পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিধানের জন্য প্রয়োজনীয় ঋণের স্থিতিকাল সমান নহে ; এই বিভিন্ন প্র*ার ঋণের স্থিতিকাল অনুসারে ব্যাঙ্কেরও অর্থসংগ্রহের জন্য যথাযোগ্য ব্যবস্থা অবলম্বন করিতে হয় । দেশের আর্থিক সংস্থানে কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য—এক্ট ভিন প্রকার কৰ্ম্মক্ষেত্রই প্রশস্ত,–এই তিনটিই অবলম্বনীয় ; ইঙ্গদের কোনটিকেই উপেক্ষ করা সমীচীন হইতে পারে ন৷ এবং প্রত্যেকটির জন্যই যথাযথ ব্যাঙ্ক-ব্যবস্থা থাকা দরকার । জমি-বন্ধকী কারবারের জন্ত এদেশে ব্যাঙ্কের গঠন এবং পরিচালনপদ্ধতি কিরূপ হওয়া উচিত, সে সম্বন্ধে কিছুদিন পূৰ্ব্বে ভারতীয় ব্যাঙ্ক অনুসন্ধান কমিটি ষে বিস্তারিত অনুসন্ধান করিয়াছেন, তাহ হয়ত আপনার অবগত আছেন। এই তদস্ত কমিটির প্রস্তাব অনুসারে বাংলার গবর্ণমেণ্ট কিছুদিন পূৰ্ব্বে মৈমনসিংহে এবং কুমিল্লায় দুইটি ‘জমি-বন্ধকী ব্যাঙ্ক’ স্থাপনের আয়োজন করিয়াছেন । স্থির হইয়াছে যে, গবর্ণমেণ্ট স্বদ দিবার জামীন স্বীকারে ‘ডিকেঞ্চার’ অর্থাৎ দীর্ঘকাল মেয়াদে পরিশোধনীয় প্রতিজ্ঞাপত্র বিলি করিয়া, এই সকল ব্যাঙ্কের মূলধন সংগ্ৰহ করিবার ব্যবস্থা করিয়া দিবেন এবং এই টাকা দ্বারা বন্ধকী ব্যাঙ্কগুলি কৃষক ৪ জমিদারবর্গের পূর্বকৃত ঋণ পরিশোধের সহায়তা করিবে । জমিবন্ধকী কারবারের জন্য যে-মূলধন প্রয়োজন, তাহ সংগ্ৰহ করিতে হুইলে দীর্ঘকাল মেয়াদী আমানত অথবা হস্তান্তরযোগ্য ডিবেঞ্চার বিক্রয়ই প্রকৃষ্ট পথ । বাংলা গবর্ণমেন্টের ব্যবস্থামু শেষোক্ত উপাম অবলম্বিত হইয়াছে। পক্ষান্তরে আমাদের লোন-অফিসগুলি মূলধন সংগ্রহের ব্যাপারে সর্বতেভাবে অনতিকালস্থায়ী আমানতের উপর নির্ভরশীল হইয়াও জমি-বন্ধকী কারবারে হস্তক্ষেপ করিয়াছে । তাহার অবশুম্ভাবী কুফল আপনার সকলেই প্রত্যক্ষ করিতেছেন । আজ . এখানে যে ব্যাঙ্কের শাখ-কাৰ্য্যালয় প্রতিষ্ঠিত হইতেছে তাহা প্রধানতঃ কমার্শাল বা বাণিজ্যসহায়ক ব্যাঙ্কের অাদর্শে পরিচালিত ; কাজেই এখানে লোন-অফিসের সমস্তার আর বিস্তৃত পুনরালোচনা অনাবশুক । - বাংলাদেশে কক্সাশ্যাঙ্গ বা বাণিজ্যসঞ্চায়ক খ্যাঙ্কিংকারবার এখন মুখ্যতঃ বিদেশীয় এবং ভিন্ন প্রদেশবাসিগণের कईशशैन इङ्गैमां ब्रहिब्रांzछ i कणिकांडीब्र छीघ्रं क्नग्न, ८षषांद्रन বাংলার প্রায় সমগ্র জন্মৰণিজ্য