পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8جلأسية আবার পূৰ্ব্বের ঐ ফিরিয়া পাইয়াছে ; বীণা চিনিতেই পারে নাই। না চিনিবারই কথা । বিমলা হাসিয়া বলিল—এত রাতে দেখে অবাক হয়ে গেছিল না বীণ ? কিন্তু কি ক’রে দিনের বেলা আসবে। বল্‌ ? জানিল না বুঝি আমার আজকাল তোদের বাড়ি অসিা বন্ধ-রাত্তিরে কুকিয়ে— বিমলার অমুখ সারিয়া গিয়াছে অথচ তাহাকে আসিতে দেওয়া হয় না! এইবার বীণা সমস্ত বিষয় পরিষ্কার ভাবে বুঝিতে পারিল । সে বুঝিতে পারিল এই কারণেই সে যখন শাশুড়ীকে বিমলার কথা জিজ্ঞাসা করিত তখনই তিনি নয় সে-কথা উন্টাইয়া দিতেন আর নয় বলিতেন—যাক গে মা ওসব কথা ! তুমি ঘরের বউ—ম্বরের কথা বল | পরের কথায় কাজ কি আমাদেয়।--শাশুড়ীর উপর দারুণ বিতৃষ্ণায় তাহার অন্তর ভরিয়া উঠিল। বিমলা বলিল-চল বউ, এক জায়গায় ষাবি ?...বীণা বলিল—যাব ? এত রাত্রে আবার কোথায় যাব ?...বিী-পি-চল চিলমারীর জলার ধারে বর্ষায় রাশি রাশি কেয়াফুল ফুটে আছে। নিয়ে আগি গে যাই । ‘কেয়াফুল’ । পুথিবীর মধ্যে বীণার নিকট সৰ্ব্বাপেক্ষ প্রিয় বস্তু এই কেয়াফুল । বিমলা পূৰ্ব্বে তাহাকে কত এই কেয়াফুল আনিয়া দিয়াছে। কিন্তু চিলমারির জল যে এখান হইতে বহুদূর । সেখানে কি এই দারুণ বর্ষায় নিশীথ রাত্রে যাওয়া যায় ? কিন্তু দস্যি বিমলা ছাড়িল না । সে তাহাকে জোর করিয়া টানিতে টানিতে লইয়া চলিল। ঘর ছাড়াইয়া, গওঁী পার হইয় তাহারা পথে আসিয়া নামিল। তথনও বৃষ্টি পড়িতেছে। দারুণ বৃষ্টির মুখে কুলবধূর আর সে বেশবাস রছিল না ; ঘোমটা তাহার থসিয়া পড়িল— অঙ্গের বসন লুটাইতে লাগিল। তীরের ফলার মত তীক্ষ্ণ বৃষ্টির বিন্দুগুলি তাহার হুকোমল অঙ্গটি বিদ্ধ করিতে লাগিল। কিন্তু কি এক অজানা নেশার ঘোরে সে ছুটিতে লাগিল। বিমলা খলিল—‘বউ পাচ্ছিল না গন্ধ! ঐ যে কেমন স্বাক্ষর কেয়ার গন্ধ আসছে? - সত্যই বীণার মনে হইতে লাগিল দূর-দূরাস্ত হইতে মাঠ পার হইয়া মতাল কোগন্ধের বস্ত আলিতেছে। কি মুম্বর সেগৃদ্ধ। রাখার প্রাণ আকুল হইয় ওঠে। কিন্তু অনভ্যস্ত পদক্ষেপে তাহাকে • প্রবাসী ঔ? ఏ98Sు আর কত ক্ষণ সে ছুটিতে পারিবে ? বার-বার সে বিমলাকে জিজ্ঞাসা করিতে লাগিল—কোথায় রে ; আর কত দূর? বিমল বলিল—‘ঐ যে জল দেখা যাচ্ছে, ঐ ত জলা ! কিন্তু বীণা কিছুতেই দেখিতে পাইল না । বিমলা তাহাকে ভীম-বলে টানিয়া লইয়া চলিল । সে ক্রমশ: নিস্তেজ হইয়া পড়িল । কিন্তু তবুও টলিতে টলিতে চলিতে লাগিল।. শেষে সত্য সত্যই তাহার সম্মুখে কেয়াবন আসিয়া দাড়াইল । হাজার হাজার কেয়াফুল ফুটিয়া আছে । সপ্ত বর্ষায় স্নাত হইয়া তাহারা আকুল গন্ধ বিকীর্ণ করিতেছে। পাগলের ন্তীয় বীণা বনের ভিতর নামিয়া পড়িল । কাদায় তাহার পা ডুবিয়া গেল। কাটায় তাহার অঙ্গ কাটিয়া ছড়িয় রক্তাক্ত হইয়া উঠিল । তবুও সে আরও ঘন বনের ভিত ঢুকিতে লাগিল। কিসের নেশায় তাহাকে পাইয়া বসিয়াঃে যেন ! হঠাৎ তাহার পায়ে কটু করিম কি যেন কামড়াইঃ দিল । তীব্র যাতনায় কাতর হইয়া সে ডাকিয়া উঠিল— বিমলী, ও বিমলা দেখুত কি কামড়াল কি কোথায় বিমলা : সে চারি দিকে কোথাও বিমলাকে দেখিীে পাইল না । সে বহুক্ষণ মিলাইয়া গিয়াছে। এমনিত অসহায় অবস্থায় পড়িয়া সে ভয়ানক ভয় খাইয়া গেল কেয়ীবনের পাশেই জলার কালো জল । বর্ষার আকাশে তলায় যেন তাহ আরও ক'লে মনে হইতেছিল। সেই দি তাকাইয় তাহার মনে হইল বুঝি বর্ষায় জলীর জল ল' জিহব বাড়াইয়া, প্রবল বস্তায় তাহার দিকে ছুটি আদিতেছে! ভয়ে, দংশনের অসহ যন্ত্রণায় সে কাতরাইে লাগিল। নিস্তব্ধ রাত্রে, বিজন জুলার তটটিতে তাহ আকুল কাল্প ক্রমশঃ নীরব হইয়া আসিতে লাগিল । 夢 夢 竇 竇 সেই রাত্রের শেষে••• বৃষ্টি থামিয়া গিয়াছে । আকাশে চাদ উঠিয়াছে কাহার হারিকেন হাতে লইয়া তাড়াতাড়ি যাইতেছিল একটা ঝোপের কাছে অগিয়া তাহারা দাড়াইল- ঝো:ে ভিতর হইতে ঠক্ ঠক্‌ শব্দ আপিতে:ছ। এক জন বলিতেছে –‘সরল দেখে কাট হে, নইলে কঁধে লাগবে-’ আর এক জন কি বলিল ঠিক বোখা গেল না । ; , লণ্ঠন-হাতে লোকগুলিকে দেখিয় তাহাঙ্গের মধ্যে