পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র ۔ممب=ے মধ্যে । নরেশ বলিবেই যে ওই তরল পদার্থটা হাড়ির ভিতর হইতেই চুয়াইয়া পড়িয়াছে ; বিনোদও বলিতে থাকিবে পাথরের বাট-ঘামা জল ! দিবাকরখানিক ক্ষণ পরে বলিল—থাক্ গে নরেশ-কাক, এক কাজ করুন, মিটে যাক । হাড়ি থেকে পাতা গুলি বের করে নিংড়ে রস বানিয়ে পাথুরে বাটির এই জিনিষটুকু তাতে ঢেলে মিশিয়ে বোতল ভরে রেখে দেওয়া যাক, রোজ একটু একটু ক'রে খাই। বাসকের পাতার রসও তো উপকারীই, তা ছাড়া ওটা নিয়ে যখন একটু সন্দেহই হচ্ছে—এ ব্যবস্থা মন নয় ! অতঃপর তাহাই করা হইল । দিবাকর সকালে বিকালে দু-বার কfরয়া তিন-চারি দিন থায়, কিন্তু তার পরেই সে রস বোতলের ভিতরে লিই রকম পচিয়া উঠিল । একদিন মুখের কাছে লইয়া গন্ধে বমি আসিল । দিবাকর বোতলযুদ্ধ সব রস ঢালিয়া ফেলিয়া দিল । কিছুই আর ভাল লাগে না, দিবাকর সমস্ত আশাই ছাড়িয়া দিল। হাতের টাকা কয়টিও প্রায় ফুরাইয়া আসিল । দিবাকর আর কুল-কিনারা করিতে পারে না । প্রত্যহ ডাকের আশায় তাকাইয়া থাকে, মাধুরীর চিঠি আসে না । বে-মাধুরী ছড়িা এই পুথিবীতে তাহার আর কেহই নাই, সেই মাধুরী তাহীকে এত ঘৃণা করে { খোকনের অন্নপ্রাশন—একধান চিঠি, শুধু একথানা চিঠি ইহাও সে তাঁহাকে লিখিবে না ? মীরাও কি তাহাকে তুলিয়া গিয়াছে, সেও কি মায়ের কাছে গিয়া তাহার কথা কখনও জিজ্ঞাসা করে না ? করিলে, সে তার কি উত্তর দেয় ? ভাহার কথা মনে করিয়া মাধুরীর মনটা কি একবারও একটু কাদিরা ওঠে না । শীর্ণ খটু ভুঁইট জোড় করিয়া তাহার উপরে জরাতুর মাথাটা রাখিয় দিবাকর চুপ করিয়া বসিয়া রহিল। একদিন জোগা দুধ দিতে আশির আবদুল বলিল—ধ্য ন-ঠাকুর, আমার একটা কথা রাখ না কেনে, এতই ত ক’রূলে । দিবাকর চাৰিতে কাশিতে জিজ্ঞাসা করিল—কি কথা थावृझण ? - » ○空不5 b~$$ —তোমার ওই কাশির লেগেই বল বার চাই । —কি বল দিকি ? —নওপাড়া গেছ কোনোদিন ? ছাইড়েই ওই পাশে যে গাও ? —ছোটবেলায় একবার গিয়েছিলাম, মনে পড়ছে। কেন বল দেখি ? —নওপাড়ায় এক ভৈরবী মা-ঠাকুরেণ আসেছে । বড় ভারি সাধু । শনি-মঙ্গলবারে কালীমূর্তির পূজো করেন, পূজোর তাযে তেনার আদেশ হয়। তখন তিনি তেনার কাছে যারা গেছে—কি মনে ক’রে গেছে, কারু বেয়ারাম থাকলে সারবে ধিনী—সকল কথাই ব’লে দেন, ওষুধও দেন । কত লোকে নিতি যাচ্ছে । তা দ-ঠাকুর, এনার কাছে তুমি একবার গিয়ে ঘুরে আসে না । দৈব ওষুধের তুলি ওষুধ আর কিছু নাই । দিবাকর জিজ্ঞাসা করিল—আচ্ছা, সেই ভৈরবী মায়ের কাছে গিয়ে কেউ কোনো শক্ত অসুখ থেকে ভাল হ’য়ে সেরে গেছে এমন তুমি নিজে জান ? দুগ্ধের পৃষ্ঠ ভাড়টাকে মাটিতে উপুড় করিয়া রাখিরা আবদুল বলিল—জানি নে দ-ঠাকুর ? সাধে কি জার বলছি ? আমারই এক ফুফার সে বা বিপরীত হশফানি হয়েছেল, বাঁচবার ত কথাই না মোটে ! এক দুই দিনেরও নয়—বিশ বছরের বেয়ারাম। সেই বেয়ারাম তাঁর নিদোষ হয়ে সেরে গেল ভৈরবী মায়ের ঠেয়ে ওষুধ পেয়ে ! দিবাকর আবদুলের কাছে সমস্ত খোঁজখবর জানিয়া রাখে । স্বর্ণময়ী পাড়ায় কি কাজে বাহির হইয়াছিলেন, ফিরিয়া আসিতেই আবদুল যাক বলিয়াছে, দিবাকর সমস্ত বলিল। শুনিয়া স্বর্ণময়ী আগ্রহের সহিত বলিলেন— তাহলে দেবী, তুই আয় গিয়ে নওপাড়া থেকে একবার ঘুরে । আবদুল ঠিক কথাই বলেছে, দৈৰ ওষুধের মত ওষুধ সত্যিই আর কিছু নেই। - তার পরে স্বর্ণ-দিদি র্তাহারও জানা এবং শোনার ভিতরে কয়েকটি কঠিন রোগী দৈব ঔষধ গাভ করিয়া ८कभन कब्रिग्रा ठौक्न कठैिम बाथि इहेष्ठ गन्गूष भूखि মধুখালীর বাঞ্জার