পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন্ন্যাসী ধীর পায়ে মাঠের মধ্য দিয়া চলিলেন । অনেক দূর অবধি গেলেন, আবার ফিরিলেন। এমনি কতক্ষণ পায়চারি করিয়া ফিরিয়া আসিয়া আৰ্যর যথাস্থানে বসিলেন । বলিলেন—তোর ছেলের গায়ের সোনার গয়না চাই একটা কিছু— —কেন ? --ভেঙে ফেলব । মুকেশী সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে চাহিয়া রহিল। সন্ন্যাসী বলিতে লাগিক্ষে—শোন তবে । ষড়রিপুর কাম প্রথম, ক্রোধ দ্বিতীয় লোভ তৃতীয়, আর মোহ হ’লগে চতুর্থ। তোর স্বামীর সন্তান-মোহ বড় প্রবল ছিল। তাকে বড় বেশী ভালবাসতেন । নয় ? সুকেশী মাথা নাড়িল—ঠিক । —সেই মোহ এখন তৃতীয়ে পৌচেছে—লোভ, স্বর্ণলোভ। এ কিছু অদ্ভুত ব্যাপার নয়। ঈড়া আর সুষুম্নার উপরে চৌম্বক প্রক্রিয়ায় বহির্ভেদ হয়েছে। এখন বিষন্ত বিষমৌষধমূ। সেই যে সস্তান-মোহ তারই অভিজ্ঞানস্বরূপ তোর ছেলের গায়ের সোনা দিয়ে স্বামীর ঐ ভয়ানক স্বৰ্ণলোভের প্রতিক্রিয়া হবে। বুঝতে পারলি কিছু ? স্ককেশী বলিল—কিছু না সন্ন্যাসী মৃদু হাসিয়া বলিলেন – আশ্চৰ্য্য নয়। এ-সব গুস্থাৎ গুস্থতর। কেবল ঐ গহন নয়, সিকি ভরি সিদ্বর চাই, কপিখমুল—তলের জট, মোছব্বর-সে সমস্ত আমি গুছিয়ে নেব। সি’ছর আর ঐ সমস্ত কারণবারিতে গুলে তার মধ্যে সোনা ফেললে একদম মিলিয়ে যাবে। —এক দম যাবে ? কোন চিহ্ন থাকবে না? একটুখানি বাঁকা হাসি সুকেশীর মুখের উপর ফুটয় উঠিল। সাণী শাস্তকণ্ঠে বললেন—অবিশ্বাস হয়ত কাজ নেই। —না - না । মুকেশীর মুখ একেবারে ছাইয়ের মত मांना श्छा (श्रण । दगेिण-ञांभांद्र भनई dहै ब्रकम ठाकूद्र, তুমি কিছু মনে ক’রো ন । বিশ্বাস এবার আমাকে করতেই হবে। ডাক্তার, কবিরাঙ্গ, ফকির, অবধূত, কালী, শীতলা, ঘেটু মাকাল কিছু আর বাকী নেই। ইঞ্জিার হাজার টাকা খরচ হয়েছে, একটা গয়নার, আর tརྨེ་བ་ན། দাম ? কেবল গোপালের গায়ের জিনিষ-তাই এতক্ষণে রতন উঠিয়া চোখ মুছিতে মুছিতে উহাদের পাশে আসিয়া দাড়াইল। সকল ব্যথা ভুলিয়া সুকেশী স্নিগ্ধ হাসিয়া উঠিল। তার মাথায় হাত বুলাইয়া মুখের ; Sం9ు § দিকে চাহিয়া জিজ্ঞাসা করিল—কত রাত্রে এসেছিলি? ; খাওয়া হ’ল কি না, আমায় ত একটি বার ডাকলি নে তুই ; রতন ? সে কিছু না যলিতেই সন্ন্যাসী আগেভাগে বলিয়া উঠিলেন—মহাভক্ত তোমার মা । তিনি জেগে ছিলেন, র্তার সেবার কি কোন ক্রটি আছে ? তোমার ঘুম ভাঙাবে ও কি দুঃখে ? সরল প্রশান্ত দৃষ্টি সন্ন্যাসীর মুখে স্থাপিত করিয়া মুকেশ । বলিয়া উঠিল—ঠাকুর, সন্ন্যাসীতে আমার বিশ্বাস নেই – কিন্তু রতন আমার সন্ন্যাসী নয়, সে আমায় কাল বলেছে, তোমার অনেক ক্ষমতা । গোপালের গয়না চাও, যা চাও— দিচ্ছি, ওঁকে আবার তেমনটি ক’রে দাও, ঠাকুর । ছেলের হাতের এক গছি বালা আনিয়া তার পদপ্রান্তে রাখিয়া মুকেশী প্রণাম করিল। সেইদিন গভীর রাত্রে আননের আতিশধ্যে রতন আবার ভুল করিয়া ডাকিয়া বসিল—বাবা ! বাস্ত হইয়া সন্ন্যাসী বলিলেন—এখন নয়, এখানে থাকতে جسم --3}= উজ্জ্বল মুখে রতন বলিতে লাগিল-গয়না কিন্তু আমার— -আচ্ছা | --দাও তবে— । —মী, না-এখানে নয় | রতন বায়না ধরিল—একটবার দাও শুধু আমি দেখে রেখে দেব- সন্ন্যাসী বলিলেন—অন্ধকারে দেখবি কি রে ? —হাত বুলিয়ে দেখব । `-- * * ঝুলির মধ্য হইতে বালা বাহির করিতেই হইল, করিলে শোনে নৃ । ੱਗਾ। ན། |