পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8סיל ধ্ৰু শ্ৰীৰামী বঁট, ఎలిశిపి সহায়তার জষ্ঠ প্রয়োজনীয় অর্থ এযাবৎ মহাগুনেরা নিজেই দিয়াছেন ;-কখনওবা নিজ জামিমে অপরের নিকট হইতে সংগ্ৰহ করিয়া প্রয়োগুন মিটাইয়াছেন । কিন্তু এই প্রকার ব্যক্তিগত সাহায্যের উপর নির্ভর করিয়৷ বৰ্ত্তমান ব্যবসায়জগতে দীর্ঘকালের জন্য টিকিয়া থাকা সম্ভবপর নহে ; কারণ, দেশের ব্যবসায়ের পোষকতা করিবার সমগ্র শক্তি কোনও ব্যক্তিবিশেষের পক্ষে কখনও যথেষ্ট হইতে পারে না । যে-যুগে বাংলার লোন-অফিসগুলি ব্যবসায়-শিল্পের প্রতি ঔদাসীন্ত দেখাইয়া কেবলমাত্র জমি-বন্ধকী-কারবারে আত্মনিয়োগ করিয়াছিল, দেশের শিল্প-জীবনে তাহাকে ‘অন্ধযুগ’ বলা যাইতে পারে। বাঙালীজাতি তথন চাকরি, জমিদারি প্রভৃতির মোহে আকণ্ঠ ডুবিয়াছিল। সেই স্থযোগে ইংরেজ বণিকগণের সহিত একযোগে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ হইতে আগত অবাঙালী ব্যবসায়ী সম্প্রদায় বাঙালীকে ব্যবসায়-শিল্প হইতে স্থানচ্যুত করিয়া আপনাদিগকে স্বধৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছে । এইরূপে একদিকে যেমন লোন-অফিসগুলি হইতে বাঙালী ব্যবসায়িগণ কোনও সাগষা পান নাই, তেমনি আবার লোন-অফিসগুলিও ব্যবসায়-শিল্পের প্রতি বাঙালীর বিমুখতার জন্য খাটি কমার্শাল বা বাণিজ্যসহায়ক ব্যাঙ্করূপে গড়িয়া উঠতে পারে নাই। ফলে, বাঙালীর লোন-অফিস এবং বাঙালীর ব্যবসায় দুই-ই অঞ্জ এষ্ট প্রকার বিপন্ন হইয়া পড়িয়াছে । এই লোন-অফিলগুলি অনেক স্থলেই কমার্শাল বা বাণিজ্যসহায়ক ব্যান্ধের মূলনীতি অনুসারে সংগঠিত । ইহাদের মূলধনের অধিকাংশই অল্পকালের জন্য আমানতহিসাবে রক্ষিত টাকা হইতে সংগ্রহ করা হুইয়াছে । এই টাকা আমানতকারাদিগকে অল্পকাল মধ্যেই ফিঞ্চইয়া দিবার সর্ভ থাকার দরুণ লোন-অফিসগুলির উচিত ছিল,--আল্পকালের জন্যই ঐ টাকা লগ্নী করা । কিন্তু এই দিকে লক্ষ্য না করিমু অধিকাংশ লোন-অফিসই মামানর্তী টাকা জমিবদ্ধকী কারবারে নিয়োগ করিয়াছে। জাঙ্গ ব্যবসার বাজার মন্দ, জমির মূল্য কম ; কাজেই সেই টকা আদায় কর ছুঃসাধ্য হইয়া উঠিয়াছে । ফলে, লোন-অক্ষিসগুলির অবস্থাও আঞ্জ শঙ্কাজনক । এই লোন-অফিসগুলি বিভিন্ন লোকের সঞ্চিত টাকা সংগৃহীত করিবার পক্ষে বিশেষ সহাঙ্গ কল্পিমাছে সন্দেহ নাই ; বর্তমানে ব্যবসার বাজার মন্দা এবং জমির মূল্য হ্রাস न श्रण श्हड असलिब ८ङमन कुब्रवह्य कहेछ भी । क्रूि ব্যবসায়সঙ্গত উপায়ে কাৰ্য পরিচালনা করে জঙ্গ বাংলার লোন-অফিলগুলির পক্ষে ষে সমাকু সাফল্য লাভ কয়৷ অসম্ভব ছিল, তাহ সহজেই অল্পমেয় । যাহা হউক, কি ভাবে কার্যপৰঞ্জি নিয়তি কৰিলে লোন-প্ৰক্ষিপগুলি বর্তমান বিপদ হইতে রক্ষা পাইতে পারে, তাই এখনও ভাবি দেখা কর্তব্য । বাংলায় বাঙালীপরিচালিক ব্যাঙ্কিং-কারবারের প্রসার সম্বন্ধে এখন আমাদের ব্যাপকভারে