পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নুটু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ফাঙ্কনের পুর্ণিমার আমন্ত্রণ পল্লবে পল্পবে এখনি মুখর হোলো অধীর মৰ্ম্মর কলরবে । বৎসে, তুমি বৎসরে বৎসরে সাড়া তরি দিতে মধুস্বরে, আমাদের দূত হয়ে তোমার কণ্ঠের কলগান ংসবের পুপাসনে বসন্তেরে করেছে আহবান ৷ নিষ্ঠুর শীতের দিনে গেলে তুমি রুয়তনু ব’য়ে আমাদের সকলের উৎকণ্ঠিত আশীৰ্ব্বাদ ল’য়ে । আশা করেছি মনে মনে নব বসস্তের আগমনে ফিরিয়া আসিবে মূবে লবে আপনার চিরস্থান, কানন-লক্ষ্মীরে তুমি করিবে আনন্দ-অৰ্ঘদান । এবার দক্ষিণবায়ু দুঃখের নি:শ্বাস এল ব'হে ; তুমি তো এলে না ফিরে; এ আশ্রম তোমার বিরহে বীথিকায় ছায়ার আলোকে সুগভীর পরিব্যাপ্ত শোকে কহিছে নিৰ্ব্বাক্বাণী বৈরাগ্য-করুণ ক্লাস্ত সুরে, তাহারি রণন-ধ্বনি প্রাস্তরে বাজিছে দূরে দূরে ৷ শিশুকাল হতে হেথা মুখে দুঃখে ভর দিনরাত করেছে তোমার প্রাণে বিচিত্র বর্ণের রেখাপাত । কাশের মঞ্জরী-শুভ্ৰ দিশী ; নিস্তদ্ধ মালতীঝরা নিশা ; প্রশান্তু শিউলি-ফোটা প্রভাত, শিশিরে ছলোছলো ; দিগন্ত-চমক-দেওয়া স্বৰ্য্যাপ্তের রশ্মি জলেজিলো । এখনো তেমনি হেথা আসিবে দিনের পরে দিন,— তবুও সে আজ হ’তে চিরকাল রবে তুমিহীন । ব'সে আমাদের মাঝখানে কতু যে তোমার গানে গানে ভরিবে না সুখ-সন্ধ্যা, মনে হয় অসম্ভব অতি, বর্ষে বর্ষে দিনে দিনে প্রমাণ করিবে সেই ক্ষতি ॥ শ্ৰীমতী রম কর বারে বারে নিতে তুমি গীতিস্রোতে কবি-আশীৰ্ব্বাণী, তাহারে আপন পাত্রে প্রণামে ফিরায়ে দিতে আনি । জীবনের দেওয়া নেওয়া সেই ঘুচিল অস্তিম-নিমেষেই ; স্নেহোজ্জ্বল কল্যাণের সে সম্বন্ধ তোমার আমার গানের নিৰ্ম্মল্য সাথে নিয়ে গেলে মরণের পার ।