পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՖթՆ B BB B DDDB BB BBBB D DBBS BBB BDDBB BB হইতে গুরুত্বসম্পন্ন এরূপ শ্রমশিয়ের প্রতি মনোযোগ দিতে পারেন, যাহাতে মানুষ দলবদ্ধভাবে কারখানায় ব্যাপৃত হয় না, এবং যাহাতে গরীৰিয়ালার জন্য আবশ্বক আয়ের চেয়ে বেণী মজুরী পোষায় । সকলেই মনে রাখিবেন যে, র্যাহারা আইন ও কর্তৃপক্ষের প্রতি স্বেচ্ছাপ্রণোদিত বাঁধাত স্বীকারের প দ্ভবা সম্বন্ধে অবহিত এবং উহ! পালনও করিয়া থাকেন, নিরুপদ্রব প্রতিরোধের অধিকারী কেবলমাত্র তাহারাই । একথা বলার প্রয়োজন নাই বলিলেই হয়, যে, এই বিবৃতি প্রবtশ করিয়া আমি কোন মতেই কংগ্রেসের ক্ষমতা আত্মসাৎ করিতেছি না । যাহারা সত্যা গ্রহ সম্পর্কে আমার নি দিশ চাহেন, আমি কেবল মাত্র তাহদিগকেই এতদ্বায়া পরামর্শ দান করিলাম । মহাত্মা গান্ধী যাহাকে পরামর্শ বলিয়াছেন, অধিকাংশ কংগ্রেসওয়াল তাহ আদেশ বলিয়াই পালন করিবেন। আমরা কখনও সত্যাগ্ৰহ করি নাই, নিরুপদ্রব ভাবে আইনলঙ্ঘন বা প্রতিরোধ করি নাই ; ( অবশ্ব সোপদ্রব আইন লঙ্ঘন ত করিই নাই ! ) । যাহারা নিরুপদ্রব অসহযোগ করিয়াছেন, তাহাদের সহিত ঘনিষ্ঠভাবে মিশিয়। অসহযোগ প্রচেষ্টাটিকে ভিতরের দিক হইতে জানিবার বুঝিবার সুযোগ আমাদের হয় নাই। হয়ত সেই কারণে এবং আধ্যাত্মকতার পথে আমরা অনগ্রসর বলিয়া মহাত্মাষ্ট্রীর সব কথা বুঝিতে পারিয়াছি কি-না সন্দেহ হইতেছে। বাহির হইতে দেখিয়া শুনিয়া আমাদের যে ধারণা হইয়াচ্চে, তাহাতে মহাত্মাজী স্বরাজলাভার্থনিরুপদ্রব-আইনলঙ্ঘন প্রচেষ্টা যে স্থগিত করিয়া দিয়াছেন, তাহা আমাদের ঠিকৃষ্ট মনে হইয়াছে । যাহার মধ্যে আর উৎসাহ আগ্রন্থ প্রাণ ছিল না, তাহার কেবল ঠাটটা বজায় রাখিলে তাহাকে কেবল লোকের চক্ষে অবজ্ঞেয় ও হাস্যাম্পদই করা হইত। তার চেয়ে, যিনি নিজের মন বুঝেন, যিনি নিজের হৃদয় পরীক্ষা করিয়াছেন, যিনি অসহযোগ সত্যা গ্রহ প্রভৃতির প্রবর্তক, এক সেই মহাত্মাই ব্ৰতী থাকুন, ইহাই ভাল । তবে, গান্ধীজী বিশেষ করিম উহার যে সমাদৃত পুরাতন বন্ধুর ঞ্জেলের আচরণ হইতে আলোচ্য সিদ্ধাস্তটিতে উপস্থিত হইয়াছেন বলিয়ছেন, তাহা তাঙ্গৰ সিদ্ধাস্তের পক্ষে যথেষ্ট হেতু -বলিয়া আমাদের মনে হইতেছে না । আমরা সত্যাগ্রহের নিয়ম কি কি জানি না, কিন্তু গান্ধীজী যখন বলিতেছেন যে, তাহার বন্ধুর আচরণে সত্যাগহের নিয়মভঙ্গ হইয়াছে, তখন - জ্ঞাষ্ট্রক্সই ঠিক । কিন্তু এই একটি মাত্র দৃষ্টান্ত হইতে ত প্রমাণ হয় মা যে, অনেক অযুত সভাগৃহীর মধ্যে অধিকাংশই সম্ভাগ্রহের ক্ষগুরে প্রবেশ করে নাই, তাহার আধ্যাত্মিক ఫిన98) স্বরূপ বুঝে নাই, সকলেই বা অধিকাংশই সত্যাগ্রহের নিয়ম ভঙ্গ করিয়াছে ৷ হইতে পারে, যে, মহাত্মাজী সব কথা খুলিয়া বলেন নাই, অনেকেই হয়ত বাহিরে সত্যা গ্রহী, কিন্তু অস্তরে তাহার বিপরীত কিছু ছিলেন । কিন্তু আমরা মহাত্মাজী যাহা বলিয়াছেন, তাহারই আলোচনা করিতেছি । তাহার মনের মধ্যে কি আছে, তাহ জানি না ; সুতরাং তাহার আলোচনাও অনধিকারচর্চা হইবে । তিনি যাহা বলিয়াছেন, তাহা হইতে মনে হয়, তাহার উক্তিতে অনেক প্রকৃত সত্যাগীর উপর অবিচার ও তাহদের অপমান করা ইয়াছে । মহাত্মাজী যে-সব গঠনমূলক কাৰ্য্যের কথা বলিয়াছেন, শিক্ষার বিস্তার, জ্ঞান-বিস্তার, নিরক্ষরত-দূরীকরণ তাহার মধ্যে নাই. ইহা লক্ষ্য করিবার বিষয়, কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষম নহে। কারণ ঠিক এই জিনিষটিতে র্তাহার বিশেষ উৎসাহ কোন কালেই দেখা যায় নাই । এই কারণে তিনি এক সময় বাঙালীদিগকে শিক্ষাপাগল বলিয়াছিলেন । আমরাও লিখনপঠলক্ষম-ত্ব ও শিক্ষিত-ত্বকে অভিন্ন মনে করি না । কিন্তু লিখনপঠনক্ষমত্বকে ভিত্তি না করিলে আধুনিক কালে কোন জাতি যথেষ্ট উন্নত ও শক্তিমান হইতে পারে না, ইহাও আমাদের বিশ্বাস । যাহা হউক, শিক্ষা সাধারণ ভাবে গান্ধীজীর “জাতিগঠনমূলক” কাজের তালিকার মধ্যে না থাকিলেও ‘হরিজনদের উন্নতির জন্ত উহার প্রয়োজন গান্ধীজী স্বীকার করিয়াছেন, এবং শিক্ষাদানকে "হরিজন সেবার একটি অঙ্গ করা হইয়াছে । - ইহাও হইতে পারে, যে মহাত্মাষ্ঠী তাহার মতবিবৃতিটিতে ‘জাতিগঠনমূলক কার্য্যের পুরা তালিকা দিতে চান নাই ; কয়েকটি দৃষ্টাস্তু মাত্র দিয়াছেন । অসহযোগ, সত্যাগ্রহ ও সস্ত্রাসবাদ মহাত্মা গান্ধী তাহার বিবৃতিতে বলিয়াছেন, খাটি সত্যাগ্ৰহ এক দিকে সরকারী শাসকসম্প্রদায় ও অন্য দিকে বেসরকারী সম্রাসবাদী উভয়েরই হৃদয় স্পর্শ করিৰে উক্ত দুই শ্রেণীর লোকদের কাহারও সঙ্গে অল্প বা অধিক সাহচৰ্য্য আমাদের ঘটে নাই বলিয়া আমরা বলিতে পারি না তাহাদের হৃদয় কিসে সাড়া দিবে। কিন্তু সত্যা গ্রহ প্রচেষ্টার উদ্দেগু সিদ্ধ হইলে সম্ভবতঃ সন্ত্রাসবাদের উদয় হইত না, কিংবা উহু উদ্ভবের পর লোপ পাইত, এরূপ কোন একটা জজুমান