পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وی این است و উৎসব মহাসমারোহে সম্পন্ন হুইয়া গেল। যুগ-মানব বা অতি মানবদিগের মনস্তত্ব বাস্তবিকই কুরবগাহ—সকল দেশে এবং সকল কালে । বিংশ শতাব্দীতে পাশ্চাত্য দেশেও ইহার উদাহরণ একান্ত দুলভ নয় । যাহা হউক, শত বৎসর পরে আমরা এই যুগ-মানবের মনস্তত্ব যেরূপ বুঝিতে পারিয়াছি, তাঁহাতে মনে হয়,— রামমোহনের স্বভাব-গত দুইটি মনোবৃত্তি তাহাকে জীবনপথে চালিত করিয়াছিল—অসাধারণ ধৰ্ম্ম-জিজ্ঞাসা অর্থাৎ প্রচলিত বিবিধ ধৰ্ম্মগুলির তত্ত্বানুসন্ধান করিবার ইচ্ছা এবং প্রবল কৰ্ম্মপ্রচেষ্টা । ধৰ্ম্ম-জিজ্ঞাসাই তাহাকে সংস্কৃত-শিক্ষায় প্রণোদিত করিয়াছিল,—যাহার ফলে তিনি তন্ত্র-পুরাণাদি শাস্ত্র-সকল হইতে আরম্ভ করিয়া ব্ৰহ্ম-প্রতিপদিক উপনিযদাদি গভীর ভাবে অনুশীলন করিতে এবং তাৎকালিক পণ্ডিতগণের সহিত সমকক্ষভাবে তর্কযুদ্ধ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন । ধৰ্ম্ম-জিজ্ঞাসার মনোবৃত্তিই র্তাহাকে দুরূহ আরবীয় ভাষা আয়ত্ত করিতে প্রণোদিত করিয়াছিল --মাহার ফলে, ধৰ্ম্মদোলনকালে তিনি মুসলমান মৌলবীদিগের সহিত সতেজে তর্ক করিয়া র্তাহীদের কাছে “জবরদস্ত মৌলবী” আখ্যা প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । ধৰ্ম্ম-জিজ্ঞাসার প্রবল তাড়নাতেই তিনি ইংরেজী বাইবেলে পরিতুষ্ট থাকিতে না-পারিয়া মূল বাইবেল পড়িবার উদ্দেশ্যে হিব্রু ভাষা শিক্ষা করেন এবং সেই বলে বলীয়ান হইয়া তর্কযুদ্ধে খ্ৰীষ্টান পাদুরীদিগকে পরাস্ত করিতে পারিতেন । কথিত আছে, য়্যাডাম নামক এক ইংরেজ পাদরী রামমোহনকে খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মে ভজাইতে আসিয়া নিজেই রামমোহনের কাছে সাৰ্ব্বজনীন ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইয়াছিলেন এবং কলিকাতায় ইউনিটেরিয়ান চার্চ স্থাপন করেন । এই উপলক্ষে কলিকাতার তাৎকালিক সাহেবেরা थै ब्राष्ठिांम also “Second Fallen Adam” বলিয়া বিজ্ঞাপ করিতেন। ফলে, অতি অল্প সময়ের মধ্যে রামমোহন বিবিধ ধৰ্ম্ম-সম্প্রদায়ের মধ্যে এমন একটা আন্দোলনের স্বষ্টি করিয়াছিলেন এবং নিজ পক্ষে এমন ধীরতার সহিত যুক্তি প্রয়োগ করিতেন, যাহাতে অপর পক্ষ চমকিত না-হুইয়া থাকিতে পারিত না । এ সকলই তাহার অন্তর্নিহিত ধৰ্ম্ম-জিজ্ঞাসাসনোবৃত্তির গুণে।

} Հ)ՀՅ3-) তাহার পর, তাহার কৰ্ম্মপ্রচেষ্টা । সেই যুগ-সন্ধির কালে কি ধৰ্ম্ম, কি সমাজ, কি শিক্ষণ, এমন কি, তর্ক করিবার ও গ্রন্থাদি লিখিবার জন্ত বাংলা ভাষায় গদ্যে কয়েকথানি উপনিষদের অনুবাদ, এমন কি ব্যাকরণ, ভূগোল ইত্যাদিও র্তাহার কৰ্ম্মপ্রচেষ্টার অন্তর্গত। ইহাদের প্রত্যেকটি সম্বন্ধে তাহার কার্য্য সবিস্তারে বলা এ-প্রবন্ধের উদ্বেগু নয়। এ-স্থলে আমি কেবল তাহার তিনটি কার্য্যের প্রেরণা সম্বন্ধে বলিতে চাই – (১) মহানিৰ্ব্বাণ তন্ত্র, ( বাহ রামমোহনের করামলক স্বরূপ ছিল ), দেখিলেই সুস্পষ্ট প্রতীতি হয় যে, রামমোহনের ব্রহ্মোপাসনার প্রেরণা ঐ তন্ত্র হইতে । মহানিৰ্ব্বাণ তন্ত্রের প্রথম তিনটি উল্লাস ব্রহ্মোপাসনা-বিষয়ক এবং সে উপাসনার পদ্ধতি সনাতন শাস্ত্রানুযায়ী নয়। মহানিৰ্ব্বাণের ব্রহ্মোপাসনায়— “নায়াসে নোপবাগশ্চ কায়ক্লেশে ন বিদ্যতে । নৈবাচারাদি নিয়মে নৌপচায়শ্চি ভূরিশ ॥” “ন দিক্কাল-বিচারোপ্তি ন মুদ্র-স্তাস-সংহতিঃ । ধ৭ সাধনে কুলেশনি তং বিনা কোংগুমগ্রয়েৎ ॥” ( २ग्न छेल्लां★-४० ७ *8 dझांक ) “অস্নাতে বা কৃতজ্ঞানে ভুক্তোরাপি বুভুক্ষিতঃ । পূজায়ং পরমাত্মানং সদা নিৰ্ম্মল-মানসঃ ” ( ৩য় উল্লাস—৭৮ গ্লোক ) “পূজনে পরমেশস্ত নাৰাহন-বিসর্জনে । সৰ্ব্বত্র সৰ্ব্বকালেষু সাধয়েদ ব্রহ্মসাধন ।” (3–54 ) “ভক্ষ্যাভক্ষ্য-বিচারোহুর ত্যাজ্যং গ্রাহং ন বিদ্যতে । ন কালগুদ্ধি নিয়মে ম বা স্থান-নিরূপণম ॥’ “অতুক্তে বাপিতুক্তে বা স্নাতে বাল্পতি এব বা । সাধয়েৎ পরমং মন্ত্ৰং স্বেচ্ছাচান্ত্রেণ সাধকঃ * ( ۹ داد و بالادستان ) রামমোহন উপনিষদে যে নিরাকার ব্রহ্মের সন্ধান পাইয়াছিলেন, মহানিৰ্ব্বাণোক্ত ব্রহ্মোপাসনার ব্ৰহ্মও তাছাই ;– “षाठ क्षिर गयूडूठ५ cवन बांड* ठि♚ठि। दशिन् नर्साशि लौब्रrछ tछद्र१ ठर जक्रणकैः ! ( منسق ) মহানিৰ্ব্বাণোপদিষ্ট ব্রহ্মোপাসনার বিধি ও পদ্ধতি এবং রামমোহনের তান্ত্রিক মনোভাব একত্রে বিচার করিয়া মেধিলে স্পষ্টই ধারণ হয় যে, তাছার প্রবর্তিত ব্ৰহ্মসভার शैव * उश हरेड अप्रौड़ । ്