পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:Sa নাই ; বাজারের চাহিদা অনুযায়ী শিল্প স্থষ্টি করিয়া তিনি শিল্পকে সস্ত ও খেলো করেন নাই । পৃথিবীর শ্রেঃ শিল্পিগণ যেমন শিল্পের নূতন ধারার, নূতন অভিব্যক্তির প্রকাশ করিয়াছেন, তাহার শিল্পেও তেমনি নূতনের অভিব্যক্তি আছে। তাহার শিল্পে ভারতের শিল্পযুগের নূতন অধ্যায় সুচিত হইবে । তিনি “সিদ্ধ শিল্পী” । নন্দলালের অসামান্য প্রতিভায়ু আকৃষ্ট হুইয়া বাংলার নানা 'ఏ98S জেল হইতে, ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশ হইতে, অন্ধ, তামিল, মালাবারী, মহারাষ্ট্রীম, গুজরাট, রাজপুত ছাত্র আসিয়াছে। এমন কি স্বদুর সীমান্ত-প্রদেশ, সিংহল ও জাভ হইতেও ছাত্র আসিয়াছে । নন্দলালের বহুমুখী প্রতিভা শুধু শিল্পস্থষ্টিতে নিঃশেষিত হয় নাই, তিনি শিল্পীও স্বষ্টি করিয়াছেন। তাহার শিষ্যমণ্ডলী কৃতজ্ঞ হৃদয়ে তাহ স্বীকার করিবে । একটি মেয়ে শ্ৰীদ্বিজেন্দ্রলাল ভাতুড়ী “হচ্চে কি ?” ** : প্রশ্ন থেকেই বুঝতে পারছেন, যিনি প্রশ্নকত্ৰী তিনি হচ্চেন শাস্ত্রমতে আমার হৃদয়-মনের অধীশ্বরী আর লোকমতে আমি তার খুঁটিতে বাধ, একান্ত তারই বলে ছাপমারা একটি বুদ্ধিহীন জীববিশেষ। স্থানটি হচ্চে ছাদের ঘর। একটা টেবিল—তার ওপর কাগজ ছড়ানো, এক দিকে একটা দোয়াত অার এক দিকে একটা কলম। আমার সামনেই খোলা জানলা এবং জানলার ঠিক পাশেই একটা আয়না। আয়নার ওপর একটু চোখ ঘুরিয়ে নিলেই দেখা যাবে, আমার পিছনে দাড়িয়ে শাড়ীবেষ্টিত একটি নারীমূৰ্ত্তি এবং তার চোখের কোণে অর্থাৎ অপাঙ্গে একটু বক্ররেখা। “দেখতেই পাচ্চ ।” বেশ সহজ ও মোলায়েম কণ্ঠস্বরে প্রত্যেক বর্ণটি স্পষ্ট করে উচ্চারিড উত্তর। আয়নায় দেখা গেল, রেখার বঙ্কিমতা বেড়েসে, আশেপাশে সঙ্গী দেখা দিয়েচে । “বসে বসে কুঁড়েমি করে সময় কাটাতে লজ্জ করে না ?” “উপায় কি ?” “বলতে লজ্জা করল না ? রোজ খানিকক্ষণ করে ছেলেমেয়েদের ধরলেও ত সংসারের একটু আয় দেখে—” তারপরেই যে আওয়াজটা সহসা খয় হতেই ক্ষীণ হয়ে মিলিয়ে গেল তার নাম দেওয়া যেতে পারে স-রাগে স-শবে দ্রুত প্রস্থান । প্রিয়া দিয়ে গেলেন একটা আর্থিক উত্ত। টাকা আন পাইয়ের হিসাব কষে এর ওপর একটা বড় প্রবন্ধ লেখা চলে । আমার মত নিষ্কৰ্ম্ম ব্যক্তির তাই কৰ্ত্তব্য এবং তারপর তার জন্যে অনুশোচনা করা । কিন্তু সামনের এই জানলা দিয়ে দেখা যাচ্চে গাঢ় নীল রঙের একটুখানি আকাশ আর তারই এক কোণায় একটি ছোট্ট নক্ষত্র, সন্ধ্যার আভাসে অস্পষ্টভাবে ঝিকৃমিক্‌ করা স্বরু করেচে। অর্থশাস্ত্রের কেতাবে নক্ষত্রদের কোনো কথাই লেখা নেই। তাই ভাবচি-কাগজ, কলম, দোয়াতও সামনে হাজির— হঠাৎ দেখা গেল, মনটা হয়ে উঠেচে রূপকথার সেই অতি বৃহৎ পার্থীটির মত, আকাশের বুকে বিশাল পক্ষপুট বিস্তার করে উড়ে চলেচে ওই নক্ষত্রলোকটি লক্ষ্য করে। পৃথিবীর লতা পাতা গাছ, ঘর বাড়ি ছাদ, মানুষ পশু পার্থী, তাদের অসংখ্য বিচিত্র কলকাকলি—সবই একে একে নিশ্চিহ্ন হয়ে মুছে যাচ্চে। তারপর নক্ষত্রলোক পৌছে ডান গুটিয়ে স্থির হয়ে বসল ওর ছাদে বসে বলে সক্ষেহে নিরীক্ষণ করতে লাগল তার পরিত্যক্ত নিশ্চিহ্ন-জীবন পৃথিবীটাকে। দেখতে লাগল একটা অত্যতিবৃহৎ অগ্নিমণ্ডলকে পরিবেষ্টন করে ঐ মাটির তাল জড়পিও পৃথিবীটা বিপুল বেগে