারা গ্রামের ছোট জাত। ভয়ে ভয়ে দূর থেকে ঠাকুরকে দণ্ডবৎ ক’রে তারা মনের ক্ষোভ মেটালে । যডুবাবুর কড়া হুকুম কেন ছোটলোক যেন ঢুকতে না পায় ঘাটে। ভজুয়া সদলবলে ঘাড়ে লাঠি নিয়ে ধিরে ধীড়াল মাধবঙ্গীর ঘটে । গোবরার মা রুদ্ধ নিঃশ্বাসে ছুটে এল গোবরা বুঝিবা কি সৰ্ব্বনাশ করে দেখতে । “ওরে গোধর দূর থাক। ছুয়ে ফেলিস নি যেন ঠাকুরকে"। এধারে চৌধুরীপাড়ার খেদী কঁটা কিনতে এসে দোকানওয়ালীকে দেখতে না পেয়ে ইাকলে, “গোবরার মা কোথায় গেলে গে।—৪—ও—ও ” “এই যে হেথা, কি নিবে গা মালি ?” গোবরার মাথায় কিন্তু ভূত চাপলে । তার মা গেল চলে। সে ঝুপ ক’রে জলে নেমে এক ডুবে সাতরে গেল ঘাটে ব্যাপারখানা দেখতে । ঠাকুর স্নান সের ঘাটে উঠবেন । গোবরা তাড়াতাড়ি তার পা-ফ্লুটো জড়িয়ে মিনতি করলে, “ঠাকুর, আমি যাব মাধবঙ্গীর মন্দিরে আপনার সাথে ।" বড়বাবু চোখ রাঙিয়ে ধমকালেন, “কে তুই ” ভীড়ের ভিতর থেকে কে এক জন ক্ষীণকণ্ঠে বললে, “তালপুকুরের চুড়িওয়ালীর ছেলে । ঠাকুর ওকে ছোবেন না ; ছেবেন না। ও ছোট জাত ” মাধবঙ্গীর ত কোন জাত নেই বড়বাবু, উনি সকল - * • • • • • - ICHy csة #1tRE H&ة "চোপরও উল্লুক, যত বড় মুখ নয় তত বড় কথা ?” “কিন্তু আজ আমি ঠাকুর তোমায় ছাড়ব না ।” অতটুকু ছেলে গোবুরা। তার বুকের পাটা দেখে বড়বাবু রাগে থর থর করে উঠলেন। হুঙ্কার করলেন, “ভজুয়া ?” “হুজুর ” সকলে এক অপ্রত্যাশিত আশঙ্কায় শিউরে উঠলো। এক মুহূৰ্ত্ত এবং ভজুয়ার সঞ্চালিত লাঠি ফসকে সজোরে আঘাত করুল ঠাকুরের মাথায় ৷ কপালের দিকে খানিকটা কেটে গিয়ে রক্ত ছুটতে লাগল। সবাই নিৰ্ব্বাক। সব চুপচাপ। বিনামেঘে বজ্রপাতের মত ভজুয়ার লাঠির আঘাতে ঠাকুরের রক্তপ্লাবিত অচেতন দেহ ধীরে ধীরে লুটিয়ে পড়লে ঘাটের উপর । যাবুর। পাগলের মত ছুটাছুটি করতে লাগলেন চার দিকে । 豪 轉 離 豪 * মাধবঞ্জী সেদিন তোগ পেলেন না ।