চিন্তা করিরার সমন্ব আসিয়াছে। ‘এই কারবারে বাঙালীর যথেষ্ট উদ্যম নাই”— এ-কথা সত্য নহে। এই প্রদেশে বাঙালীর উদ্যোগেই সত্তর বৎসর পূৰ্ব্বে প্রথম লোন-অফিস প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। সেই হইতে এপর্য্যন্ত বাঙালীর চেষ্টায়,-বাঙালীর মূলধনে যত লোন-অফিস স্থাপিত হুইয়াছে, তাহার সংখ্যা অাট শতেরও অধিক হইবে ; ইহাদের সবগুলিই যৌথনীতিতে প্রতিষ্ঠিত। সংথ্যাহিসাবে ভারতের অন্ত কোন প্রদেশে এত ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠান হয় নাই । কিন্তু আপনার মনে করিবেন না,এই সংখ্যাবাহুল্য বাংলার ব্যাঙ্ক-সমুদ্ধির পরিচায়ক । এই সকল ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠার মধ্যে কোন ব্যাপক পরিকল্পনা নাই ; অবস্থার সংঘাতে পড়িয়া এগুলি ক্রমশঃ বাণিজ্যসহায়ক অথবা কমার্শাল ব্যাঙ্কের মূলনীতি হইতে বিচ্যুত হইয়া গিয়াছে এবং ব্যাঙ্কের কারবারের কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট গম্ভীর মধ্যেই আবদ্ধ রহিমাছে ; কিন্তু এই সীমাবদ্ধ কাৰ্য্যপদ্ধতি যে ব্যাঙ্ক-পরিচালন নীতির দিক দিয়া মোটেই নিরাপদ নহে, তাহা পূর্বে কেহই বিবেচনা করিয়া দেখেন নাই ; তাই আজ বাঙালী-পরিচালিত ব্যাঙ্কিং কারবার সংখ্যাধিক্য সত্ত্বেও হীনশক্তি এবং অকৰ্ম্মণ্য হইয়া পড়িয়াছে । আমি পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি,—এতদিন বাঙালীর প্রচেষ্টায় যে-সকল ব্যাঙ্কিং-প্রতিষ্ঠান গড়িয়া উঠিয়াছে, তাহদের সংগৃহীত টাকা মুখ্যতঃ জমি-বন্ধকী কারবারেই নিম্নোজিত হইয়াছে এবং সেই কারণে ব্যবসার জন্য যে-প্রকার ব্যাঙ্ক-ব্যবস্থা থাকার দরকার, সে প্রকার ব্যবস্থা কর। হয় নাই । বাংলার লোন-অফিসগুলি একাপ্তভাবে জমি-বন্ধকী কারবারে আত্মনিয়োগ করিয়া ভুল করিয়াছে । থমামার এ-কথা বলিবার উদ্দেশু, ইহা নয় যে, বাংলার ব্যাঙ্কসংস্থানে জমি-বন্ধকী কারবারের স্থান অপ্রধান । বাংলার স্থায় কৃষিপ্রধান দেশে এই কারবারের যে নিতান্ত প্রয়োজন রহিয়াছে, তাহা প্রত্যেকেই স্বীকার করিবেন । কিন্তু ক্ষুদ্রশক্তি লোন অফিলগুলি এই প্রকার কারবারের দায়িত্বভার গ্রহণ করিয়া ব্যবসায়সম্মত ব্যাঙ্ক-পরিচালনাপদ্ধতির অনুসরণ করেন নাই,— ইহাই জামায় মন্তব্য। এই সঙ্গে জামি ইহাও বলিতে চাই যে, জমি-বন্ধকী BBBBB BB BBBB BBB DBB DBDS DBBBB ব্যাঙ্কিং-কারবারের প্রসার ৰিভিন্নমুখী হইতে পারে নাই । বর্তমান জগতের অগ্রণী দেশগুলির দিকে বখনই দৃষ্টিপাত করি, তখনই আমরা খ্যাঙ্কের মধ্যে ৰিবিধ শ্রেণীবিভাগ দেখিতে পাই। সৰ্ব্বক্সই কৃষি, শিল্প, বাণিজ্যের জন্স বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠা লাভ করিতেছে। এই সৰল ব্যান্ধের মূলধন সংগ্রহের পদ্ধতি ও গীধ্যবস্থার উপর ইহানের শ্রেণী বিভাগ নির্ভর করে। কৃষি শিল্প ও বাণিজ্যের উক্তি