পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ যতটা আয়োজন আমাদের জরুরি ত আপন পরিমাণ রক্ষা করে না । অভাব মোচন হয়ে গেলে ও তৃপ্তিহীন কামনা হাত পেতে থাকে, সঞ্চয়ের ভিড় জমে, সন্ধানের বিশ্রাম থাকে না । সংসারের সকল বিভাগেষ্ট এই যে চাই-চাইয়ের হাট বসে গেছে, এরই আশপাশে মাসুম একটা ফাক খোজে যেখানে তার মন বলে চাইনে, অর্থাৎ এমন কিছু চাইনে যেটা লাগে সঞ্চয়ে । ভাই দেখতে পাই প্রয়োজনের এত চাপের মধ্যেও মামুষ অপ্রয়োজনের উপাদান এত প্রভূত ক’রে তুলেছে, অপ্রয়োজনের মূল তার কাছে এত বেশি। তার গৌরব সেখানে, ঐশ্বৰ্য্য সেখানে, যেখানে সে প্রয়োজনকে ছাড়িয়ে গেছে । পল বাহুল্য, বিশুদ্ধ সাহিত্য অপ্রয়োজনায় , তার যে রস সে অঙ্গে তুক । মাচুধ সেই দায়মুক্ত বৃহৎ অবকাশের ক্ষেত্রে কল্পনাব সোনার-কাঠি-ছোওয়া সামগ্রীকে জাগ্রত করে জানে আপনারই সন্তায় । তার সেই অশুভবে অর্থাৎ আপনারই বিশেষ উপলব্ধিতে তার আনন্দ । এই আনন-দেওয়া ছাড়া সাহিত্যের অন্ত কোনো উদ্দেশু আছে হ’লে জানিনে । লোকে বলে সাহিত্য রে আনন্দ দেয় সেট সৌন্দয্যের আনন্দ । সে কথা বিচার কবে দেখবার ঘোগ্য। সৌন্দৰ্য্যরহস্যকে বিশ্লেষণ করে ব্যাখা করবার অসাধ্য চেষ্টা করব না । অনুভূতির বাইরে দেখতে পাই পৌন্দয্য অনেকগুলি তথ্যমাত্রকে অর্থাং ফ্যাক্ট্স্কে অধিকার ক’রে আছে । সেগুলি সুন্দরও নয় অসুন্দরগু নয় । গোলাপের আছে বিশেষ আকার আয়তনের কতকগুলি পাপড়ি বেঁট, তাকে ঘিরে আছে সবুজ পাতা । এই সমস্তকে নিয়ে বিরাজ করে এই সমস্তের অতীত একটি ঐক্যতত্ত্ব, তাকে বলি সৌন্দৰ্য্য । সেই ঐক্য উদ্বোধিত করে তা’কেই, যে আমার অন্তরতম ঐক্য, যে আমার ব্যক্তিপুরুধ । অনুন্দর সামগ্রীরও প্রকাশ আছে, সেও একটা সমগ্রত একটা ঐক্য, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু তার বস্তুরূপী তথ্যটাই মুখ্য, ঐক্যটা গৌণ । গোলাপের আকারে আয়তনে তার বেমাম তার অঙ্গ প্রত্যঙ্গের পরস্পর সামঞ্জস্তে বিশেষভাবে নির্দেশ করে দিচ্চে তার সমগ্রের মধ্যে পরিব্যাপ্ত ¥ককে, সেইজন্তে গোলাপ আমাদের কাছে কেবল একটি কথ্যমাত্র নয়, সে স্কন্দর। কিন্তু শুধু স্বন্দর কেন, যে-কোনো পদার্থই আপন Pখ্যমাত্রকে অতিক্রম করে সে আমার কাছে তেমনি সত্য o সাছিভ্যতত্ত্ব Gł হয় যেমন সত্য আমি নিজে । আমি নিজেও সেই পদার্থ যা বহু তথ্যকে আবুত ক’রে অখণ্ড এক । উচ্চ অঙ্গের গণিতের মধ্যে যে একটি গভীর সৌষম্য, যে একটি ঐক্যরূপ আছে, নিঃসন্দেহ গাণিতিক তার মধ্যে আপনাকে নিমগ্ন করে । তার সামঞ্জস্তের তথ্যটি শুধু জ্ঞানের নয়, তা নিবিড় অনুভূতির ; তাতে বিশুদ্ধ আনন্দ । কারণ জ্ঞানের যে উচ্চ শিখরে তার প্রকাশ সেখানে সে সৰ্ব্বপ্রকার প্রয়োজননিরপেক্ষ, সেখানে জ্ঞানের মুক্তি । এ কেন কাব্যসাহিত্যের বিষয় হয়নি এ প্রশ্ন স্বভাবতই মনে আসে । হয়নি যে তার কারণ এই ধে, এর অভিজ্ঞতা অতি অল্প লোকের মধ্যে বদ্ধ, এ সৰ্ব্বস:ধারণের অগোচর । যে ভাষার যোগে এর পরিচয় সম্ভব তা পারিভাষিক বহুলোকের হৃদয়বোধের স্পর্শের দ্বার। সে সজীব উপাদানরূপে গড়ে ওঠেনি । যে-ভাষ; হৃদদের মধ্যে অব্যবহিত আবেগে প্রবেশ করতে পারে না সে ভাষায় সাহিত্যরসের সাহিত রূপের স্বষ্টি সম্ভব নয়। অথচ আধুনিক কাবো সাহিত্যে কলকারখান স্থান নিতে আরম্ভ করেছে । যন্ত্রের বিশেষ প্রয়োজনগত তথ্যকে ছাড়িয়ে তার একটা বিরাট শক্তিরূপ আমাদের কল্পনায় প্রকাশ পেতে পারে, সে আপন অন্তনিহিত স্বঘটিত কুসঙ্গতিকে অবলম্বন ক’রে আপন উপাদানকে ছাড়িয়ে আবিভূতি । কল্পনাদৃষ্টিতে অঙ্গপ্রত্যঙ্গের গভীরে যেন ভার একটি আত্মস্বরূপকে প্রত্যক্ষ করা খেতে পারে । সেই আত্মস্বরূপ আমাদেরই ব্যক্তিস্বরূপের দোসর । যে মাহুষ তাকে যান্ত্রিক জ্ঞানের দ্বার" নয় অনুভূতি দ্বারা একান্ত বোধ করে সে তার মধ্যে আপনাকে পায়, কলের জাহাজের কাপ্তেন কলের জাহাজের অস্তরে যেমন পরম অম্বুরাগে আপনব্যক্তিপুরুষকে অকুভব করতে পারে । কিন্তু প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচন বা যোগ্যতমের উদ্বর্তন তত্ত্ব এ জা’তের নয় । ৫ সব তত্ত্ব জানার দ্বারা নিষ্কাম আনন্দ হয় না তা নম্ন । কিন্তু সে আনন্দ হওয়ার আনন্দ নয়, তা পাওয়ার আনন্দ ; অর্থাৎ এই জ্ঞান জ্ঞানীর থেকে পৃথক, এ তার ব্যক্তিগত সভার অন্দর মহলের জিনিষ নয়, ভাওরের জিনিষ । আমাদের অলঙ্কার শাস্ত্রে বলেছে বাক্যং রসাত্মকং কাব্যং । সৌন্দয্যের রস আছে, কিন্তু এ কথা বল চলে না যে, সব রসেরই সৌন্দর্ধ্য আছে । সৌন্দৰ্য্যরসের সঙ্গে r 'a २टी द्र