পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূষণ ঐবিশ্বেশ্বর ভট্টাচাৰ্য্য রেণেলের মানচিত্রের দিকে তাকাইলে দেখা যাইবে, বর্তমান ফরিদপুর ও যশোহর জেলার অনেকটা স্থান জুড়িয়া সেকালে ছিল ভূষণ। ভূষণ অতি প্রাচীন স্থান, কিন্তু বর্তমান সময়ে উহা নামে মাত্র পর্য্যবসিত হইয়াছে। এখানে হিন্দুরাজার রাজত্ব ছিল, মুসলমান ফৌজদারের শহর ছিল ; হিন্দু ও মুসলমান, পাঠান ও মোগলের বহু বার সজঘর্ষ ঘটিয়াছিল। মুকুন্দরামের ভূষণ, সীতারাম রায়ের ভূষণ এখন খুজিয়া বাহির করিতে হয়। ইহাই কালের নিয়ম। ফরিদপুর নগর হইতে পশ্চিম দিক প্রায় আঠার মাইল দূরে মধুখালি গ্রাম। এখানে অল্পদিন পূৰ্ব্বেও পুলিসের একটা আড্ডা ছিল। সাবেক কালের ভূষণা এখান হইতে প্রায় তিন-চার মাইল । গ্রাম রাস্তা ও মাঠের মধ্য দিয়া কোনমতে সেখানে পৌছিতে হয় । যেখানে জনাকীর্ণ নগর ছিল সেখানে এখন ক্ষুদ্র পল্লী । নিকটেই প্রাচীন দুর্গের ভগ্নাবশেষ। প্রাচীর ও পরিখার চিহ্ন এখনও বিলুপ্ত হয় নাই। বনজঙ্গলের মধ্যে ইষ্টকনিৰ্ম্মিত গৃহও কিছু কিছু দেখিতে পাওয়া যায়। লোকে এখনও দেখাইমা দেয়, অমুক স্থানে অপরাধীকে শূলে দেওয়া হইত। সেকালে একদিকে চন্দনা নদী, অন্য দিকে কালীগঙ্গা ভূষণার নৈসর্গিক রক্ষিরুপে বিদ্যমান ছিল । কালীগঙ্গা এখন মৃত, চন্দন মুমুধু । দুর্গের পাদদেশে একটি সুদীর্ঘ দীর্ঘিকা কোনরূপে কালের সর্বগ্রাসী কবল হইতে আত্মরক্ষা করিয়া আছে । পুলিস ষ্টেশনের নাম এখনও ভূষণ থাকিলেও বহুকাল পূৰ্ব্বে উহা ভূষণ হইতে স্থানান্তরিত হইয়াছে। কিছু কাল ইহার অবস্থিতি ছিল সৈয়দপুর নামক স্থানে, তাহার পর গিয়াছে বোয়ালমারিতে। ভূষণার সমৃদ্ধি এক সময়ে সৈয়দপুরকে গৌরবান্বিত করিয়াছিল। এখানে পূৰ্ব্বে মিউনিসিপ্যালিটি ছিল, বাণিজ্যের ঐ বিরাজ করিত। তাহাও এখন অতীতের কথা । ভূষণ-মামুদপুর কথাটা খুব প্রচলিত, কিন্তু ভূষণ মধুমতী নীয় পূৰ্ব্বদিকে, মামুদপুর পশ্চিমে। বোধ হয় মধ্যবর্তী নদী পূৰ্ব্বে ক্ষুদ্রকায় ছিল এবং উভয় স্থানের সামাজিক যোগ থাকায় নামটার উদ্ভব হইয়াছে। এখন ভূষণ ফরিদপুর জেলায়, মামুদপুর যশোহরের মধ্যে। ‘দিগ্বিজয়প্রকাশ’ নামক হিন্দু ভৌগোলিক গ্রন্থে পাওয়া যায়, ধেনুকৰ্ণ নামে এক ক্ষত্রিম রাজা ছিলেন। তিনি যশোরেশ্বরীর মন্দির পুননিৰ্ম্মাণ করেন। তাহার পুত্র কণ্ঠহারের “বঙ্গভূষণ" উপাধি ছিল এবং তিনিই যশোহরের উত্তর ভাগ অধিকার করিয়া তাহার নাম ভূষণ রাখেন। কোন সময়ে এই ঘটনা ঘটিয়াছিল তাহা ঠিক জানা যায় না, তবে অবস্থা দৃষ্টে বলিতে হয় বারভূঞার অভু্যদম্বের বহু পূৰ্ব্বে I* মুসলমান আমলে ভূষণ নগর ছিল সাতের পরগণার অন্তর্গত । মোগল শাসনকালে যখন স্ববে বাংলা (উড়িয্য সমেত ) চব্বিশটি সরকারে বিভক্ত হয় তখন এই সাতৈরকে সরকার মামুদ্রাবাদের অন্তর্গত দেখা যায়। সরকার মামুদ্রাবাদ ও সরকার ফথেয়াবাদ দুইটি পাশাপাশি সরকার, একের ইতিহাস অন্যের সহিত ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আইন-ই-আকবরীতে আমরা যথেষাবাদকে একটি বিস্তীর্ণ জনপরিপে দেখিতে পাই। বর্তমান ফরিদপুর জেলার অনেকটা অংশ, যশোহর জেলার খানিকট এবং বর্তমান বাখরগঞ্জ, ঢাকা ও নোয়াখালি জেলার খানিকটা ইহার অন্তর্গত ছিল। মামুদাবাদ সরকারের মধ্যে বর্তমান ফরিদপুর জেলার পশ্চিমাংশ, যশোহর জেলার অনেকটা এবং নদীয়া জেলার কতকটা ছিল। ইহাতে মহাল ছিল ৮৮টি ७वर हेझॉब्र ब्रांछच श्लि ५ २७s०२८७ नाम । क्रथञ्चदांन অপেক্ষ এই সরকার অধিক রাজস্ব যোগাইত, কিন্তু সৈন্ত যোগাইতে হুইত ফখেয়াবাদকে অনেক বেশী।

  • क्षिविजङ्गअकांन' धूब यांशैन व मीमार्मिक अंइ ब ह३ष्णe aवोफ़ैौन थीनांबणैौद्र वृछिद्र छैगन्न जिथिठ धषः श्मूिरिभइ d३ cवगैौद्र अtइब्र অভাব ইহাঙ্কে মূল্যবান করিয়া রাখিয়াছে।