পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- سیارveھ মধ্যে অনুন বার হাজার ক্ষুদ্র ক্ষুত্র; ব্যাঙ্ক অঙ্ক বিবিধ প্রকার স্ববিধা পাওয়া সত্বেও কারবার বন্ধ করিয়া দিতে বাধ্য হইয়াছে। আমেরিকার এই দৃষ্টান্ত হইতে অক্ষম ক্ষুত্রশক্তি কমার্শাল ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠা সম্বন্ধে আমাদিগকে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করিতে হইবে। বিপুল আর্থিক সংস্থানের দিকে লক্ষ্য না করিয়া যাহার। কেবল প্রতিযোগিতা করিবার জন্যই এক নির্দিষ্ট স্বানের মধ্যে অসংখ্য ব্যাঙ্ক খুলিয়া বসেন, প্রতিযোগিতায় জয়লাভ সেখানে তাহদের হয় ন— হয় কেবল দুৰ্গতি । বাংলায় বাঙালী-প্রতিষ্ঠিত কমার্শাল ব্যাঙ্কগুলির যে আজ দায়িত্ব এবং গুরুত্ব কত, তাহা দুই-এক কথায় বলিয়া শেষ করা যায় না। এইগুলির উন্নতি অবনতির উপর বাংলার জাতীয় উন্নতি-অবনতি নির্ভর করিতেছে। এইগুলির সাফল্য আজ ব্যক্তিবিশেষের বা দলবিশেষের সাফল্য বলিম পরিগণিত হুইবে না, আজ সমস্ত বাঙালী জাতির সাফল্য এদের উপর একান্তভাবে ন্যস্ত রহিয়াছে। এই এক একটি ব্যাঙ্ক আজ সহস্ৰ সহস্র বাঙালীকে শিল্প-ব্যবসামের দিকে আকৃষ্ট করিবে ; আবার এক একটি শিল্প-ব্যবসায় বিরাট রকমের এক একটি ব্যাঙ্ক গড়িয়া তুলিবার পক্ষে সাহায্য করিবে ; সঙ্গে সঙ্গে বাঙালীর আর্থিক দুৰ্গতির ও বেকার সমস্যার অবসান ঘটিবে। স্বনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার অভাবে অথবা পরিচালকবর্গের শৈথিল্যে যদি বাংলায় বাঙালী প্রতিষ্ঠিত ব্যাঙ্কের পতন হয়, তাহা হইলে বুঝিতে হইবে, জগতের অগ্রণী দেশগুলির সঙ্গে বাঙালীর আর পা ফেলিয়া চলিবার উপায় নাই। বৰ্ত্তমানে কুমিল্লায় দুইটি ব্যাঙ্ক কমার্শাল নীতিতে কাঞ্জকৰ্ম্ম পরিচালনা করিয়া আদিতেছেন ; আমি লক্ষ্য করিম দেখিয়াছি যে, ইহাদের পরিচালকবর্গ যে কেবল আমানতী টাকা লইয়াই সন্তুষ্ট আছেন বা কাজ চালাইতেছেন, তাহী নহে ; ইহার নিজেদের টাকাও যথেষ্ট পরিমাণে এইগুলির মধ্যে রাখিয়াছেন, ইহার ফলে ব্যাঙ্ক পরিচালনা বিষয়ে ইহাদের ব্যক্তিগত দায়িত্ব আরও ৰাড়িয়া গিয়াছে এবং ব্যাঙ্ক দুইটির পূর্ণ সাফল্যের দিকে ইহার প্রত্যেকেই মনোযোগী হইয়াছেন। এই ছুদিনেও তাহারা যে কেবল বঁচ্ছি রহিমাছেন, তাহা নহে-প্রসারলভিও করিতেছেন যথেষ্ট ১৯২৩ সনে কুমিল্লা ইউনিক্স ব্যাঙ্ক ఎ938S কারবার আরম্ভ করিয়াছিলেন ; ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্ট ঐযুক্ত ইন্দুভূষণ দত্ত মহাশয় সৰ্ব্বজনবিদিত। ব্যাঙ্কিং-কারবা বিষয়ে তাহার প্রগাঢ় দক্ষতা ও অসুরক্তি যে এই ব্যাঙ্কটি সকল রকমে সাফল্যমণ্ডিত করিবে, তদ্বিষয়ে কিছুমা সন্দেহ হয় না। র্তাহার বাচনিক জানিতে পারিলাম খং জানিয়া অত্যন্ত প্রীত হইলাম যে, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক আমানত টাকার লক্ষ্মী কারবারে কমার্শাল নীতির অনুসরণ করিতেছে এই ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক কলিকাতায় এবং ঢাকা, নারামণগঞ্জ, চাদপু প্রভৃতি মফঃস্বলের বিভিন্নকেন্দ্রে শাখ-কাৰ্য্যালয় প্রতিষ্ঠি করিয়াছেন। সকলস্থানেই তাহারা বাঙালীর সহানুভূf পাইতেছেন ও পাইবেন। চট্টগ্রামের এজেণ্ট শ্ৰীযুদ্ধ জিতেন্দ্রচন্দ্র সেন এবং কলিকাতার এজেণ্ট শ্ৰীযুক্ত যোগেশচ সেন,—এদের আমি বিশেয জানি। ব্যাঙ্ক সম্বন্ধে মহৎ এব বৃহৎ পরিকল্পনা এবং তাহার পরিচালনা সম্বন্ধে এদের যথে ক্ষমতা ও অভিজ্ঞতা আছে। ইহারা উভয়েই বাংলা সম্রাস্তঘরের লোক এবং বহু বিশিষ্ট লোকের সহিত ইহার সংশ্লিষ্ট । ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ এবং চাদপুরের এজেণ্টদে সঙ্গেও আমার আলাপ-পরিচয় করিবার সুযোগ ঘটিয়াছে কমাশ্যাল ব্যাঙ্ক পরিচালন সম্বন্ধে যে অভিজ্ঞতা ও ক্ষমত থাকার দরকার, তাহা তাহদের যথেষ্টই আছে বলিয় মনে হইল । অতি অল্প সময়ের মধ্যেই বুঝিতে পারিলাম ব্যাঙ্কের উপর ইহার কত মহতী আশা পোষণ করেন ব্যাঙ্ককে জাতীয় বিরাট প্রতিষ্ঠান রূপে গড়িয়া তুলিবার পক্ষে ইহাদের উৎসাহ উদ্যম আমাকে চমৎকৃত করিয়াছে আমার দৃঢ় আশা এবং বিশ্বাস, এই কমার্শাল ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠা এবং পরিচালনায় ইহার দেশের এবং জাতির যে দায়িত্বভার স্বেচ্ছায় বরণ করিয়া লইয়াছেন, তাহাতে অচির ভবিষ্যতে ইহারা অবশু জয়যুক্ত হইবেন। দেশের বর্তমান প্রয়োজনের তুলনায় এখনও ইহাদের প্রতিষ্ঠান ক্ষুদ্র হইলেও অদূর ভবিষ্যতে সকলের সাধু প্রচেষ্টায় ইহাই স্বধৃঢ় ও বিরাট হইয় উঠিবে,-বাংলায় বাঙালী আত্মপ্রতিষ্ঠা লাভ করিবে। ভগবানের আশীৰ্ব্বাদ আমাদের সহায় হউক i*

  • কুমিল্লা ইউনিয়ম ব্যাঙ্কের চট্টগ্রাম শাখার উৰোধন-উৎসৰ উপলক্ষে