পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ ভৈরব =দের সঙ্গমস্থলে অবস্থিত আলাইপুর হইতে কুচ করিয়া নগরপুর বা নাজিরপুরের দিকে যাইতেছিলেন তখন পথিমধ্যে ফতেপুর নামক স্থানে সত্ৰাঞ্জিৎ আসিয়া দেখা করিলেন ( ১৬০৯ খৃঃ অব ) এবং সুবেদারকে আঠারটি হস্তী উপহার দিলেন । দুই পক্ষে সৌহার্দ্য স্থাপিত হইলে সত্রাজিৎ মোগলপক্ষে বিদ্রোহদমনে মন দিলেন । এই সময়ে যিনি ফথেয়াবাদের অধিকারী হুইয়া পড়িয়াছিলেন র্তাহার নাম মজলিস কুতব। কবি সৈয়দ আলাওলের আত্মপরিচয়ে এই মজলিস কুভবের উল্লেখ আছে। হবিবুল্লা নামক এক সেনাপতি বিদ্রোহী মজলিস কুতবের বিরুদ্ধে প্রেরিত হইলেন আর রাজা সত্ৰাঞ্জিং হইলেন এই সেনাপতির সহায় । মজলিস্ কুতব ফথেয়াবাদ-দুর্গে অবরুদ্ধ থাকিয়া মুশা খার সাহায্যপ্রার্থী হইলেন। সাহায্য আসিল কিন্তু মজলিস মোগল সৈন্তকে আঁটিয়া উঠিতে পারিলেন না। মোগল ঐতিহাসিকের বিবরণ হইতে জানা যায়, এই যুদ্ধে সত্রাজিতের সৈনাপত্য ও সাহস মোগলদিগের বিশেষ উপকারে লাগিয়াছিল । পাঠানপক্ষীয় লোক পুনঃ পুনঃ দুর্গ হইতে নিষ্ক্রান্ত হইয় মোগলপক্ষকে ব্যতিব্যস্ত করিতে লাগিল, কিন্তু সত্ৰাঞ্জিং তাহাদিগের সকল উদ্যম ব্যর্থ করিয়া দিলেন । অনেক মারামারির পর মজলিস্ মুশ থার সহিত যোগ দিতে চেষ্টা করিলেন, কিন্তু তাহার সে চেষ্টাও ব্যর্থ হুইল । অবশেষে তিনি দুর্গ ত্যাগ করিয়া পলায়ন করিলেন । ইহার পর আমরা ভূষণারাজ সত্রাজিৎকে মোগলপক্ষে কুচবিহারের রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধকার্ধ্যে ব্যাপৃত দেখিতে পাই । মোগল-স্থবেদার সেখ জালাউদ্দিন ইসলাম খার আহবানে তিনি মোগল-সৈন্তের যোগে কোচ হাজে আক্রমণ করেন। কোচ - হাজে। বিঞ্চিত হইলে তাহার শৌর্য্যে প্রীত স্থবেদার তাহাকেই পাণ্ডু ও গৌহাটির থানাদার বা সীমান্তরক্ষক পদে নিযুক্ত করেন। তাহার বহু অনুচর এবং ভূষণার অধিপতিস্বরূপ একটা বিশিষ্ট খাতির ছিল। ইহার ফলে তিনি আসামবাসীদিগের বন্ধুত্ব লাভ করেন এবং কোচ-রাজবংশের সহিতও ঘনিষ্ঠত সম্পাদনে সমর্থ হন। সেথ আলাউদ্ধিনের পরবর্তী শাসনকর্তারা তাহাকে অনেক বার ডাকিয়া পাঠাইলেও তিনি সে ডাক গ্রাহ করেন না, পূৰ্ব্বপ্রথামত পেশকশ ও পাঠান না। এদিকে তিনি কোচরাজের ভ্রাতা ৰলিনারায়ণের সহিত ষড়যন্ত্রে ২৭৭ জুৰগা লিপ্ত হন এবং