পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথাকলি ঐশরদিন্দু সিংহ দক্ষিণ-ভারতে মালাবার অঞ্চলে প্রচলিত কথাকলি নৃত্যসম্প্রদায় আজিও প্রাচীন ভারতের শাস্ত্রীমুলারী নৃত্যাভিনয়কে অভ্যাসের ভিতর বঁচিয়ে রেখেছে। এদের খাতিতে আকৃষ্ট হয়ে কেরল-কথামণ্ডল নাম দিয়ে ও-দেশের কবি ভাল্লাথোল মাজ চার বৎসর হ’ল ধে ধৃত -বিশ:লয় খুলেছেন, আমি গত জুন মাসে তারই ছাত্রদলভুক্ত হই । স্বদেশ থেকে দেড় হাজার মাইলের দুরত্ব রেলপথে অতিক্রম ক’রে যখন ও-দেশে গিয়ে পৌছেছিলাম তখন শেধ রাত্রি। রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে প্রায় ছ-সাত মাইল মোটরবাসে ক’রে গিয়ে কেরল-কথামণ্ডলে পৌছতে হয়। মোটরবাসের অপেক্ষায় প্রায় ঘণ্টা-তিনেক ষ্টেশনে বসে কাটাতে হয়েছিল। সেই সময়ে পথশ্রম ও সুমের ব্যাঘাত খুবই অমৃথকর মনে হয়েছিল। কিন্তু সুর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে যখন ও-দেশের প্রাকৃতিক দৃপ্তের সৌন্দর্য চোখের সামনে ফুটে উঠেছিল তখন সেই অভাবিতের রূপে মোহিত হয়েছিলাম ও নিজের ক্লাস্তি ভুলে যেতে দেরি লাগে নি। জায়গায় জায়গায় আমাদের শাস্তিনিকেতনের প্রাকৃতিক দৃশ্যের সঙ্গে হুবহু মিল দেখতে পেয়ে একটা নিগূঢ় আনন্দ উপভোগ করেfছলাম। ও-দেশবাসীদের অনেকের মুখ শুনেছি যে যখন মহাত্মা গান্ধী ও-দেশে গিয়েছিলেন, তখন ওদের স্তামারুণ, অর্থাৎ প্রাচীন শাসনকর্তা, মহাত্মাকে জিজ্ঞাসা করার উনি বলেছিলেন এ ত স্বর্গ। সত্যই ও-দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মর্যাদা রক্ষা করতে এক কবির লেখনীই সমর্থ। ও-দেশের ছোট-বড় বৃক্ষবহুল পাহাড় বর্ষাঙ্গলের স্বতা দিয়ে গাথ জাকাৰাক সবুজ ধানের ক্ষেতের মালা গলায় ছলিয়ে এবং কোথাও বৃক্ষশূন্ত তৃণাচ্ছাদিত যেন সবুজ গালিচা रिज्ञान एoनख लेब्रड छूमि ८करण cकांग आम**ग ও স্বপারি গাছের বাগান-ঘেরা টালির বাড়িকে নিয়ে যে ীেশ্বর্ষের ৰিকাশ করেছে, যেটা কবি এবং শিল্পীর লেখনী ও ভূদিকাৰে অফুরন্তু খোরাক দিতে সমর্ব দেশের ধানের ক্ষেতে কৃষক-রমণীরা তাদের নিরাবরণ সুপুষ্ট বক্ষ নিয়ে শস্ত ভারনত ধানগাছের বঙ্কিম ভঙ্গীর ছনো ছন্দ মিলিয়ে বুকে পড়ে সারাদিন কাজ করছে যেন রূপদক্ষের তুলিকার অপেক্ষা করেই আনন্মের চিরস্থায়ী প্রতীকে রূপান্তরিত হবার জন্তে । আমাদের কাছে স্বপ্ন ব’লে মনে হয় যখন দেখি ওদেশের লোকেরা প্রাচীন ভারতের আদর্শ জীবনযাত্রা আজিও মেনে চলেছে । আমার এক মসীমা বলেছিলেন, যে, বাঙালীর জিভ, স্বদেশ ছাড়া অন্ত কোথাও খেয়ে তৃপ্তি পায় না, এ-কথা মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে অনুভব করেছিলাম । ও-দেশে কথাকলি ছাড়াও আরও কতকগুলি জনপ্রিয় নৃত্য প্রচলিত আছে, যেমন, "কুমি” "কাংকটু টেলি" “আটম্ তুলাল,” “মোহিনী আটিমূ” ইত্যাদি। প্রথমাক্ত দুইটি ওখানকার বালিকা-বিদ্যালয়েও শেখান হয় । অবশু শ্রেষ্ঠতীয় কথাকলি এদের সকলের অগ্রণী। কথা অর্থাৎ গল্প এবং কলি অর্থাৎ নৃত্যাভিনয় । কথাকলি অর্থে আখ্যানের মৃত্যাভিনয় করা । এদের সমস্ত অভিনয়ের আখ্যান-বস্তু হচ্ছে পুরাণ, এবং নৃত্যরত অবস্থায় কোন রকম কথা নাব’লে হাতের মুদ্রার দ্বারা কথোপকথন ও চোখ, ভ্র, মুখের ভাবভঙ্গীর সাহায্যে অর্থপূর্ণ ভাব প্রকাশ এদের প্রধান বৈশিষ্ট্য। ঠিক কবে থেকে এই সম্প্রদায়ের অভিনয় চলে এসেছে, সে-কথা কেউ স্মরণ করতে পারছেন না। কেউ কেউ বলেন, “কুড়ী-আটমূ” বলে এক সম্প্রদায়র অভিনয় মন্দিরে শুধু ব্ৰাহ্মণদের মধ্যে প্রচলিত ছিল, তারই একটি পরিবর্ধিত ও পরিবদ্ধিত সংস্করণ এই কথাকলি কুড়ী-মটম আজকাল খুবই বিরল, নেই বললেই চলে। কোন স্থানগত ও জাতিগত বাধা মা-থাকায় কথাকলি জনপ্রিয় ও দীর্ঘজীবী হ’তে পেরেছে। কথাকলি মজির থেকে যে জন্মলাভ করেছে তার পক্ষে সাক্ষ্য দেয় अिप्लङ्ग ५ोकछन बझ । फ्राक्छ tोकछाम थप्छ धांtक कृहे