পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র খোকন হয়ত দিদিকে গ্রাহীও না করিয়া মায়ের কতগুলি চুল নিজের মুখের মধ্যে নিৰ্ব্বিকারভাবে পূরিয়া দিল ! / পরের দিনকার ডাকে দিবাকর মাধুরীকে একখানা চিঠি লিখিল— পরম কল্যাণীয়াসু মাধু, অনেক দিন তোমাদের কোনই খবর জানি না। কত চিঠি লিখি, কিন্তু একথানারও ত উত্তর দিবে না ! কাল রাত্রে তোমাদের অনেক স্বপ্নে দেখিয়াছি। খোকনের জন্তে মনটা এক সময়ে অত্যস্ত চঞ্চল হইয়া উঠে । সে কেমন আছে, তাহার সমস্ত কথা আমায় জানাইবে কি ? মীরাও কি আমীয় ভুলিয়া গিয়াছে ? আমার কথা সে তোমাকে জিজ্ঞাসা করে না ? তোমার শরীর ভাল আছে ত ? সৰ্ব্বদা সাবধানে থাকিও। লক্ষ্মীটি, চিঠির উত্তর দিতে ভুলিও না । আমার স্মেহাশীষ লও। ইতি দিবাকর । পনের দিন কাটিয়া গেল। দিবাকর যশোহর হইতে আন ঔষধের কোন গুণই বুঝিতে পারিল না । কিন্তু স্বর্ণময়ী বলিলেন, আগের চাইতে একটু ভালই দেখা যায় যেন রে দেবী । তেfর কেমন ঠেকছে ? —কি জানি সন্নোদিদি, কিছুই ত বুঝি টুঝি নে! —আরও দুটো দিন যেতে দে, দেখাই যাক --- সহসা স্বর্ণদিদির আর একটি কথা মনে পড়িয়া গেল, বলিলেন—ধ্য-পুঞ্জ, ঠাকুরকে বলে এলাম একটা সত্যিনারাণ পুজো করে দিয়ে যাবার জন্তে। অনেক দিন সত্যিনারাণের পুজো বাড়িতে হয় না, তোরও এই রকম বামে। দেবতার পুজো একটা করে ফেলাই দরকার। দিবাকর স্বর্ণদিদির কোনো কাজেই বাধা দেয় না । পূর্ণষ্ঠাকুরের নির্দিষ্ট দিনে স্বর্ণঠাকুরাণী পূজার আয়োজন করিয়া ফেলিলেন । পূজা দুই মিনিটেই হইয়া গেল। পূর্ণঠাকুর পাঁচালী পাঠ করিতে সুক্ষ করিলেন। - গণেশ-অঙ্গনার আরম্ভট সামান্ত একটু বোঝা গেল, তার পরে সত্যনারাণদবের প্রসাদ অবহেলা করিবার ফলে ग७नां★जब छिन निमझन, कब्रांबांग, हेछाक् िभक्ष උද්(Sෂ bళరిఫ్రి দুৰ্গতির শেষে পুনরায় গভীর বিশ্বাসের সহিত স্তবস্তুতি করিয়া তাহার কৃপায় সমস্ত পুনঃপ্রাপ্তি পৰ্য্যস্ত—এক নিঃশ্বাসেই সমাপ্ত হইয়া গেল। জল-ভরা হু কায় তামাক খাইবার সময়ে যেরূপ একটা শব্দ হয়, সেইরূপ একটি শব্দ পূর্ণ-ঠাকুর কিছুক্ষণ করিয়া গেলেন মাত্র। এক বাড়িতেই বেশী সময় নষ্ট করিলে চলিবে না, আরও পাঁচখানা সত্যনারাণ পুজা তাহার সেই রাত্রেই করিতে হইবে। ভক্তিভরে একটি ফুল পূজার স্থান হইতে তুলিয়া আনিয়া স্বর্ণদিদি দিবাকরের কপালে ছোয়াইয়া কানে গুজিয়া দিলেন । অতঃপর সিগ্নি-চটকানো চলিতে থাকিল। " এতকাল পরে এই সতানারায়ণ পূজা দেখিয়া দিবাকরের শৈশবের একটি কথা মনে পড়িয়া গেল । দিবাকরের পিতা ঠিক পুরোহিত না হইলেও সৰ্ব্বপ্রকার পুজা-পদ্ধতিই জানিতেন এবং সদাচারী ব্রাহ্মণ ছিলেন। লক্ষ্মীপূজা, কার্ষিকপুর ইত্যাদি অনেক সময়ে তিনি অনেক বাড়িতে করিতেন। তিনি যখন মরিয়া গেলেন, তখন দিবাকরকে মাঝে মাঝে এক-এক বাড়িতে ধরিয়া বলিত, তাহাদের পুজা করিয়া দিতে হইবে । দিবাকর পুজার কিছুই জানিত না, কাজে কাজেই এড়াইয়া যাইত। কিন্তু কায়েত-পাড়ার হরিদাসই দিত মুস্থিল করিয়া । দাদাঠাকুরের প্রতি তাহার অগাধ বিশ্বাস, অসীম শ্রদ্ধা । তিনি মরিয়া গেলে কি হইবে, তাহার পুত্ৰ-সে ছেলেমানুষই হউক আর যাহাই হউক—তাহাকে দিয়া পূক্ত করাইয়াই তাহার তৃপ্তি ! জোর করিয়া সে দিবাকরকে একবার তাহার ঘরে লক্ষ্মীপূজা করিয়া দিবার জন্য লইয়া গেল ; আদর করিয়া, যত্ন করিয়া তাহাকে পুজার আসনে বসাইরা বলিল—তুমি যেমন ক’রে পুজো করবে তাই তই আমার পুণ্যি হবে ছোটদাদা ! দিবাকর আসনে বসিয়া ঘামিয়া উঠিল। হরিদাসের বড়মেয়ে কাছে বসিয়া দিবাকর:ক সর্য দেখাইয়া দিল । না-জানা আছে মন্ত্র না-জানা আছে কিছু—তবুও তাহাকে शब्रिब्र छांनाüfनि ! निब'कब्र भtन भcन अठारु कठिग्ना कठेि* বুক অব রিডিং-এর ঘোড়ার গল্পট ফি বিড় করিয়া প্রথম হইতে শেষ পর্যাপ্ত মুখস্থ বলিয়া লক্ষ্মীর ঘটের উপর ফুল এবং আলোচাল ছিটাইয়া দিল ।