পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখী থাবার দিগে যা। রাগের আর তার অস্ত রহিল না। খুকী ! পিতামহ ভীষ্মের সব আসিয়াছেল কিনা, তাই খুকী বলা হইতেছে ! বিভার বাপ ভুবনবিহারী রায় চৌধুরী-চৌধুরীদের বড় তরফের কর্তা । তিনি আসিয়াছেন ; রাত্রি একটু বেশী হইলেও গ্রামস্থ আরও দু’পাচজম আসিয়াছেন। থাইতে থাইতে নানাবিধ উচ্চাঙ্গের আলোচনা চলিয়াছে। ভূবন চৌধুরী ত নিমাইএর মুখের দিকে চাহিয়৷ ই হইয়া গিয়াছেন । ঐ টুকু ছেলে, এই বয়সে এত শিথিয়া ফেলিয়াছে--অবলীলাক্রমে এমন করিয়া কহিয়া যায়ু বেন তার বিদ্যাবুদ্ধির তল নাই। পাশের ঘর হইতে বিভী উকি দিয়া দিয়া দেখিতেছিল । হঠাৎ আবিষ্কার করিয়া ফেলিল এবং সেই আনন্দে ছুটিয়৷ হুঁপিাইতে ছাপাইতে রান্নাঘরে গিয়া খবর দিল, বর আসিয়াছে, উহারই মধ্যে আছে । মেয়ের নিরাশ হষ্টয়া চলিয়া গিয়াছিল, আবার পাশের ধরে জমায়েত হইতে লাগিল । সদযুগোপাল আনন্দে জিজ্ঞাসা করিতে লাগিলেন--সত্যিরে বিভা, সত্যি ? বিভী চশম-পরা ভদ্রলোককে দেখাইয় দিল । — দেখছেন ন, কি বকম ঘাড় ঝুকে পড়েছে ..তাকায় না, মুখ তোলে না । કે— કે সদম্বগোপাল সন্দেহ প্রকাশ করিয়া বলিলেন উনি যে আর কি একটা নাম বললেন— —বলেছে তবে আর কি ! একেবারে বেদবাকা বলেছে । ধাতুর যেমন কথা ! .سہی-- . বিভা একেবারে হাসিম খুন-- مم চশমাপর। ভদ্রলোকটির ইহার পরে আর বিপদের অবধি থাকিল না। জানালার ওদিক হইতে কাপড়ের খসখসানি, চুড়ির আওয়াজ । ভদ্রলোক বুঝিলেন, দৃষ্টির শতন্ত্রীবাণ গুলা তাহারই পিঠে আসিয়া পড়িতেছে ; মুখ ও চশমা থালার উপর ততই যেন ঠেকিন্তু যাইবার উপক্রম করিল। ওদিকে উমারাণীও বিদ্রোহী। হাতের পাত্রটা ফেলিয়া বাপ করিয়া সে বসিয়া পড়িল । বিভাকে বলিল—আমি পারব না, ड्रहें ब| বিভা জিভ কাটিয়া বলিল সৰ্ব্বনাশ । তা করিস নে । বর పిపిపి জীবে দয়া করতে হয়। তা হলে ওর চোখ ফেটে জল বেরুবে । দেখিস নি, তোর পিছনে কি রকম চেয়ে চেয়ে দেখে চোরের মতে। দেখিস নি তাই,- দেখলে মায়া হত। উমার বিশ্বাস হইল কথাটা । মানুষটি এমনি দেখিতে গোবেচারার মতে, আসলে কিন্তু দুষ্টের শিরোমণি । খাওয়ার পরে আবার পানের জন্য ডাকাডাকি । উমা হাতজোড় করিয়া বলিল—বিভা, লক্ষ্মী ভাই, এবারে আর কাউকে— কিন্তু বিভার দয়ামায়া নাই । হাত মুখ নাড়িয় ঝগড়া আরস্ত করিল—কি রকম মেয়ে তুষ্ট লো ? আমাদের হ'লে আরও কত ছুতোনাতা খুজে বেড়াতাম। যা পোড়ারমুখী— যা শিগগির— ভদ্রলোকের তখন সতরঞ্চির উপর মুখাসীন হষ্টয়াছেন। উমারাণী গিয়া দাড়াইতে ভুবন রায় গুণ-ব্যাখ্যা মুরু করিলেন – মেয়ে নয়, আমার মা লক্ষ্মী । বুঝলেন মশাইরা, আমার বিভাও য। এ-ও তাই। ঐ রং যা একটুখানি চাপ, নইলে কাজ-কৰ্ম্ম স্বভাব-চরিত্র দেখলেন ত ঘাই হোক কিছু। আহাঁ-হ, মুখখান একেবারে শুকিয়ে গেছে । বড় খেটেছিস--- বোস দিকি মী, বুড়ে ছেলের পাশে একটুখানি বোস– নিমাই গম্ভীরভাবে মাথা মাড়িল । কলিকাতার ছেলে, কথায় তুলিবার পাত্র নহে। বলিল না খুর্কী, দাড়াও আর একটু । চুলট। একবার খুলে দিন না কেউ । ঐ দরজাটার ঐখানে চলে যাও খুকী, তাড়াতাড়ি যাও, একটু জোর পঞ্জোর পায়ে এইবার চোখ তুলে তাকাও ত নজরটা দেখতে اسسس جة. تتمة অকস্মাৎ বিভা আসিয়া উমারাণীর হাত ধরিয়া লইয়া গেল। ভুবন রায় ই-ই করিরা উঠিলেন-ওরে কি করিস ? ভদ্রলোকের যে-- বিভার জবাব আসিল - ভদ্রলোকেরা বিশ্রাম করুন । হাঙ্গামা হুজ্জতের ত আজ কথা ছিল না বাবা। খুকী মানুষ— থেটে খুটে এখন বড় ঘুম ধরেছে, ও আর চোখ তুলতে পারবে না । সকালে উঠিয়াই নিমাই গোস্বামী বলিল--নমস্কার !