পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>8え ఎSD8S) بعصبيs_دعمفصصوم-3 প্রস্তাব পারেন । এ-বিষয়ে আমাদের মত অনেক বার প্রকাশ করিয়াছি । সকল কংগ্রেসওয়াল ত কাৰ্য্যতঃ অসহযোগ নীতির বা নিরুপদ্রব প্রতিরোধ নীতির অসুসরণ করেন না—এখন ত অতি অল্প লোকই তাহা করিতেছেন । র্যাহারা অসহযোগ নীতির অতুসরণ করেন না, তাহাদের মধ্যে অনেকের কৌন্সিলে গিয়৷ বক্তৃত, তর্কবিতর্ক ও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিবার যোগ্যতা আছে । ব্যবস্থাপক সভাগুলা কাৰ্য্যতঃ জোঁ-হুকুমদের একচেটিয়া লীলাক্ষেত্র যাহাতে না-হয়, তাহ তাহারা করিতে পারেন এবং তাহ করা র্তাহাদের কৰ্ত্তব্য। প্রশ্ন হইতে পারে, তাঁহাতে কি লাভ ? আগেই বলিয়াছি, কেন্সিল প্রবেশ দ্বারা স্বরাজ লব্ধ হয় নাই, হইবেও না। সে আশায় কোন দল কৌন্সিল প্রবেশ করিলে তাহার নিরাশ হইবেন । কিন্তু স্বরাজ্য-দলের লোকের দলবলে বর্তমানে কৌন্সিল দখল করিতে পারিলে দেশের পক্ষে অনিষ্টকর কোন আইন ব্যবস্থাপক সভার দ্বারা প্রণয়নের চেষ্টা ব্যর্থ করিতে পারেন। অন্তত: তাহার এরূপ বিরোধিতা করিতে পারেন, যে, এদেশে বা বিদেশে একথা রটান চলিবে না, যে, অমুক আইন দেশ-প্রতিনিধিরাই বিধিবদ্ধ করিয়াছেন । অসহযোগ আন্দোলন যখন আরম্ভ হয়, তখন দেশহিতকর অনেক কাজ কোন আইন লঙ্ঘন না করিয়া করা চলিত, দেশহিতকর অনেক কথা লেখা ও বলা কোন আইন লঙ্ঘন না করিয়া লেখা ও বলা চলিত। তাহা সত্ত্বেও অনেক হাকিম ও পুলিসের লোক তাঙ্গতে বেআইনী ভাবে বাধা দিত বটে ; কিন্তু বাধাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ইচ্ছা করিলে আদালতে প্রতিকার চাহিতে পারিত । কিন্তু তৎপরে অনেকবৎসরব্যাপী অভিজ্ঞতার ফলে সরকারী কৰ্ম্মচারীরা ঐসব কাজ ও কথা ক্রমশঃ ব্যবস্থাপক সভায় নূতন নূতন আইন করাইয়া এখন যেআইনী করিয়া ফেলিয়াছে। কংগ্রেসওয়ালার দলবলে ব্যবস্থাপক সভায় থাকিলে হয়ত কোন কোন আইন ব্যবস্থাপক সভার দ্বারা করান যাইত না, যা করাইতে খুব বেগ পাইতে হইত, কিংবা কিছু সংশোধিত আকারে প্রণীত হইত। অত্যাচারের সংবাদ পর্যন্ত প্রকাশ করা ক্রমশঃ কঠিন হইতে কঠিনতর হইতেছে। এখন যে আইন হইয়াছে, তাহাতে কংগ্রেস-ওমালার মানিতে পারেন, না-মানিতেও খবরের কাগজে-বিশেব করিয়া বাংলা দেশের কোন খবরের কাগজে —অত্যাচারের অভিযোগ পৰ্য্যন্ত মুদ্রিত হইতেছে না । কিন্তু এই সব অভিযোগ অস্তুতঃ এক শত দেড় শত জন লোকও যদি শুনে, তাও ভাল । শ্রোতাদের মধ্যে একজনেরও মনুষ্যত্ব যদি উদ্বোধিত হয়, ভাল । সে দিন দিল্লীর ব্যবস্থাপক সভায় মেদিনীপুরের কোন কোন গ্রামের কোন কোন মহিলার ও পুরুষের উপর যে অত্যাচারের অভিযোগ সত্যেন্দ্রবাবু গবন্মেণ্টের গোচর করেন, তাহা নামধামসহ কোন খবরের কাগজেই বাহির হয় নাই । তিনি যখন দিল্লীতে অভিযোগসমুহ পাঠ করিতেছিলেন, তখন শ্রোতাদের চেহারা ও মনের ভাব কিরূপ হইয়াছিল জানি না। ব্যবস্থাপক সভায় কংগ্রেসওয়ালার সংখ্যা বেশী হইলে আশা করা যায় কোন গুরুতর অভিযোগই অকথিত থাকিয়া যাইবে না, এবং অভিযোগ শুধু কথিত হইবে না, তাহার প্রকাশু তদন্তের দাবী অধিকাংশের ভোটে গৃহীত হইবে । সত্যেন্দ্রবাবুর দুই বৎসরের অভিযোগবিবৃতির ফলে এরূপ দাবীর প্রস্তাব উত্থাপিত পৰ্য্যন্ত হয় নাই। ইহা লজ্জার বিষয় । তদন্তের দাবীতেই কি প্রতিকার হইবে ? হইবে না জানি । এক বৎসর পূৰ্ব্বে ঠিক ঐরুপ অত্যাচারের অভিযোগ সত্যেন্দ্রবাবু ব্যবস্থাপক সভার ও গবন্মেণ্টের গোচর করিয়াছিলেন । তাহার কোন অনুসন্ধান পর্যন্ত হইয়াছিল বলিয়া অবগত নহি । তথাপি, অভিযোগ উচ্চারিত হওয়া ভাল । ব্যবস্থাপক সভায় যাইব না, এবং সেখানে গিয়া কিছু করিব না, ব্যবস্থাপক সভার বাহিরেও কিছু করিব না—অথচ দেশহিতৈষী বলিয়া পরিচয় দিব, এরূপ মনের ভাব অন্ততঃ কংগ্রেসওয়ালাদের হওয়া উচিত নয়। অবস্থাটা কিন্তু এখনও ঐরূপই আছে। স্বরাজা-দল ব্যবস্থাপক সভায় গেলে কংগ্রেসের রাজনৈতিক পক্ষাঘাতগ্রস্ততাটার কিঞ্চিৎ উপশমও যদি হয়, তাহা খুবই বাঞ্ছনীয়। সঙ্গে সঙ্গে এই স্বফলও যদি ফলে যে, ব্যবস্থাপক সভাগুলি জো-হুকুম ও ভাত-উপার্জকদের একচেটিয়া লীলাক্ষেত্র হইয়া না-থাকে, তাহাও কম লাভ হইবে না । ব্যবস্থাপক সভায় একাধিক বায় ভোটের আধিক্যে জাতীয় MIT ("national demands' ) YāE EN I f(s f(föগযন্মেণ্ট সে দাবী শুনিয়া স্বরাজ্য মঞ্জুর করেন নাই। বস্তুতঃ শুধু দাবী দ্বার স্বরাজ্য পাওয়া যাইবে না। যখন আমাদের