এবং খহিষণিজ্য কেন্দ্রীভূত यTाकि९-थभंcङ बाछौजौब्र हाम HG& হইয়াছে এবং যেখানে ব্যবসায়গত কর্জ সরবরাহ করিবার স্ববিস্তীর্ণ ক্ষেত্র রহিয়াছে, সেখানেও দুর্ভাগ্যক্রমে বাঙালীর প্রচেষ্টায় কোন বৃহৎ কমার্শাল ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। বাংলায় ব্যাঙ্কিং-কারবারের প্রসার আলোচনা করিতে গিয়া কেহ কেহ মনে করিতে পারেন যে, বিদেশীয় বা ভিন্নপ্রদেশবাসী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হইলেও শিল্প-ব্যবলায়ের সাহায্যকল্পে যে যে প্রকার ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন, বাংলায় তাহার অভাব নাই । কেহ কেহু আবার বাংলায় স্বত্বাধিকারীনিৰ্ব্বিশেষে বিভিন্ন ব্যাঙ্কগুলির মোট কারবারের পরিমাণ লক্ষ্য করিয়া, তাহাকেই বাংলার ধনসম্পদের বাস্তব মাপকাঠি বলিমা ভ্ৰম করিয়া বসেন । সত্য বটে, বিদেশী একসচেঞ্জ ব্যাঙ্ক এবং কমার্শাল ব্যাঙ্কগুলির সহায়তায় বাঙালী ব্যবসাষিগণও কোন কোন ক্ষেত্রে অস্তবাণিজ্য এবং বহিবাণিজ্য চালাইতে সক্ষম হইতেছেন ; কিন্তু ভাই বলিমা ইহা কোনমতেই স্বীকার করা যায় না যে, বাঙালী-প্রতিষ্ঠিত কোন ব্যাঙ্কের প্রয়োজন নাই, তাহার অভাব আমরা অনুভব করিতেছি না । জুর্ভাগ্যক্রমে আজ বাংলা এবং বাঙালী তুলার্থবোধক কথা নহে । আপনার এখানে যাহার ব্যবসায়ী রহিয়াছেন, তাহারা সকলেই জানেন যে, বিদেশীয় ব্যাঙ্কগুলি তাহদের স্বদেশবাসী ব্যবসাস্নিগণের ব্যবসায়ের পোষকতা করিবার জন্য অনেক বিষয়ে তাহাদিগকে অনেক সুবিধা দিম থাকে ; পক্ষান্তরে বাঙালীরা সে-সকল স্থবিধা পায় না। অগ্নিবীমা, নৌ-বীমা প্রভৃতির স্থবিধ বিদেশী প্রতিষ্ঠিত ব্যাঙ্কগুলি হইতে বাঙালী ব্যবসায়িগণ কখনও আশা করিতে পারেন না। ঐ সকল ব্যাঙ্কে বাঙালীদিগকে কেরাণী প্রভৃতি নিম্নক্তন কর্মচারীর পদে নিযুক্ত করা হয় বটে, কিন্তু কোন দায়িত্বপূর্ণ উচ্চ পদে প্রায়ই তাহাদিগকে স্থান দেওয়া হয় না । এই প্রকার আচরণ যে সকল ক্ষেত্রেই পক্ষপাতমূলক, তাহা বলিতে চাই না। ব্যাঙ্কিং-কারবারে অনেক সময় ইহা স্বাভাবিক হইয় পড়ে। বস্তুতঃ এই-সব কারণেই ব্যাঙ্ক জাতীয়প্রতিষ্ঠান রূপে গণ্য হইয় থাকে । আজ আমরা বাঙালী পরিচালিত ব্যাঙ্ক শুধু বান্ধিকারবারের জন্তই চাহিতেছি না –এই প্রতিষ্ঠান বাঙালীর শিক্ষাকেন্দ্র হইয়া খঙিালী জাতির প্রতি বাঙালীর