মোগল-সেনাপতি আবদার সালামের কর্তৃত্বাধীনে সৈন্ত প্রেরিত হইলে সত্রাজিতের বিশ্বাসঘাতকতায় আহোম নৌবাহিনী কর্তৃক মোগল-সৈন্তের পরাজয় ঘটে। ইহার ফলে সত্ৰাজিং ধুবড়ীতে ধুত হইয় ঢাকায় প্রেরিত হন এবং এখানে তাহার মৃত্যুদণ্ড হয় (খৃঃ ১৬৩৬ অব্দে বা তাহার নিকটবৰ্ত্তী সময়ে ) । ইহার পর ভূষণ কিছুকাল মোগল-সেনাপতি সংগ্রাম শাহের নাওরা মহলভূক্ত থাকে । সংগ্রাম পশ্চিমদেশীয় লোক। কেহ বলেন, তাহার আদি বাসস্থান ছিল রাজপুতানায় (৬/আনন্দনাথ রায় ), কেহ বলেন জম্মুতে ॥৬/সতীশচন্দ্র মিত্র ) । তিনি পূর্ববঙ্গে নানা স্থানে বিদ্রোহদমন ও দমাদলন কার্ষে যশ অর্জন করিয়া শেষে ভূষণ অঞ্চলে ভূদম্পত্তি প্রাপ্ত হন । তখনও তাহাকে সম্রাটের কার্য্যে আবশ্যকমত ণেী-সৈন্ত যোগাইতে হষ্টত । ঠিক কোন সময়ে তিনি ভূষণায় আধিপত্য প্রাপ্ত হন ঠিক করা কঠিন । তবে তিনি বেশ প্রতাপের সহিতই শাসনকাৰ্য্য চালাইতেন । বোধ হয় এখানে র্তাহার স্থায়ী ভাবে বাস করিবার ইচ্ছা ছিল, তাই বৈদ্যসমাজে পুত্ৰ-কন্যার বিবাহ দিম৷ "হাম বৈদ্য” বলিয়া পরিচিত হইয়া পড়িয়াছিলেন। বৈদেরা সহজে অজ্ঞাতকুলশীল রাজন্যের সহিত বিবাহসম্বন্ধে আবদ্ধ হন নাই । কুলজী গ্রন্থের প্রমাণে বুঝিতে পার। মাম, নবাগত সামন্তকে সময়ে সমক্ষে বলপ্রয়োগ করিতে হইয়াছিল । মথুরাপুর গ্রামের সুবিখ্যাত “দেউল’ ইহারই কীৰ্ত্তি। এই দেউল সম্বন্ধে ঐযুক্ত গুরুসদয় দত্ত মহাশমের কুপ য়ু এখন আমরা অনেক কথাই শুনিতেছি * সংগ্রাম বা তাহার পুত্রের প্রতাপ ভূষণ অঞ্চল হইতে কিরূপে গেল ঠিক জানা যায় না । মনে হয়, প্রায় তাহাদের তিরোধানের সময়েই যথেস্নাবাদ হইতে ফৌজদারের আসন স্থানান্তরিত হইয়া ভূষণায় আসে । ফথেম্বাৰাদের উপর পদ্মাদেবীর অনুগ্রহ এবং সংগ্রাম শাহ বা তাহার পুত্রের ভূসম্পত্তি শাসন ইহার কারণ হইতে পারে । t

  • ১৩৪০ চৈত্র সংখ্যার প্রবাসী জীব্য ।

{ জানন্দনাথ রায় তাহার ক্ষণিপুরের ইতিহাসে সম্রাট আওরংজেবের সময়ে বঙ্গদেশে সংগ্রাম শাহের মানা কীৰ্ত্তির উল্লেখ করিয়াছেন, BBD BBDD BBDD BDBH BBggg C BHCC SAA0S0SS BBB সংগ্রাম শাহ কর্তৃক্ষ ভূমিদানের কথাও লিখিছেন। ১৬২৬ খৃষ্টাঙ্গে জাহাঙ্গীর সম্রাট এবং সত্ৰাজিৎ ভূষণার রাজা । সে সময়ে সংগ্রাম শাহের ভূমিদান কিরূপে সম্ভব হয় P ১৬৪১ খৃষ্টাগো শাজাহান বাদশাহ