পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাৰ্ত্তিক যুকেশীর মা আজ আর শেবার তদারক করিতে আসিলেন না, বলিয়া দিলেন-কম্বল-টম্বল পাতা আছে । অ’লো জালা আছে । আমি যাব খনিকট পরে। দেখে আসি এদের কfগুকারখানা – বলিয়া তিনিও ফুটন্ত জলের উপর ঝুঁকিয়া পড়িলেন। সন্ন্যাসী ঘরে আসিয়া দেখিলেন, দুটি বিছানা পাতা --একটিতে রতন ঘুমাইয়া । নিজের বিছানার কম্বলটি তাড়াতাড়ি ওটাইয়া লইয়া রতনকে টানিয়া তুলিলেন । মচোখে রতন বলিল—কি ? সন্ন্যাসী বলিলেন—সেই পোষাকের বক্সটাক্স যা দিয়েছিল তোকে—কোথায় নিয়ে আয় শীগগির। এ কন্ম নূতন নহে এবং কিছু ব্যাখ্যা করিয়া বুঝাইবাবও প্রয়োজন হয় না | ফিস-ফিস করিয়া রতন বলিল—পোষাক উপরের ঘরে ; দরজায় তালা দেওয়া । চাবি খুজে দে থব ? সন্ন্যাসী বলিলেন—না—ন । এক্ষুণি হয়ত এসে পড়বে, আর ধরে নিয়ে উত্তরের কোঠায় ঢুকিয়ে দেবে । না, দেখে কােজ নেই, তুই চল— তবু রতন এখনে-৪:"ন হাতড়াইয়া যাহা পাইল লক্টল । পিছনের খিড়কী দিয়া জঙ্গলবৃত গ্রাম-পথের উপরে অ’াধারে আঁধারে দুইজনে উৰ্দ্ধশ্বাসে ছুটিত লাগিল। হঠাৎ সন্ন্যাসীর পিছনের কাপড়ে টান । দৌড়িবার ঝোকে নতন ইপিাইতেছে—হঁপাইতে হাপাইতে সে বলিল— xকুর, বলি এনেছ ? -───མ་གྱྀ་---- --দাও আমাকে-- —দেব, চল্‌— দৌড়িতে দৌড়িতে গ্রাম পার হইয়া গাঙের সাকে lর হইয়া তারা বিলে আসিয়া পড়িল । সরু অলপথ । তথ্যাৎ পা সরিয়া পড়িয়া রতন কাদিয়া উঠিল। বিনাবাক্যে সন্ন্যাসী তাকে কাধে তুলিয়া লইলেন। জিজ্ঞাসা করিলেন— ঠীতে কি রে ? রতন শাস্ত হইয়াছে। বণিল- সেই নতুন ধাড়িটা। স্বণষজ্ঞ Նծ সেখানে পেলাম ত নিয়ে এলাম। ভাঙে নি ঠাকুর, ও ঠিক আছে। বিল শেষ হইয়াছে । একটা বটতলীয় তাহারা বসিল । সন্ন্যাসী বলিলেন—বোচক খেল— বোচক খুলিয়া রতন বাহির করিল গজার কলিকা । মুখ বাকাইয়া সন্ন্যাসী বলিলেন—ও এখন কোথায় কি হব? আর কিছু নেই? দেখ দিকি খুঁজে— এবং নিজেই খুজিয়া পাতিয়া একটি বিড়ি বাহির করিয়া মুখে দিলেন । - - রতন বলিল—আগুন ? —মস্তেরে হব । বলিয়া উন্ট iিট হইতে ল’ল দেশলায়ের কাঠি বহির করিয়া হাড়ির তলায় থস করিয়া টানিয়া আগুন ধরাইলেন । হাসিয়া বলিলেন—সেদিন আগুন করলাম, তুই তাত ভৰ্ত্তি পয়সা নিলি, সব ভূলে গেছিস ? শ্যেরাত্রির হিম হাওয়া বহিতেছে, লতাপাত থসথস করিতেছে, রতন চুপি চুপি আঙুল দিয়া দেখাইল—ঠাকুর, সাদা কাপড় পবা--- ঐ মানুষ—না ? —দুর, উলুবন । পোড়া বিড়িট, ফেলিয়া দিয়া সন্ন্যাসী নিঃশ্বাস ফেলিয়া বলিলেন-বাপ রে বাপ ! বড় বেঁচেছি। একেবারে বাড়িমৃদ্ধ* পীগঞ্জ। অমন আর দেখি নি । —এইবার আমীর গয়না--- —গয়না কি আছে ? কোলের মধ্যে আনিলেন। উঠিল । সন্ন্যাসী বলি মধ্যে ফেলে দিয়েছিল তারাই নিয়ে নিয়ে নিয়া রতনকে একেবারে ত দিন পরে শিশু আবার কোলে —বাল ভেঙেচুরে ফুটন্ত জলের নইলে রক্ষা ছিল যাদের গয়না, , বাবা । এবারে আর হ’ল না। মেহে গলিয়া গিয়া রতন থানিক ক্ষণ মা। বলিল–গয়না আমি চাই নে। কিন্তু এবার আমি বাবা বলব। আর ঠাকুর ব’লে ডাকছি নে— স্থাটোর নিঃ শঙ্কে ছেলের গালে চুমা থাইয়া মাথাটি বুকের উপর চাপি ধৰিল ।