পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ੋਧ ছুটির দিন । চৈত্রের নিঝুম দুপুর । স্বচ্ছ রৌদ্র যেন কোন নিস্তরঙ্গ রঞ্জত সমুদ্রের স্রোত ; এই শুভ্ৰ জ্যোতিৰ্ম্ময় শাহীন ধারায় ঘরবাড়ি গাছ পথ সব পরিপ্লুত। ঝিরি ঝিরি ঈষদোঞ্চ বাতাসে বসন্ত-স্পন্দিত মৃত্তিকার সুরভি । এইরূপ রৌদ্রের দিকে চাহিয়া স্বপ্ন বোনা যায় । মনে হয় এই দীপ্ত স্তন্ধত কোন গভীর প্রাণস্রোতে পূর্ণ। এইরূপ আলোভরা দিনে অরুণ বাড়ি থাকিতে চায় না, রথঘঘরপূর্ণ জনস্রোতময় কলিকাতার পথের জীবনকল্লোলমধ্যে তাহার ঘুরিতে ইচ্ছা করে । রাত্রির স্তব্ধতায় মনে শাস্তি আনে, কিন্তু এই স্বৰ্য্যালোকপূর্ণ নিশব্দতায় প্রাণে চঞ্চলতা জাগে । খাওয়ার পর অরুণ একেবারে প্রতিমার ঘরের দিকে চলিল। প্রতিমা নিজের ঘরে নাই, ঠাকুরমার ঘরে ; তাহাকে রামায়ণ পড়াইয়া শোনাইতেছে । বারামায় ময়না ও কেনারী পার্থীগুলি থ"চায় ঝিমাইতেছে । সাদা কাকাতুয়াটি ছোলা ও ছাতু থাইতেছিল, অরুণকে দেখিয়া লাল ঠোঁট নাড়িয়া চেচাইল–গুড, মর্নিং। সমস্ত বাড়ি সচকিত হইয়া উঠিল । অঙ্কণ তাহার জলপাত্রে জল ভরিয়া দিয়া বলিল, চুপ কুম্ভকৰ্ণ। এই পক্ষীগুলি প্রতিমার পোষ্য জাৰ। কাকাতুয়ার নামকরণ তাঁহারই । অরুণ বাড়ি হইতে বাহির হইল ৷ জয়স্তুের বাড়ি যাইবে ঠিক করিল। জয়ন্ত গতকল্য স্কুলে আসে নাই । অমুখ হইল কিনা খোঞ্জ লওয়া দরকার । জয়স্তের বাড়িতে তাহার যাইতে ইচ্ছা করে না । সে-বাড়ির আবহাওয়া, জীবন-প্রণালী সুস্থ স্বাভাবিক বলিয়া মনে হয় না । জয়ন্তের মেলো-মহাশয় তাহার পূজনীয়। কিন্তু তিনি অক্ষণের সহিত এত বিনীত ব্যবহার করেন, তাহার বংশ-গরিমার এত উচ্চ প্রশংসা করেন যে অরুণের লজ্জা হয় । পীতাম্বরের কপালে চন্দনের তিলক, গলায় কষ্ট, গায়ে ময়ল ফতুয়, নর হাত ছোট মোট কাপড় পরা, সব সময় জোড়হাতে নম্র হরে কথা বলেন, যেন সবার বাসায়াল। সরল কৈশোর বুদ্ধি দিয়া জরুণ এই লোকটিকে ঠিক বিচার করিতে পারে না, সে কিন্তু বুধিতে পারে লোকটি খাটি ১৫৬=১ই एछौचञांझन्म ٩O4 موt করিতে চাহিলেও পীতাম্বর ভণ্ড ও অত্যাচারী। র্তাহার গৃহিণী মৃন্ময়ীকে দিনরাত খাটিতে হয় ; কাজ বড় কম নয়, নিজের চার ছেলে, চার মেয়ে, তাছাড়া জয়ন্ত ও মন্ট, আছে ; বাড়িতে পীতাম্বর ঝি রাখিতে দেন নাই, কারণ সেবাই শ্রেষ্ঠ ধৰ্ম্ম । ছেলেমেয়েরা ভাল থাইতে ও পরিতে পায় না, কারণ দারিদ্র্য-দীনতাই বৈষ্ণবের ভূষণ । কাহারও অসুখ হইলে ডাক্তার ডাকিয়া চিকিৎসা হয় না, হরিনাম গান হয় | পীতাম্বর কিন্তু সুন্দর নাম-সংকীৰ্ত্তন করিতে পারেন। আসলে লোকটি অতি কৃপণ ও স্বার্থপর।. জয়স্তের মাসতুতো ভাইবোনগুলির ব্যবহারও অতি অদ্ভুত অস্বাভাবিক লাগে। তাহাদের শীর্ণ বুভূক্ষু চেহারা ময়লা ছোট কাপড় জামা দেখিলেও দুঃখ হয়। বড় বোন দুর্গ প্রতিমার বয়সীই হইবে, কিন্তু অরুণকে দেখিলে কেবল মাত্র সে নয় তাহার তিন-পাচ-লাত-নয়-দশ-এগার বৎসরের ভাইবোনগুলি লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ, জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্ৰা সকলে ছুটয় পলায়—পীতাম্বর তাহার সকল পুত্ৰকস্তার নাম দেবদেবীর নামে রাখিয়াছেন, হ্যালফ্যাসানের নাম মোটেই পছন্দ করেন না--তার পর সকলে দরজার আড়াল হইতে কৌতুকপূৰ্ণ নেত্রে অরুশকে দেখে, যেন সে কোন অপরূপ জীব। একদিন ঘটনাক্রমে দুর্গ তাহার সম্মুখে আসিয়া পড়াতে লজ্জায় পিছন ফিরিয়া দাড়াইল, তার পর লম্বা ঘোমটা টানিয়া ছুটয়া পলাইয়াছিল। ইহাতে অরুণের যেমন হাসি পাইয়াছিল তেমনি রাগও হইয়াছিল । কিন্তু কি কারণে দুর্গা ঘোমটা টানিয়া পলাইয়াছিল, তাহা জানিতে পারিলে, অরুণ আর জয়ত্তের বাড়ি যাইত না । একদিন খাবারের পর পান চিযাইতে চিৰাইতে পীতাম্বর র্তাহার গৃহিণীকে বলিয়াছিলেন—দেখ, আমাদের দুর্গার সঙ্গে অরুণের বেশ মীনায়। কি বল ? চেষ্টা করব ? স্বামীর সকল মতে সমর্থন করা যুষ্মন্ত্রীর অভ্যাস হইয়া গিয়াছে। কোন আপত্তি বা তর্ক করা সেবিকার ধৰ্ম্ম নয় । কিন্তু মৃন্ময়ী স্বামীর এই কথায় লীয় দিতে পারিলেন না । নিজ পুত্রকষ্ঠ সম্বন্ধে পিতামাতার এক বিচারহীন শ্রেষ্ঠত্ববোধ । আছে । পীতাম্বর দুর্গাকে অরুণের ধিৰস্থিধোগ্য তাৰিলেও * बूकाग्नौ ठांश नॉद्विरजन मां । । ७३ शकतन बङ बाणकG***