পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2, sixto - SIDBS _ রতন ঘড়ি নাড়িয়া সঙ্কেতে জানাইল—নাই। হাত ও মুখ সমানে চলিয়াছে, বারংবার অত কথা বলিৰীর ফুরসৎ কোথায় ? —বাবা ? বড় একটা গ্রাস কোৎ করিয়া গিলিয়া ছেলেটি জবাব नेिण-हउँ---डे —তবে এই চুলোয় মরতে এসেছিস কেন ? ইহার সদুত্তর দেওয়া কঠিন । অস্ততঃ ছ'-ই করিয়া ঙ্গেক্ষ কথায় দিবার নয়। সভয়ে রতন মুখ তুলিল। এই অপরাধে পুনশ্চ কেরোসিন-ভোগের ব্যবস্থা ন হইয়া যায়। মুকেশী বলিল—এই চেলাগিরি এখন থেকে ছেড়ে দিবি, বুঝলি ? ষাকৃ—রক্ষা 1 রতন নিঃশ্বাস ফেলিয়া বাচিল ; ঘাড় -নাড়িয়া তৎক্ষণাৎ স্বীকার করিল। —ঠক ত! না মিথ্যে বলছিস্ ? —ষ্ঠা—বলিয়া রতন আবার সজোরে ঘাড় নাড়িল । ঠিক এমনি সময়ে চটি ফটফট করিতে করিতে অমরনাথ । —ঘরে অছি, ও মুকেশী ? —এস, এল—ছুটির সে আগাইয়া গেল। বলিল— এই তিন পন্থর বেলায় মাথায় এক ফোটা তেল জল পড়েদি ফে*হায় আমার কপাল ! একটু তেল মাখিয়ে এক ঘটি জল ঢেলে দিয়ে ভাল ক’রে মুছে টুছে দিই অমি---লম্মিটি, দেব ? অঙ্গীর উত্যক্ত কণ্ঠে অমরনাথ বলিল-না, ম, ন,— সময় কোথায় ? পাক শেষ হয়েছে, ইড়ি নামিয়েছি, কিন্তু পারদভস্ম খুজে পাচ্ছি নে। তাড়াতাড়ি একখানা আসন বিছাইয়া বসিয়া বলিল--চট ক’রে দাও ত চারটি। বডড খিছে পেয়েছে। আঁচল দিয়া মুখ মুছাইয়া স্বামীকে থাইতে বসাইয়। মুকেশী বাতাস করিতে লাগিল। দু-এক বার মুখে দিয়াই হঠাৎ অমরনাথ চিণ্ডিত মুখে খাওয়া বন্ধ করিল। সুকেশী বলিল—কি ? জবাব নাই, সে যেন অন্ত এক জগতে r - , মুকেশী ব্যাকুল কণ্ঠে কলি-ওগো, কি হ’ল ৰলষে न ठामांद्र ? অমরনাথ বীর-কয়েক আপিন মনে মাথা নাড়িল । কহিল—পারা পাওয়া যাচ্ছে না, তাই ভাবছি– “লাপের ইড়ায় যদি লেগে থাকে। ছ”—তাই-ই । ভাত ফেলিয়াই সে উঠিল । সুকেশী খপ করিয়া হাত ধরিয়া বলিল—সাপ নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে আমি দেব না তোমায়— —সেদ্ধ করা মরা সাপ বে। হা-হা করিয়া অমরনাথ হাসিতে লাগিল। বলিল—জাস্ত যথম ছিল তখনই ছিল ভয় । তখন কি আর টের পেয়েছ :--কিন্তু এত পার দিলাম, এক ফোটাও ত পাইনে— এক মুহূৰ্ত্ত চুপ থাকিয়া দৃঢ়কণ্ঠে আবার কহিতে লাগিল—শোন সুকেশ, দু-এক আনও যদি পাই খুজে, একটু ক’রে লাগাব পয়সার গায়ে, আর পয়সা হয়ে যাবে ঝকঝকে মোহর। কষ্টিপাথরে ঘধে দেখবে, একেবারে পাঙ্কা সোনা । তন্ত্রের কথা—তোমার আমার নয়— । হাত ছেড়ে দাও, আমি যাই— যার-কয়েক টানাটানি করিয়াও হাত ছাড়াইতে পারিল না । হঠাৎ পাগল জুকেশীর চৌখাচোথি হইয়া টিপিটিপি হাসিতে লাগিল । বলিল—সুকেশী, দেখমহাসি, এ কাওখানা কি বল দিকি । —মনে আছে ? মনে পড়ল নাকি ? আনপো মুকেশর মুখ জলজল করিতে লাগিল। বলিল-কত দিন অমন ক’রে আমার ডাক নি বল ত ? অার সেই যে কি ছাইভন্ম ব’লে ঠাট্ট করতে... —বলৰ ? দেখবে, বলব? কৌতুকীগু চোথে মুখ ঘুরাইয়া সেই কতকাল আগের মত অমরনাথ কুর ধরিল ও স্বকেশী, দেধনহাসি-ভালো-ও-বালি-ই-ই গো... মুখ ফিরাইয়া হঠাৎ ছিঃ ছিঃ করিয়া সে থামিয়া গেল । ঞ্জিব কাটিয়া বলিল—সৰ্ব্বনাশ ! ছেলের সামনে রতন তখন খাওয়া ফেলিয়া উঠিঙ্গা দাড়াইয়াছে। পাগলে তাহার বড় ভয়। এমন তেমন দেখিলে পিছনের দরজায় চম্পট দিবে এই মতলব। কেশরও তার কথা মনে ছিল না। অগ্রভিত মুখে তাড়াতাড়ি সে স্বামীর হাত ছাড়ির অমরনাথ বলিতে লাগিল—বেশ ভূমি বা হৌক।