পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ጫጫo প্রেবাসী ; YS98ు মাত্রী কি ডাকাত ! মেয়েটার প্রাণের আশঙ্কা করলি নে ंवाँं७ ? ব্যাপারটা বুঝতে আমার দেরি হ’ল না । সাতকড়ি আরও বলল—কালীনাথ গাঙুলী কি গ্রাম ত্যাগ করেছে সাধে ? এই জন্তেই সে বাড়িমুখো হয় না, ওদের সঙ্গে কোন সম্পর্ক রাখে মা । এত কথা আমি কিন্তু জানতাম না—এই নতুন শুনলাম। আমি মুস্কিলে পড়ে গেলাম—আমি এখন কি করি ? হিরন্ময়ীর মা আর দিদি দোষী কি দোষী নয়—সে বিচারের ভার অাছে অন্ত বিচারকের ওপর—সাতকড়ি মুখুয্যের ওপর নয়। কিন্তু এদের মোকদম উঠলে উকীল নিযুক্ত কে করে, এদের স্বাৰ্থ বা কে দেখে, এদের জন্তে পয়লা-খরচই বা কে করে ? এদিকে মার এক মুস্কিল। ওর মা আর দিদিকে যখন খয়ে নিয়ে গেল, হিরন্ময়ী তখন ওদের বাড়ির সামনে আড়ষ্ট হয়ে দাড়িয়ে । সামনে অন্ধকার রতি, সে রাত্রে সে একাই বা বাড়িতে থাকে কেমন ক’রে, বাড়িতে আর যখন কেউই নেই—অথচ সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ তাকে নিজের বাড়িতে ডাকলে না। সদ্ধার সময় ও-পাড়ার কৈলাস মজুমদারের স্ত্রী এসে ওকে ও-অবস্থায় দেখে বললেন-ওম, এ মেয়েট এখানে একা দাড়িয়ে অাছে যে ! ছেলেমানুষ, বাড়িতে এক থাকবেই বা কি ক’রে ? ওর মা দিদি কি করেছে জানি নে—কিন্তু ওকে আমি চিনি ও পাগলী, আনন্দময়ী। এস ত মা হিরণ, তোমাদের হারিকেনট বাড়ির ভিতর থেকে নিয়ে ঘরে চাবি দিয়ে এস। ওকে জায়গা দিলে যদি জাত না থাকে-তবে না থাকল তেমন জাত ? মজুমদার-গিী যদি কোন কথা না বলে নিঃশব্দে হিরন্ময়ীকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতেন, তবে হয়ত কোনই গোলযোগ বাধতো না-কিন্তু শেষের কথাটি ব’লে ফেলে তিনি নিতান্ত নিৰ্ব্বোধের মত কাজ ক’রে বললেন । কাছেই গ্রামের সমাজপতি আচাৰ্য্য-স্বশাম্বের বাড়ি। তাদের সঙ্গে বাধলো তুমুল ঝগড়া। শশধর জাচাৰ্য্যের স্ত্রী অনেক ক্ষণ নিজের মনে একতরফ গেয়ে স্বাষার পর উপসংহারে বললেন—ও বড় ভাল মেয়ে—ন ? মুগ্ধ খুললেই অনেক কথা বেরিয়ে পড়ব । সব জানি, সব বুঝি। চুপ ক’রে থাকি মুখ বুজে—বলি মাথার ওপর এক জন আছেন, তিনিই দেখবেন সষ—জামি কেন বলতে যাই ? i মজুমদার-গিী বললেন—যা কর । ন-বেী, আবার এ মেয়েটার নামে কেন যা তা বলছ ? সেটাই কি ভগবান সইবেন ? আচাৰ্য্য-মশায়ের স্ত্রী বারুদের মত জ্বলে উঠলেন— আরও দ্বিগুণ চেচিয়ে বললেন—ধৰ্ম্ম দেখো না ব’লে দিচ্ছি, ভাল হবে না। ওই রয়েছে মুখুয্যেরা, ভট্চাষিরা জিগ্যেস কর গিয়ে। ওই মেয়ে ওই পাঠশালার মাষ্টারছোকরার কাছে রাত বারটা অবধি কাটিয়ে আসে— রোজ তিন-শ তিরিশ দিন । সারা রাত্তিরও থাকে একএক দিন। বলুক ও মেয়েই বলুক, সত্যি না মিথ্যে । ভেবেছিলুম কিছু বলব না—মরুকৃ গে, যার আস্তাকুড়, সেই গিয়ে ঘ"টুক, না ব’লে পারলাম না । কে ও মেয়েকে ঘরে জায়গা দিয়ে কালকে আবার একটা হাঙ্গামা বাধাতে বাবে ? আমি এত ক্ষৰ চুপ ক’রে ছিলুম, কথা বলি নি—কোন পুরুষমানুষ উপস্থিত ছিল না ব'লে। চেঁচামেচি শুনে আচাৰ্য্যি-মশায়, সাতকড়ি ও সনাতন রায় ঘটনাস্থলে এসে দাড়াতেই আমি এগিয়ে গিয়ে বললুম—আপনারা আমার মায়ের মত—আপনাদের কাছে একটা অনুরোধ, হিরণকে এ ঝগড়ার মধ্যে মিথ্যে আনবেন না। ও আমার ছাত্রী, ছেলেমানুষ, আমার কাছে বায় সন্ধ্যেবেলা গল্প শুনতে— কোনদিন পড়েও । রাত নটা বাজতেই চলে আসে। একটা নিষ্পাপ নিরপরাধ মেয়ের নাম এ-লবের সঙ্গে নাজড়ানই ভাল ! মা, আপনি ওকে বাড়িতে নিয়ে যান । এতে ফল হ’ল উলটো । নগড়া না থেমে বরং বেড়ে উঠল। মজুমদার-মশায়ের দুই ছেলে ও ছোট ভাই এলে মজুমদার-গিল্পীকে বকবকি করতে লাগল—তিনি কেন ওপাড়া থেকে এসে এইসব ছেঁড়া ল্যাটার মধ্যে নিজেকে छफ़ांप्ठ बांन ? १ बाङ्गान७ छैiब्र छन यदि ब-श्द्र फ़रव আর কৰে হৰে?”তিনি চলে জাহন বাড়ি। এপাড়ার ব্যবস্থা এপাড়ার লোকে বুঝে ভিনি কেন মাথাৰখ