পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ーエっ রাজা রামমোহন রাক্স ' هنبسط অরুণোদয় বেলীয় স্নান বিহিত ছিল । সেটি প্রথম অধোদয়ে স্নান। তৎপূর্বে, প্রায় সহস্ৰ যৎসর পূর্বে, শতভিষা নক্ষত্রের আদ্যে হ’ত । ইহা গণিত দ্বারা জানছি। স্মৃতি অর্থাৎ ধর্ম-ব্যবস্থা হ’তে প্রমাণ পাচ্ছি, বৈদিক ঋষির শতভিষায় উত্তরায়ণ দেখেছিলেন । না দেখলে স্মৃতি থাকত না । তারা এটা গণিত স্বারা পেয়েছিলেন, শতভিষাতারাপুঞ্জ দৃষ্টিগোচর হ’ত না । বোধ হয়, অগস্ত্য-তারার উদয় দেখা হ’ত । আগস্ত্যোদয় প্রসিদ্ধ ছিল। তখন শতভিষার বিপরীত দিকে মঘা নক্ষত্রে দক্ষিণায়ণ হ’ত । বৈদিক গ্রন্থে এর অনেক প্রমাণ আছে। এরও পূবে, প্রায় সহস্ৰ বৎসর পূর্বে, ফল্প,নী নক্ষত্রে দক্ষিণায়ণ, এবং ভাদ্রপদী নক্ষত্রে উত্তরায়ণ হ’ত । এই দক্ষিণায়ণের প্রমাণ বৈদিক গ্রন্থে আছে। অদ্যাপি আমরা দোলযাত্রায় ও ঝুলনস্বাত্রায় সে কাল স্মরণ করছি । যাতে চন্দ্র স্বর্য সাক্ষী তাতে অবিশ্বাস করতে পারি না । স্মৃতিশাস্ত্র, স্মৃতিরক্ষার শাস্ত্র। প্রাচীন স্মৃতি রক্ষা দ্বারা হিন্দুজাতি বেঁচে আছে। সে স্মৃতি লোপ করলে আশ্রয়হীন হবে, নূতন জাতি হয়ে পড়বে। স্মৃতির উৎপত্তি না জেনে উদ্দেশু মণ বুঝে কেহ কেহ মনে করেন, স্মৃতির ব্যবস্থা কুসংস্কার। র্তারা জিজ্ঞাসেন, স্নান করলে কি হবে ? আমিও জিজ্ঞাসি, জন্মতিথি পালন করলে কি হবে ? এই যে, সে বৎসর জয়ন্তীর ধুম পড়েছিল, জয়ন্তী-পত্রও দেওয়া হয়েছিল ; কার কি ফল হয়েছিল ? এই যে অমুকের পঞ্চবিংশ বার্ষিকী, অমুকের শতবার্ষিকী হ’চ্ছে, কার কি ফল হ’চ্ছে ? মানুষের পুজা অহরহ হচ্ছে। পটের উপরে ফুলের মালা, দেওয়া হ’চ্ছে। এসব হ’চ্ছে, মিটিং কর্যে, নাম স্মৃতি-সভা, স্মৃতি-তৰ্পণ। প্রাচীনেরা মিটিং ক’রতেন না, হাক-ইকি ডাকা-ডাকি ক’রতেন না, যথা তিথিতে প্রাতঃস্নান দ্বারা দেহ নিৰ্মল করতেন, দান দ্বারা পুণ্য করতেন, তপস্ত দ্বারা মনঃসংযম করতেন, ইষ্টের পূজা দ্বারা আত্মার BB BBBS BBB BB BBBS BBSBBS BB BBBBBS B DS DBBD DBBD DDS তারা আনিমেষ চেয়ে আছে। কৃতজ্ঞতা-ল্লাপন নয় । 獵 রাজা রামমোহন রায় ঐদীননাথ সাম্ভাল ১৮৩৩ খ্ৰীষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসের ২৭শে তারিখে রাজ৷ রামমোহন রায় বিলাতে দেহত্যাগ করেন এবং সেই দেশেই ব্রিইল নগরে তাহার সমাধি হয়। এই উপলক্ষে ইহা ভারতের এবং বিশেষ করিয়া বাংলার এক স্মরণীয় দিন । কিছুকাল পূৰ্ব্বে ভারত ব্যাপিয় তাহার পরলোকপ্রাপ্তির শত-বাধিক উৎসব সম্পন্ন হইয়া গিয়াছে এবং সেই উপলক্ষে তাহার জীবন-চরিত সম্বন্ধে অনেক আলোচনাও হইয়াছে। নিরপেক্ষ ও ধীরভাবে বিবেচনা করিয়া দেখিলে, তাহা হইতে এই সত্যটুকু নিষ্কাষিত হয় যে, রামমোহনের জীবন-চরিত যাহা প্রচলিত, তাহা ভ্রম-প্রমাদবর্জিতও নয় এবং সম্পূর্ণও নয়। পক্ষান্তর, ধিনি ঘুর্গ মানব বলিয়া গণ্য, তাহার জীবনী অতি নিরপেক্ষভাবে ও সত্যানুসন্ধিৎসু মনে, কেবলমাত্ৰ সত্যের দিকে দৃষ্টি রাখিয়া, দুষ্প্রাপ্য ঘটনাগুলির সন্ধান সযত্নে সংগ্ৰহ করিয়া, লিখিত হণ্ডয়া একস্তি অবিশ্রাক | ইহা একটি চিরন্তন সত্য যে, অ-লোকসামান্ত ব্যক্তিগণকে সাধারণ মানব হষ্টতে পৃথক করা যত সহজ, তাহ+ দিগের মনস্তত্বে প্রবেশ করা তত সহজ নয়, বাস্তবিকই যুগ-মানবদিগের মনস্তত্ব দুরবগাঁহ-বিশেষতঃ সমসামরিক ফালে । উপস্থিত প্রসঙ্গে জীবদ্দশায় বে-কলিকতার বন্ধুদের পরামর্শে রামমোহনকে প্রাণভয়ে সাবধান থাকিতে হইত, শত বর্ষ পরে সেই কলিকাতায় তাহার শক্ত-বাধিক