পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র, (২ ) সতীদাহ-প্রথা-নিবারণ-কল্পে রামমোহনের প্রশংসনীয় প্রচেষ্টার বীজও ঐ তন্ত্র হইতে সংগৃহীত, একথা অকুষ্ঠিত-ভাবে বলা যাইতে পারে। কারণ, দশম উল্লাসে উল্লিখিত – “ভত্র সহ কুলেশানি ন দহে কুলকামিনীম্, তব স্বরূপ রমণী জগত্যাচ্ছন্ন বিপ্রহ ।” মোহা ভৰ্ত্ত,শ্চিতারোহাৎ ভবেন্নয়ক-গামিনী ॥* ( ه با , ه۹-س3gfri به د ) এ-বিষয় মহানিৰ্ব্বাণের নির্দেশটি যেমন সুস্পষ্ট, অভিশাপটি তেমনই তীব্র ও রোয-ক্যায়িত । ইহা হইতে অনুমান করা অসঙ্গত নয় যে, ঐ তন্ত্ররচনার পূর্ব হইতেই সতীদাহ-প্রথার অমানুষিক নিষ্ঠুরতা লোকসমাজের হৃদয়-তন্ত্রীকে আলোড়িত করিতেছিল এবং মহানিৰ্ব্বাণে সেই প্রতিক্রিয়ই শাস্ত্রেচিত শাসন-বাকো প্রতিফলিত হইয়াছে । আরও বোধ হয়, তান্ত্রিকতা-প্লাবিত তাৎকালিক বাংলা দেশে মহানিৰ্ব্বণের আদেশ একেবারে নিষ্ফল যায় নাই ;—সতী-দহি সংখ্যা ক্রমেই কমিয়া আসিতেছিল। পরে, যাহা অবশিষ্ট ছিল, তাহ রামমোহনের চেষ্টায় রাজ-আজ্ঞা দ্বারা একেবার বন্ধ হইয়া যায় । এ-কার্য্যে রামমোহনের কৃতিত্ব যথেষ্ট থাকিলেও প্রেরণা মহীনিৰ্ব্বাণ রাজা রামমোহন রায় w-vo হইতে, এ-কথা না-বলিয়া থাকা যায় না । তবু কিন্তু এ- , কথা, মহানিৰ্ব্বাণের অনুবাদ ও টপ্পনীকার জগন্মোহন তর্কালঙ্কার নামে প্রসিদ্ধ প্রমৎ পুর্ণানন্দ তীর্থনাথ ভিন্ন আর কেহ বলিয়াছেন বলিয়া আমার জান নাই । (৩) এদেশে রীতিমত প্রথায় স্ত্রী-শিক্ষার প্রচলন সম্বন্ধেও রামমোহনের প্রেরণা ঐ তন্ত্র হইতে । উহার অষ্টম উল্লাসের ৪৭ সংখ্যক শ্লোকটি এখন সৰ্ব্বজনবিদিত হইয়া পড়িয়াছে – "কস্তাপেবং পালনীয় শিক্ষণীয়তি যত্নতঃ। দেয়া বরায় বিছুষে ধনরত্নসমম্বিত । আমি রামমোহনের মনস্তত্ত্বের সন্ধানে তঁহিীর কয়েকটি প্রধান কর্য্যের প্রেরণা সম্বন্ধে আলোচনা করিলম । প্রেরণায় মানুযকে থৰ্ব্ব করে না ; বরং প্রেরণা গ্রহণ এবং তদনুসারে অক্লাস্ত-ভাবে কার্যাসাধনই মনুষ্যত্বের পরিচায়ক । সে পক্ষে, তঁহার ঐকাস্তিক আগ্রহ, অদম্য চেষ্টা, ও অসীম সহিষ্ণুতা তাহার অলোকসীমান্ত ও সমুন্নত ব্যক্তিত্বেরই পরিচয় প্রদান করে # ہےس-----

  • গত ২৭ সেপ্টেম্বর তারিখে কৃষ্ণনগরে রামমোহন স্মৃত্তিসগুয়ে অধিবেশনে লেখক কর্তৃক পঠিত ।