পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S3షి ఏన98S গেীরীর দোষ অনেক, তবুও ওকে আমার খুব ভাল লাগে। পিসি-মাসীর কাছে ওর যা দোষ, স্বয়ূর নক্ষত্ৰলোকে বসে আমি দেখি, তাই যেন মুক্তির হাসির টুকরো। ওর যত কিছু মাধুর্য্য ভর অস্থিরতায় । ওর চঞ্চলত দিকদিগন্তে প্রাণের ঢেউ তোলে । ও যেন একটা জাগরণ, একটা অবিচ্ছিন্ন মিষ্টি হাসি, ভোরের ঝরণার কলকলানির স্বর । তাই পুতুলখেলায় ওর মন বলতে চায় না, ও চায় প্রাণের আনন্দে অকারণে ছুটে বেড়াতে বন-হরিণীর মত । ওকে কি বাধা যায় ? তবুও গৌরী হ’ল বড়, শিখল কিছু লেখাপড়, অনিচ্ছা সত্ত্বেও নামলো ঘরকল্পার, রান্নাবাল্লার কাজে । কিন্তু ঘেন্না তাকে ছাড়ল না, নোংরা পরিষ্কার করতে হলেই ও এখনও বমি করে। সুযোগ পেলেই দুষ্টুমিও করে। পেম্বারাগাছে যে ছেলেট ওঠে তাকে ও ক্ষেপায়, আবার তাঁর সঙ্গে ভাব করে পেয়ারা পাড়া শিখিয়ে দিয়ে ভাগ বুঝে নেয় । ছোট ভাইবোনদের ওপর তেমনি কঠিন শাসন চলে, তারপর মুখ বুজে বকুনি খায়। ওর দেহে পড়চে আঁট-স টি-বাধন, চলন হ'তে স্বরু করেচে ভারী, ঘরে হতে চলেচে বন্দিনী । তবুও ওর মনটা আছে ছাড়া ; জানলার ধারে, চিকের ফাকে, ছাদের উন্মুক্তভায় ও পায় মুক্তি ; ওর মন আকাশে ডানা মেলে উড়ে বেড়ায় প্রাস্তরে প্রান্তরে খুনী বিলিয়ে । তারপর একদিন বাজল সানাই করুণ স্বরে । আলো ও কোলাহলের মধ্যে দিয়ে একরাতে গৌরীর আঁচলটি বাধা পড়ল এক তরুণের উত্তরীয়ে । মেয়ে চলেচে অচেনা অজানা ঘরে । মা ঘুরেফিরে চোখের জলে ভিজে বারংবার উপদেশ দেন, “দেখিস মা, জোরে হালিস না, শাশুড়ী ননদের কথা শুনে চলবি, মুখটি বুজে সব কাজ করবি"-ইত্যাদি। . গৌরী এল শ্বশুরবাড়ি । ওর একদিকে শাগুড়ী, জ, ননদ ; জার একদিকে শ্বশুর; ভাস্কর, দেওর ; তাঁর সঙ্গে উংস্থৰ দাসদাসীর দৃষ্টি আর প্রতিবেশীদের নানা মন্তব্য। তাই ওঁকে এখানে পা ফেলতে হয় গুণে গুণে । অবগুণ্ঠনে আবুত রাখতে হয় ওর আকাশে-ওড়া চঞ্চল সৃষ্ট । cशौन्नैौब*ब्र cनषङ क्च नग्न, श्वैश् चणी ध्रण । ५ब्रहे मtश গৌরী বরের চলনের ছন্দ, পায়ের শবা চিনে ফেলেচে । তার আভাস কানে গেলেই ও হয় খুব জড়ো-সড়ো, হাতের চুড়ী অকারণে বেজে উঠে ওর অবস্থিতি জানিয়ে দেয় । ননদের হেসে পরম্পরের গায়ে গড়িয়ে পড়ে। উদ্যত হাসি চাপতে গৌরী ওষ্ঠাধর দাতে চেপে ধরে । আমার চোখ জলে ভরে উঠতে চাইচে । চাঞ্চল্যের ধারা বন্দিনী হয়ে হমেচে বুঝি ফন্তু ! মহাশূন্তের দিকে তাকিয়ে আমি ভাবচি, প্রাণ ত পড়ল বাধা, ওর আকাশ কি আর থাকবে তেমন বড়, তেমন দিগন্তপ্রসারিত ? সেখানে কি আর মেঘের গায়ে অহেতুক রঙের লীলা দেখতে পাব ? রাত্রে গৌরীর বর আসে ওর গা-ঘেষে, কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে বলে, “তোমায় আমি খুব ভালবাসি, গৌরী— খুব ভালবাসি .. ” এই সুযোগে অতি সঙ্গাপনে ও বরকে চিমটি কাটে। “ও,” বলে ওর বর সরে যায় ও খুব ব্যস্ত হয়ে বলে, “কিছু কামড়ালে নাকি ? ওম, বিছে এল কোখেকে ?” ওর বর লাফিয়ে খাট থেকে নেমে পড়ে। আর সেই সঙ্গে ওর চাপা হাসির ফিনকি ছোটে, ঘরের বদ্ধ বায়ু জালোড়িত হয়ে ওঠে, বরটির প্রাণে পুলকের কাপন ধরে । কখনও দেখা গেল বরটি এসে ওর আঁচলটি চেপে ধরেচে, আর ও জোর করে ছাড়িয়ে নেবার চেষ্টায় বলচে, “জাঃ, কি ষে করে 1 ছড়ি বলচি এখ খুনি, এধ খুনি—” “আচ্ছা চললুম, আর কখ খনো জাসব না—” যর ধাচ্চে দরজার দিকে । আর ও তার হাত ধ’রে টেনে আনতে আনতে বলচে, “ঈস, ভারী যে তেজ। কই যাও দিক্ষি– দেখি কেমন পার—” এমনিতর কত ব্যাপার । কপট ক্রোধ, কুরুর শাসন আর মান-অভিমানের মায়াখেলা। বদ্ধ ঘরের জল্প পরিসরে জাজ গৌরী পায় তার মুক্তি । বাইরের আকাশ গাছপালার ইসারায় জার সাড়া দেয় না, ঐ এক টুক্ষর ঘরের জঙ্কেই ওর মন থাকে উন্মুখ । ও ঘরে ও ফেটে পড়ে হালিতে, স্বরের দেয়াল ভেদ করে তা জার দিকচুক্ষে রঙ ধরায় না । ওর মৃতকিছু কৌতুক, রঙ্গ, খেলা—সবই এখন