পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসনাট । & يكن٩ ృలిR) সকল রসেরই মিল হচ্চে ঐখানে, যেখানে সে আমাদের অনুভূতির সামগ্রী । অমুভূতির বাইরে রসের কোনো অর্থই নেই । রসমাত্রই তথ্যকে অধিকার করে তাকে অনিৰ্ব্বচনীয় ভাবে অতিক্রম করে । রসপদার্থ বস্তুর অতীত এমন একটি ঐক্যবোধ যা আমাদের চৈতন্তে মিলিত হতে বিলম্ব করে না । এখানে তার প্রকাশ আর আমার প্রকাশ একই কথা । বস্তুর ভিড়ের একান্ত আধিপতাকে লাঘব করতে লেগেছে মাম্য । সে আপন অনুভূতির জন্তে অবকাশ রচনা করছে। তার একটা সহজ দৃষ্টান্ত দিষ্ট । ঘড়ায় ক’রে সে জল আনে, এই জল আনায় তার নিত্য প্রয়োজন । অগত্য বস্তুর দৌরাত্ম্য তাকে কাথে করে মাথায় ক’রে বইতেই হয় । প্রয়োজনের শাসনই যদি একমাত্র হয়ে ওঠে তা হ’লে ঘড়ী হয় আমাদের অনাস্ত্রীয় । মানুষ তাকে সুন্দর করে গড়ে তুলল। জল বহনের জন্য সৌন্দয্যের কোনো অর্থ ই নেই। কিন্তু এই শিল্পসৌন্দর্য্য প্রয়োজনের রূঢ়তার চারিদিকে ফঁাক! এনে দিলে । যে ঘড়াকে দায়ে পড়ে মেনেছিলেম, নিলেম তাকে আপন করে । মানুষের ইতিহাসে আদিম যুগ থেকেই এই চেষ্ট । প্রয়োজনের জিলিযকে সে অপ্রয়োজনের মুল্য দেয় শিল্পকলার সাহায্যে, বস্তুকে পরিণত করে বস্তুর অতীতে । সাহিত্যস্ত ই শিল্পগুষ্টি সেই প্রসমুলোকে যেখানে দায় নেই, ভার নেই, যেখানে উপকরণ মায়া, তার ধানরূপটাই সত্য, যেখানে মাহুষ আপনাতে সমস্ত আত্মসাং করে আছে কিন্তু বস্তুকে দামে পড়ে মেনে নিয়ে তার কাছে মাথ৷ হেঁট করা কাকে বলে যদি দেখতে চাও তবে ঐ দেখে কেরোসিনের টিনে ঘটস্থাপন ; সাকের দুই প্রাস্তে টিনের কানেস্থ বেঁধে জল আনা । এতে অভাবের কাছেই মানুষের একান্ত পরাভব ৷ যে-মাকুম স্বন্দর ক'রে ঘড়া বানিয়েছে সে-ব্যক্তি তাড়াতাড়ি জলপিপাসাকেই মেনে নেয় নি, সে যথেষ্ট সময় নিয়েছে নিজের ব্যক্তিত্বকে মানতে । বস্তুর পৃথিবী ধুলোমাটি পাথর লোহান্ন ঠাসা হয়ে পিণ্ডীরুত । বায়ুমণ্ডল তার চারদিকে বিরাট অবকাশ বিস্তার করেছে। এরই পরে তার আত্মপ্রকাশের ভূমিকা। এইখান থেকে প্রাণের নিশ্বাস বহমান ; সেই প্রাণ অনিৰ্ব্বচনীয় । সেই প্রাণ-শিল্পকারের তুলি এইখান থেকেই আলো নিম্নে রং নিম্নে তাপ নিয়ে চলমান চিত্রে বার-বার ভয়ে দিচ্চে পৃথিবীর পট । এইখানে পৃথিবীর লীলার দিক, এইখানে তার স্বষ্টি, এইখানে তার সেই ব্যক্তিরূপের প্রকাশ, যাকে বিশ্লেষণ করা যায় না, ব্যাখ্যা করা যায় না, যার মধ্যে তার বাণী, তার যাথার্থ্য, তার রস, তার শু্যামলতা, তার হিল্লোল। মাতুষও নানা জরুরি কাজের দাম্ব পেরিয়ে চায় আপন আকাশমণ্ডল, যেখানে তার অবকাশ, যেখানে বিনা প্রয়োজনের লীলায় আপন শুষ্টিতে আপনাকে প্রকাশই তার চরম মে-ক্ষষ্টিতে জানা নয় পাওয়া নয় কেবল হওয়া। পূৰ্ব্বেই বলেছি অতুভব মানই হওয়া । বাহিরের সত্তার অভিঘাতে সেই হওয়ার বোধে বান ডেকে এলে মন স্বষ্টিলীলায় উদ্বেল হয়ে ওঠে । আমাদের হৃদয়বোধের কাজ আছে জীবিকানিৰ্বতের প্রয়োজনে । আমরা আত্মরক্ষা করি শত্র হনন করি, সস্তান পালন করি, আমাদের হৃদয়বৃত্তি कश्], সেই সকল কাজে বেগ সঞ্চার করে, অভিরুচি জাগায় । এই সীমাটুকুর মধ্যে জন্তুর সঙ্গে মাস্কফের প্রভেদ নেই। প্রভেদ ঘটেছে সেইথানেই যেখানে মাতৃম অপেন হৃদয়াতৃভূতিকে কৰ্ম্মের দাষ থেকে স্বতঃস্থ করে নিয়ে বল্পনার সঙ্গে যুক্ত করে দেয়, যেখানে নিঃস্বাথ উপভোগের লক্ষ্য, করবার প্রেরণায় ফল লাভের অত্যাবশ্যকতাকে সে বিস্মৃত হয়ে যায়। এই মাতৃমই যুদ্ধ করবার উপলক্ষ্যে কেবল অস্ত্রচালনা করে না, সদ্ধের বাজন! লাজাম, যুদ্ধের নাচ নাচে । তার হিংশ্রত যখন নিদারুণ ব্যবসায়ে প্রস্তুত তখনও সেই হিংস্ৰতার অহুভূতিকে ব্যবহারের উদ্ধে নিয়ে গিয়ে ভাকে অনাবশুক রূপ দেয় । হয়ত সেট তার সিপ্তিলাভে ব্যাঘাত করতেও পারে । শুধু নিজের স্মৃষ্টিতে নয় বিশ্বস্বষ্টিতে সে আপন অহুভূতির প্রতীক খুজে বেড়ায়। তার ভালবাসা ফেরে ফুলের বলে, তার ভক্তি তীর্থযাত্রা করতে বেরোয় সাগরসজমে পৰ্ব্বতশিখরে । সে আপন ব্যক্তিরূপের দোসরকে পায় বস্তুতে নয়, তত্ত্বে নয়। লীলামমুকে সে পায় আকাশ যেখানে নীল, শুামল যেখানে নবদূৰ্ব্বাদল । ফুলে যেখানে সৌন্দৰ্য, ফলে যেখানে মধুরতা, জীবের প্রতি যেখানে আছে বরুণ, ভূমার প্রতি যেখানে আছে আত্মনিবেদন, সেখানে বিশ্বের সঙ্গে আমাদের ব্যক্তিগত সম্বন্ধের চিরুগুন যোগ ঋতুভব অনুভূতির স্টুকুই তার যেখানে তাপম অন্তভূতিকে প্রকাশ